‘ন্যাশনাল ডে’ পালনের জেরে নতুন করে উত্তেজনায় চীন-তাইওয়ান
এতে বলা হয়, তাইওয়ানের মূল বন্দর এবং বিশেষ এলাকাকে টার্গেট করেই সীমান্তে এই মহড়া শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব এবং চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের জাতীয় ঐক্য রক্ষায় এই মহড়া বৈধ এবং প্রয়োজনীয় অপারেশন বলে মনে করছে বেইজিং। কবে নাগাদ এই মহড়া শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র লি শি।
চীনের এই মহড়াকে অযৌক্তিক এবং উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উপযুক্ত বাহিনীর মাধ্যমে টহল জোরদার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি যুদ্ধবিমান ও নৌ বাহিনীর ৭টি যুদ্ধজাহাজ সহ মোট ১১টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের সমুদ্র ও আকাশ সীমায় পাহারায় পাঠানো হয়েছে।
প্রসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, চীনের উচিত তাইওয়ানের জনগণের স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক জীবনযাপনের প্রতি সম্মান করা এবং সামরিক উস্কানি থেকে বিরত থাকা।
সম্প্রতি সময়ে চীন তাইওয়ান সীমান্তে নিজেদের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। তারা তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। চীনের হুমকি থাকা সত্ত্বেও এ বছরের ১০ অক্টোবর ‘ন্যাশনাল ডে’ পালন করেছে তাইওয়ানের জনগণ। দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ন্যাশনাল ডে পালিত হওয়ার কয়েকদিন পরেই সামরিক মহড়া শুরু করলো চীন। যেকোনো দখলদারিত্ব প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে ‘ন্যাশনাল ডে’ উপলক্ষ্যে দেয়া নিজের ভাষণে বলেছেন, তাইওয়ানের ২৩ মিলিয়ন মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার কোনো অধিকার নেই চীনের।
No comments