তুরস্ককে তার নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করতে দিন: ট্রাম্প
তুরস্ককে
তার নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার টুইটারে
দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আইএস জঙ্গি ও কুর্দি বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে সেখানে একটি সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী আঙ্কারা। এ সেফ জোনে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় আঙ্কারা। তুর্কি অভিযানের আগে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হলে তুরস্ককে সীমা অতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ইস্যুতে টুইটারে সিরিজ পোস্ট দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আইএস-এর কথিত খিলাফতকে শতভাগ পরাজিত করার পর আমি সিরিয়া থেকে মোটাদাগে আমাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছি। সিরিয়া ও আসাদকে কুর্দিদের রক্ষা করতে দিন। তুরস্ককে তার নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করতে দিন। আমার জেনারেলদের আমি বলেছি, কেন আমরা শত্রু ভূখণ্ড সিরিয়া ও আসাদের জন্য লড়াই করছি?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, কুর্দিদের সুরক্ষায় কেউ সিরিয়াকে সহায়তা করতে চাইলে তাকে আমি স্বাগত জানাই। এটা রাশিয়া, চীন কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট যে কেউই হতে পারে। আশা করি, তারা সবাই ভালো করবে। আমরা সাত হাজার মাইল দূরে!
তিনি বলেন, কিছু লোকজন চায় যুক্তরাষ্ট্র সাত হাজার মাইল দূরে অবস্থিত সিরিয়া সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করুক। আর এই দেশটি শাসন করছে আমাদের শত্রু বাশার আল আসাদ। সিরিয়া এবং অন্যরা কুর্দিদের সুরক্ষা চায়। আমি বরং আমাদের দক্ষিণ সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করবো, যা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ। যাই হোক, সীমানা দেয়ালটি নির্মিত হচ্ছে!
এদিকে উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সোমবার এক বৈঠকের পর আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত পারেননি তারা। তবে কয়েকটি সদস্য দেশের আঙ্কারায় অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্তকে স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে এটি জোরালো জাতীয় অবস্থানকেই ইঙ্গিত করে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইইউ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসে তাদের অবস্থান পর্যালোচনা ও সমন্বয় করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক জোটেরও একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
লুক্সেমবার্গে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিলো সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান। সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে তুরস্কের সামরিক কার্যক্রমের নিন্দা জানানো হয়। এই অভিযান পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করছে আর বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ ও বাস্তুহারা হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে মনে করে ইইউ।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই অঞ্চলের কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। সোমবারের আলোচনার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইয়েভস লা দ্রিয়ান বলেন, এই অভিযান মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হতে যাচ্ছে।
ওই অভিযান শুরুর জেরে জার্মানি, ফ্রান্সের পাশাপাশি সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করেছে। তবে আঙ্কারা বলছে, তাদের ওপর এর প্রভাব খুবই সামান্য। সুইডেন চায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক ইইউ। তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় থাকা জরুরি। এতে সফলতা না আসলে অন্য ব্যবস্থার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। সূত্র: টুইটার, আল জাজিরা।
২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আইএস জঙ্গি ও কুর্দি বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে সেখানে একটি সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী আঙ্কারা। এ সেফ জোনে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় আঙ্কারা। তুর্কি অভিযানের আগে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হলে তুরস্ককে সীমা অতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ইস্যুতে টুইটারে সিরিজ পোস্ট দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আইএস-এর কথিত খিলাফতকে শতভাগ পরাজিত করার পর আমি সিরিয়া থেকে মোটাদাগে আমাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছি। সিরিয়া ও আসাদকে কুর্দিদের রক্ষা করতে দিন। তুরস্ককে তার নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করতে দিন। আমার জেনারেলদের আমি বলেছি, কেন আমরা শত্রু ভূখণ্ড সিরিয়া ও আসাদের জন্য লড়াই করছি?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, কুর্দিদের সুরক্ষায় কেউ সিরিয়াকে সহায়তা করতে চাইলে তাকে আমি স্বাগত জানাই। এটা রাশিয়া, চীন কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট যে কেউই হতে পারে। আশা করি, তারা সবাই ভালো করবে। আমরা সাত হাজার মাইল দূরে!
তিনি বলেন, কিছু লোকজন চায় যুক্তরাষ্ট্র সাত হাজার মাইল দূরে অবস্থিত সিরিয়া সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করুক। আর এই দেশটি শাসন করছে আমাদের শত্রু বাশার আল আসাদ। সিরিয়া এবং অন্যরা কুর্দিদের সুরক্ষা চায়। আমি বরং আমাদের দক্ষিণ সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করবো, যা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ। যাই হোক, সীমানা দেয়ালটি নির্মিত হচ্ছে!
এদিকে উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সোমবার এক বৈঠকের পর আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত পারেননি তারা। তবে কয়েকটি সদস্য দেশের আঙ্কারায় অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্তকে স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে এটি জোরালো জাতীয় অবস্থানকেই ইঙ্গিত করে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইইউ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসে তাদের অবস্থান পর্যালোচনা ও সমন্বয় করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক জোটেরও একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
লুক্সেমবার্গে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিলো সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান। সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে তুরস্কের সামরিক কার্যক্রমের নিন্দা জানানো হয়। এই অভিযান পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করছে আর বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ ও বাস্তুহারা হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে মনে করে ইইউ।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই অঞ্চলের কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। সোমবারের আলোচনার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইয়েভস লা দ্রিয়ান বলেন, এই অভিযান মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হতে যাচ্ছে।
ওই অভিযান শুরুর জেরে জার্মানি, ফ্রান্সের পাশাপাশি সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করেছে। তবে আঙ্কারা বলছে, তাদের ওপর এর প্রভাব খুবই সামান্য। সুইডেন চায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক ইইউ। তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় থাকা জরুরি। এতে সফলতা না আসলে অন্য ব্যবস্থার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। সূত্র: টুইটার, আল জাজিরা।
No comments