মেডিকেল রেকর্ড নিয়ে ডেমোক্রেট রিপাবলিকান কথার লড়াই

বিভিন্ন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ড ট্রাম্পকে ঘায়েল করে চলেছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। তিনি নিজের মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, কমালা চমৎকার স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শারীরিকভাবে যোগ্য। এ তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ট্রামেপর মেডিকেল রেকর্ড নিয়ে আক্রমণ করেন। বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্প তার স্বাস্থ্যগত রেকর্ড প্রকাশ করেননি। স্বচ্ছতায় ঘাটতি আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। কমালা হ্যারিস আরও বলেন, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী চান না যে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ জানতে পারুক তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শারীরিকভাবে যোগ্য কিনা। তবে ট্রাম্পের মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ না করে তার প্রচারণা টিম চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে বলেছেন, ট্রাম্প যথার্থ ও চমৎকার স্বাস্থ্যের অধিকারী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির থেকে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান এই প্রার্থী চরমমাত্রায় ব্যস্ত আছেন। তিনি প্রচারণা শিডিউল নিয়ে কাজ করছেন। তারা আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সহনশীলতা নেই কমালা হ্যারিসের।

হোয়াইট হাউস থেকে একটি মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশের পর এই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, বর্তমানের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিক এবং মানসিক যে সুস্থতা প্রয়োজন তা তার আছে। তিন বছর ধরে কমালা হ্যারিসের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্নেল ডা. জোশুয়া সিমনস। তিনি এপ্রিলের এক রিপোর্টে লিখেছেন, কমালা অবিস্মরণীয় স্বাস্থ্যের অধিকারী। তার সঙ্গে যোগ করেন তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তিনি আরও যোগ করেন, কমালা হ্যারিসের পরিবারে কোলন ক্যান্সার এবং এলার্জির ইতিহাস আছে। এ জন্য কমালা পূর্বেই সতর্কতা অবলম্বন করেন। এর মধ্যে তিনি কোলনস্কোপি করিয়েছেন। বার্ষিকভিত্তিতে ম্যামোগ্রাম করিয়েছেন। কমালা হ্যারিসের মেডিকেল  রেকর্ড প্রকাশের পর তার প্রচারণা টিমের এক মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পকে তার মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন- এবার আপনার পালা ডনাল্ড ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলাইনায় এক প্রচারণা সভার আগে ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। কিন্তু ট্রাম্প টিম এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তারা শুধু মুখেই বলছে, ট্রাম্প পারফেক্ট এবং এক্সিলেন্ট স্বাস্থ্যের অধিকারী।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থিতা জানান দিয়ে প্রচারণা শুরু করলে তাকে নিয়ে যেমনভাবে রিপাবলিকানরা সমালোচনা করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের বয়স এবং তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আক্রমণ করে চলেছেন ডেমোক্রেটরা। যদি ৫ই নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প নির্বাচিত হন তাহলে তা হবে এ পদে তার দ্বিতীয় মেয়াদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। তার মেয়াদ শেষে বয়স হবে ৮২ বছর। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। আগামী জানুয়ারিতে ৮২ বছর বয়সে ক্ষমতা ছাড়বেন বাইডেন। ফলে ক্ষমতা ছাড়ার সময় বাইডেনের ৮২ বছর বয়সের রেকর্ডকে স্পর্শ করে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হবেন তারা। ওদিকে কমালা হ্যারিসের শিবিরের সমালোচনা, চাপের জবাবে ট্রাম্পের প্রচারণা বিষয়ক যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং বলেন, ট্রাম্প স্বেচ্ছায় তার ব্যক্তিগত চিকিসকের কাছ থেকে আপডেট প্রকাশ করেছেন। পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পর ওই চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প চমৎকার স্বাস্থ্যের অধিকারী।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.