সামরিক শক্তি বাড়াল চীন
সামরিক
শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে চীন। আগামী বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি অর্থের
বরাদ্দ ঘোষণা করেছে দেশটি। ২০১৯ সালের জন্য এক লাখ ১১ হাজার কোটি ইউয়ান
(১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) সামরিক বাজেট ঘোষণা করেছে চীন। টাকার অঙ্কে যা ১৪
লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৬ কোটিরও বেশি। দেশটির চলমান সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী
লি কেকিয়াং সোমবার এ বাজেট প্রকাশ করেন। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক বাজেটেও
সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) প্রেসিডেন্সি দুই
মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ধারাটিকে পরিবর্তনের উদ্যোগও নেয়া হবে। এর
মাধ্যমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইচ্ছামতো (আজীবন) ক্ষমতায় থাকতে
পারবেন। চীনের অভ্যন্তরেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলেও এ পদক্ষেপ জিনপিংকে
দেশটির নেতা মাও সেতুংয়ের মতো ক্ষমতাবান করে তুলবে। জিনপিংকে আজীবন ক্ষমতায়
রাখার বিষয়ে আগামী ১১ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে,
কংগ্রেস ভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হবে। এনপিসি মূলত একটি
রাবারস্ট্যাম্প পার্লামেন্ট। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন
করাই এর মূল কাজ। পার্লামেন্টের ৩ হাজার সদস্য কৌশলগতভাবে নির্বাচিত হলেও
বাস্তবে তা দলেরই ঠিক করা। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পার্লামেন্টের
এই বৈঠকের আয়োজন করা হলেও তার আগে বিরোধীদের বেইজিং থেকে বের করে দেয়া হয়।
এদিকে, চীনের জাতীয় পরিষদ ও শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের বার্ষিক সভা
বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। চলতি বছর দেশটির জাতীয় পরিষদ প্রেসিডেন্ট শি
জিনপিংয়ের ক্ষমতা অনেকখানি বাড়াবে- এ ধারণার মধ্যেই এই দুই অধিবেশনকে
রাজনৈতিক অঙ্গনে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চীনা
প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা ভেঙে আজীবন ক্ষমতায় থাকার বিধান নিয়ে
আগামী ১১ মাচ ভোটাভুটি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেস ভোটে প্রস্তাবটি
সর্বসম্মতভাবে পাস হবে। খবর বিবিসির। চীনের জাতীয় পরিষদ, ন্যাশনাল পিপলস
কংগ্রেসই (এনপিসি) দেশটির পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এটিই
রাষ্ট্রটির সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ। চলতি বছর চীনের বিভিন্ন প্রদেশ,
স্বায়ত্তশাসিত এলাকা, কেন্দ্রশাসিত মিউনিসিপ্যাল, হংকং ও ম্যাকাউর মতো
বিশেষ এলাকা ও সেনাবাহিনীর ২ হাজার ৯৮০ জন প্রতিনিধি এনপিসির বৈঠকে যোগ
দিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৪২ জনই নারী, যা মোট প্রতিনিধির ২৫ শতাংশ। এ সংখ্যা গত
বছরের বার্ষিক সভার তুলনায় অনেক বেশি। এবারের এনপিসিতে সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের ৪৩৮ জন ডেপুটি বা প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এনপিসির আগেই শুরু
হয়েছে চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) সভা।
No comments