উড়ন্ত বিমানে উলঙ্গ হয়ে বাংলাদেশি যুবকের পাগলামির অভিযোগ
মালয়েশিয়া
থেকে ঢাকাগামী একটি প্লেনের মধ্যে উলঙ্গ হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করার অভিযোগ
বাংলাদেশী এক যুবককে ঢাকায় নামার পর পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। শনিবার মালিন্দো এয়ারের ওডি ১৬২ নম্বর ফ্লাইটের
উড়োজাহাজটি কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ওড়ার পর অস্বাভাবিক আচরণ
করতে শুরু করেন ওই যুবক। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমেও এই খবরটি প্রকাশিত
হয়েছে। তরুণটি বিমানের ভেতর একটি সিটে নগ্ন অবস্থায় বসে আছেন - এমন একটি
ছবিও প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি পত্রিকায়। স্ট্রেইট টাইমস সহ মালয়েশিয়ার
বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিমানের ভেতর তার নানা কান্ডের খবর বেরিয়েছে। এসব
রিপোর্টে বলা হয়, ১০ হাজার ফিট উচ্চতায় ওড়ার সময় যুবকটি কাপড় খুলে
উলঙ্গ হয়ে পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করেন। তিনি নারী ক্রুদের জড়িয়ে ধরারও
চেষ্টা করেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানের মধ্যে আটকে রাখে এবং
বিমানটি ঢাকায় নামার পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বিমানবন্দর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম জানান, বিমানের ক্রু ও যাত্রীদের সাথে
অসদাচরণ করার অভিযোগে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে
থানা হাজতে রাখে।
হাজতে অধিকাংশ সময়ই তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন, বলেন
মি. আযম। বিমানবন্দর পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। পরবর্তীতে আদালত সেই
ব্যক্তিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। মালিন্দো এয়াললাইন্স তাদের
ফেসবুক পেইজে এবিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। মালয়েশিয়ার সাইবারজায়ায়
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। মালয়েশিয়ায়
তার পরিচিত একজন বিবিসিকে জানান, ঐ ব্যক্তি 'মানসিকভাবে অসুস্থ' ছিলেন। গত
বছর মালয়েশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করার সময় থেকেই তার
মধ্যে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ প্রকটভাবে দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের
মানসিক চিকিৎসকের কাছে একাধিকবার সহায়তা নিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক ঐ ব্যক্তি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় অভিযুক্ত
ব্যক্তির মধ্যে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ প্রকট হোতো। "বিশ্ববিদ্যালয়ের
পড়াশোনার চাপ নিতে পারতো না সে। মাঝেমধ্যেই ভারসাম্যহীন আচরণ করতো", বলেন
তিনি। ঐ ব্যক্তি জানান গত এক বছরের মধ্যে সাইবারজায়ার একটি মানসিক
চিকিৎসালয়েও দু'বার চিকিৎসা নিতে যান তিনি। ৩রা মার্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে
যাত্রা করার আগে তিনি সাইবারজায়ায় নিজের বাসায় ভাঙচুর করেন।
No comments