রাশিয়ায় নির্বাচন: জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে?
এ
সময় কোনো এক রোববার যদি রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, প্রায় ৭০ শতাংশ
রুশ ভোটার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্রে
যাবেন ৮০ শতাংশ ভোটার। রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টারের
(ভিছেইওএম) প্রকাশিত সর্বশেষ এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। ভিছেইওএম হচ্ছে
রাশিয়ার একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা। ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি সে দেশের
সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক খাতসহ নানা বিষয় নিয়ে জরিপ করে আসছে। আসন্ন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামনে রেখে গত ১৯ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
টেলিফোনে ভোটারদের মতামত নেয় ভিছেইওএম। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সাত হাজার রুশ ওই
জরিপে অংশ নেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষের
দিকে ভিছেইওএমের প্রকাশিত নতুন জরিপে দেখা যায়, ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ রুশরা
ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে ভোট দেবেন। তাঁর নিকটবর্তী প্রার্থী কমিউনিস্ট
পার্টির পাভেল গ্রুদিনিইন। তাঁকে সমর্থন করছেন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ভ্লাদিমির
ঝিরিনোভস্কিকে সমর্থন করছেন ৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া
একমাত্র নারী প্রার্থী নাগরিক উদ্যোগ দলের কেসেনিইয়া সাবচাক যিনি কিনা
রাশিয়ায় ‘প্যারিস হিলটন’ নামে পরিচিত,
তাঁকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ভোট
দেবেন। জরিপে অন্য প্রার্থীদের অবস্থান হচ্ছে গ্রিগোরি ইয়াভিলিনস্কি (দশমিক
৯ শতাংশ), বরিস তিতোভ (দশমিক ৩ শতাংশ), সেরগেই বাবুরিন (দশমিক ৩ শতাংশ) ও
মাক্সিম সুরাইকিন (দশমিক ১ শতাংশ)। জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা
রিয়া নোভাসতি জানায়, নাগরিক উদ্যোগ পার্টির প্রার্থী কেসেনিইয়া সাবচাকের
জনপ্রিয়তা গত কয়েক সপ্তাহে বেড়েছে। তাঁর সমর্থকের হার দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ১
দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রার্থীদেরও জনপ্রিয়তা অন্তত ১ শতাংশ করে বেড়েছে।
ভিছেইওএমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৮ মার্চ অন্তত ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার
তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এখনো পুরোপুরি
নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না যে ভোটকেন্দ্রে তাঁরা যাবেন কি না। ১৮ মার্চ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম এই দেশে
এখন বইছে ভোটের হাওয়া। আটজন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র পুতিন নির্বাচনে
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এখন ব্যস্ত
আছেন প্রার্থীরা। অংশ নিচ্ছেন টেলিভিশন বিতর্কে। গত শনিবার মস্কোর লুঝনিকি
স্টেডিয়ামে ‘ক্ষমতাধর রাশিয়া’ শিরোনামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন পুতিন।
No comments