ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে ইসরাইল: যুক্তরাষ্ট্র
এই খবরের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস ও লেবাননের বিরুদ্ধে গত এক বছর যাবত সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে ইসরাইল। গত মাসে লেবাননে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর এই উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। তখন ইসরাইলের হামলায় ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। যার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তেহরান। এরপর থেকেই পাল্টা প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে তেল আবিব। বিশ্লেষকরা বলছেন, উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
১লা অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইরানের হামলার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। যেকোনো সময় তেহরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে নেতানিয়াহুর বাহিনী। হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যা করার মাধ্যমেই ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
যদিও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে গণমাধ্যমটি বলেছে ইসরাইল কীভাবে এবং কখন তেহরানকে লক্ষ্যবস্তু করবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ইহুদিদের ধর্মীয় ছুটি ইয়োম কিপ্পুর সময় তেহরানের হামলার একটি প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কর্মকর্তারা।
এক বছর আগে গাজা যুদ্ধের শুরুতে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরাইলে রকেট হামলা করলে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্রভাবে বেড়েছে। হিজবুল্লাহ রোববার বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের রামিয়া গ্রামে অনুপ্রবেশে বাধা দিতে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের যোদ্ধারা।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ধ্বংস করতে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার ইসরাইলের বিমানবাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিসহ ২০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ সময় হিজবুল্লাহ কর্তৃক ছোড়া বেশ কয়েকটি রকেট লঞ্চার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
No comments