লাখ কোটি টাকায় আরো দুই মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদন
সরকারি
আবাসিক ভবনে আর গ্যাস সংযোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ
ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণে বেশকিছু নির্দেশনাও
দিয়েছেন তিনি। এদিকে রাজধানীর যানজট নিরসনে নতুন দুটি মেট্রোরেল নির্মাণসহ
১০ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী
কমিটি (একনেক)। এতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা। গতকাল জাতীয়
অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে
প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার বিষয়ে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ
মান্নান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি সব বাসভবনে নেট লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এখন থেকে যেসব সরকারি বাড়ি তৈরি করা হবে তার সবগুলোতে মসকিউটো নেটিং থাকতে হবে। সেই সঙ্গে আর্বজনা ডিসপোজালের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বাড়ির নিচতলায় গাড়ি চালকদের জন্য টয়লেট, নামাজ পড়ার জায়গা ও বিশ্রামের জায়গা থাকতে হবে। সরকারি বাসভবনে গ্যাস সংযোগের বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, এখন সরকারি আবাসিক ভবনে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারে মানুষকে অভ্যস্ত হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, এখন সরকারি অর্থে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও আগামীতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আগামীতে ধানমণ্ডিকে ধরে আশপাশের এলাকার জন্য মেট্রোরেল তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মেট্রোরেলের ব্যয়ের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এখন বেশি জমি অধিগ্রহণ করায় নতুন মেট্রোরেলের ব্যয় বেশি হচ্ছে। এছাড়া মাটির নিচে ও এলিভেটেড দুই ধরনের হওয়ায় কারিগরি অনেক বিষয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রকল্প সময়ের মধ্যেই সংশোধন করতে হবে। সময় শেষে নিয়ে আসা যাবে না।
এদিকে একনেক সভায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ৩১.২৪১ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ ও হেমায়েতপুর-আমিনবাজার-গাবতলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এমআরটি (লাইন-১) নির্মাণের জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৫২,৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার বহন করবে ১৩,১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা, ৩৯,৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ।
এমআরটি (লাইন-৫) নির্মাণ সম্পন্নের জন্য মেয়াদ রাখা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ৪১,২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এতে সরকারি অর্থায়ন ১২,১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। বৈদেশিক ঋণ ২৯,১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অনুমোদিত ১০ প্রকল্প: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’; ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট; ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার (বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি সব বাসভবনে নেট লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এখন থেকে যেসব সরকারি বাড়ি তৈরি করা হবে তার সবগুলোতে মসকিউটো নেটিং থাকতে হবে। সেই সঙ্গে আর্বজনা ডিসপোজালের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বাড়ির নিচতলায় গাড়ি চালকদের জন্য টয়লেট, নামাজ পড়ার জায়গা ও বিশ্রামের জায়গা থাকতে হবে। সরকারি বাসভবনে গ্যাস সংযোগের বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, এখন সরকারি আবাসিক ভবনে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারে মানুষকে অভ্যস্ত হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, এখন সরকারি অর্থে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও আগামীতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আগামীতে ধানমণ্ডিকে ধরে আশপাশের এলাকার জন্য মেট্রোরেল তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মেট্রোরেলের ব্যয়ের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এখন বেশি জমি অধিগ্রহণ করায় নতুন মেট্রোরেলের ব্যয় বেশি হচ্ছে। এছাড়া মাটির নিচে ও এলিভেটেড দুই ধরনের হওয়ায় কারিগরি অনেক বিষয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রকল্প সময়ের মধ্যেই সংশোধন করতে হবে। সময় শেষে নিয়ে আসা যাবে না।
এদিকে একনেক সভায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ৩১.২৪১ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ ও হেমায়েতপুর-আমিনবাজার-গাবতলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এমআরটি (লাইন-১) নির্মাণের জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৫২,৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার বহন করবে ১৩,১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা, ৩৯,৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ।
এমআরটি (লাইন-৫) নির্মাণ সম্পন্নের জন্য মেয়াদ রাখা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ৪১,২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এতে সরকারি অর্থায়ন ১২,১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। বৈদেশিক ঋণ ২৯,১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অনুমোদিত ১০ প্রকল্প: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’; ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট; ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার (বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
No comments