কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে ফের নিষেধাজ্ঞা, ফিরছেন সাড়ে ৫ হাজার by মিজানুর রহমান
বাংলাদেশি
শ্রমিক নিয়োগে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শেখ খালিদ আল জাররাহ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। কুয়েতের দৈনিক
আল জারিদার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে গাল্ফ নিউজ।
ওদিকে কুয়েত থেকে শিগগির দেশে ফিরছেন সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করা ওই প্রবাসীদের দেশে ফেরার ট্রাভেল পারমিট ইতিমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে। তাদের নিজ খরচেই ফিরতে হচ্ছে। কুয়েত সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বলেন, কুয়েতে বর্তমানে অবৈধ বা অনিয়মিত প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। দু’টি ‘কঠিন’ শর্তে তাদের বৈধতার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত চলমান সাধারণ ক্ষমার আওতায় তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে-প্রথমত: অবৈধদের বৈধতার জন্য নিজের উদ্যোগে কফিল বা নিয়োগকর্তা যোগাড় করতে হবে। দ্বিতীয়ত: যে ক’দিন তারা দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তার জন্য দৈনিক ২ দিরহাম করে সর্বোচ্চ ৬০০ দিরহাম জরিমানা গুনতে হবে। যারা এটি পূরণে ব্যর্থ হবেন তাদের অবশ্যই দেশে ফিরতে হবে। ঢাকার কর্মকর্তারা জানান, দূতাবাসের পাঠানো রিপোর্ট মতে, সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি ওই শর্ত পূরণ করতে পারেননি বা এটি পূরণের চেষ্টা করেননি। তাদেরই দেশে ফিরতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেন, কুয়েত সরকার স্বেচ্ছায় এবং নিজ খরচে দেশে ফেরা বিদেশি শ্রমিকদের জন্যও একটি সুযোগ খোলা রেখেছে। তা হলো- তারা নতুন কফিল বা নিয়োগকর্তা যোগাড় করে ফের দেশটিতে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। কালো তালিকাভুক্ত হবেন না। বাংলাদেশিসহ অবৈধ বিদেশিদের অনেকে এটাকেও সুযোগ ভাবছেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশি কূটনীতিকরা। উল্লেখ্য, কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গত রোববার দেশটি সফরে গেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। গতকাল তিনি দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল-জারাল্লাহ’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কুয়েত সিটির ওই বৈঠকের সময়ই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে ফের নিষেধাজ্ঞা জারির খবর চাউর হয়। মন্ত্রীর সফরকালে কেন আচমকা এ নিষেধাজ্ঞা? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের দায়িত্বশীল কোনো প্রতিনিধিই তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে- এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজেই কুয়েত সিটিতে ব্রিফ করবেন। তা না হলে ঢাকায় দ্রুত আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং নোট প্রচার করা হবে।
এদিকে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জারিদার রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর বাংলাদেশিদের রেসিডেন্সি পার্মিটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে নানা অনিয়ম এবং কর্মক্ষেত্রে পাচারকারীদের নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের রিপোর্টে বলেছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত নানা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর এমন রিপোর্টই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ শুরু করে কুয়েত। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক নেয় দেশটি। তবে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় কুয়েত। নিয়োগে অনিয়ম এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ করা হয়। ২০১৪ সালে কুয়েত ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ফের উপসাগরীয় এ দেশটিতে কাজ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা। ২০১৬ সালের মে মাসে দেশটি অনিয়মের নানা নিরাপত্তা রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ওদিকে কুয়েত থেকে শিগগির দেশে ফিরছেন সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করা ওই প্রবাসীদের দেশে ফেরার ট্রাভেল পারমিট ইতিমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে। তাদের নিজ খরচেই ফিরতে হচ্ছে। কুয়েত সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বলেন, কুয়েতে বর্তমানে অবৈধ বা অনিয়মিত প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। দু’টি ‘কঠিন’ শর্তে তাদের বৈধতার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত চলমান সাধারণ ক্ষমার আওতায় তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে-প্রথমত: অবৈধদের বৈধতার জন্য নিজের উদ্যোগে কফিল বা নিয়োগকর্তা যোগাড় করতে হবে। দ্বিতীয়ত: যে ক’দিন তারা দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তার জন্য দৈনিক ২ দিরহাম করে সর্বোচ্চ ৬০০ দিরহাম জরিমানা গুনতে হবে। যারা এটি পূরণে ব্যর্থ হবেন তাদের অবশ্যই দেশে ফিরতে হবে। ঢাকার কর্মকর্তারা জানান, দূতাবাসের পাঠানো রিপোর্ট মতে, সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি ওই শর্ত পূরণ করতে পারেননি বা এটি পূরণের চেষ্টা করেননি। তাদেরই দেশে ফিরতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেন, কুয়েত সরকার স্বেচ্ছায় এবং নিজ খরচে দেশে ফেরা বিদেশি শ্রমিকদের জন্যও একটি সুযোগ খোলা রেখেছে। তা হলো- তারা নতুন কফিল বা নিয়োগকর্তা যোগাড় করে ফের দেশটিতে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। কালো তালিকাভুক্ত হবেন না। বাংলাদেশিসহ অবৈধ বিদেশিদের অনেকে এটাকেও সুযোগ ভাবছেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশি কূটনীতিকরা। উল্লেখ্য, কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গত রোববার দেশটি সফরে গেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। গতকাল তিনি দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল-জারাল্লাহ’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কুয়েত সিটির ওই বৈঠকের সময়ই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে ফের নিষেধাজ্ঞা জারির খবর চাউর হয়। মন্ত্রীর সফরকালে কেন আচমকা এ নিষেধাজ্ঞা? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের দায়িত্বশীল কোনো প্রতিনিধিই তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে- এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজেই কুয়েত সিটিতে ব্রিফ করবেন। তা না হলে ঢাকায় দ্রুত আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং নোট প্রচার করা হবে।
এদিকে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জারিদার রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর বাংলাদেশিদের রেসিডেন্সি পার্মিটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে নানা অনিয়ম এবং কর্মক্ষেত্রে পাচারকারীদের নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের রিপোর্টে বলেছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত নানা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর এমন রিপোর্টই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ শুরু করে কুয়েত। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক নেয় দেশটি। তবে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় কুয়েত। নিয়োগে অনিয়ম এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ করা হয়। ২০১৪ সালে কুয়েত ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ফের উপসাগরীয় এ দেশটিতে কাজ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা। ২০১৬ সালের মে মাসে দেশটি অনিয়মের নানা নিরাপত্তা রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
No comments