রাইস্টচার্চ হামলার শিকার: নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশী ২ বিধবার মানবিক আবেদন
সন্তান কোলে সানজিদা নেহা |
নিউজিল্যান্ডে
বিশেষ আবাসিক সুবিধার আবেদন করছেন দুই বাংলাদেশী নারী রিনা আকতার ও
সানজিদা নেহা। ১৫ই মার্চ ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্ট মসজিদে
গুলি করে যেসব মানুষকে হত্যা করেছিল তার মধ্যে ছিলেন এই দুই বাংলাদেশী
নারীর স্বামী। রিনার স্বামী জাকারিয়া। আর সানজিদার স্বামী ওমর ফারুক। ওই
হত্যাকাণ্ডের সময় রিনা ও সানজিদা ছিলেন বাংলাদেশে। তারা প্রথমবার
নিউজিল্যান্ডে যান তাদের স্বামীর লাশ গ্রহণ করতে। তারা আবাসিক মর্যাদা দাবি
করে আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন
বিভাগ।
ফলে তাদেরকে এই ডিসেম্বরে ফিরে আসতে বাধ্য হতে হবে। এমন অবস্থায় তারা দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ান লিস-গ্যালোওয়ের কাছে বিশেষ অভিবাসন বিষয়ক আবেদন বিবেচনার জন্য আপিল করার পরিকল্পনা করছেন। তারা চান ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির পরিবারের জন্য স্পেশাল রেসিডেন্সি ভিসা। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের টিভিএনজেড অনলাইন একটি বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে।
রিনা আকতার প্রথমবার নিউজিল্যান্ডে যান তার স্বামীর লাশ গ্রহণ করতে। কিন্তু তিনি এখন সেখানে বসবাস করতে চান। রিনা বলেছেন, তার স্বামী জাকারিয়া ছিলেন তার জীবনের ভালবাসা। তারা ছিলেন খুবই সুখী দম্পতি। ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর পর পরই ওয়ার্কিং ভিসায় জাকারিয়া চলে যান নিউজিল্যান্ডে। যখন ক্রাইস্টচার্চে হামলা হয় ওই সময়কালে রিনার নিজের ভিসা প্রক্রিয়াধীন ছিল। তবে তা শেষ হয় নি। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে তাকে চলে যেতে হয় নিউজিল্যান্ডে। কিন্তু এখন আর সেখানে থাকতে পারবেন না তিনি। বছর শেষ হওয়ার আগেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাকারিয়া টাকা জমা করার জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করছিলেন, যাতে স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে একটি চমৎকার দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারেন। তারা বহু দূরে অবস্থান করলেও আশা ছিল খুব শিগগিরই রিনাকে তিনি নিউজিল্যান্ডে নিতে পারবেন। সেই দেশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পালন করবেন হানিমুন।
রিনা বলেছেন, দেশে থাকতে ঘন ঘন তিনি জাকারিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। কথা বলতে বলতে দু’জনেই ফোন খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়তেন। এরই এক পর্যায়ে ১৫ই মার্চ ছিল জাকারিয়ার ৩৫তম জন্মদিন। এদিন তিনি কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। দিনটি ছিল শুক্রবার। তাই জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন আল নূর মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করার সময় সন্ত্রাসী ব্রেন্টন তাদের ওপর গুলি করে। আর মুহূর্তের মধ্যে জীবন পাল্টে যায় রিনার। তবে তার স্বপ্ন মরে নি। এখনও তিনি স্বপ্ন দেখেন নিউজিল্যান্ডে বসবাস করবেন।
নিউজিল্যান্ডে ওয়েল্ডারের কাজ করতেন জাকারিয়া। সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন খুবই প্রিয় একজন মানুষ। তার মৃত্যুর পর তার নিয়োগদাতা একটি অনলাইন পেজ খুলে তার বিধবা স্ত্রী রিনার জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। চার সপ্তাহে এই পেজের মাধ্যমে ১৮২ জন দাতার কাছ থেকে সংগৃহীত হয় ৩৬ হাজার ডলারের বেশি। রিনা প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানে ৫ দিন অবস্থান করেন। এ সময়ে তার প্রধান কাজ ছিল স্বামীর লাশ বুঝে পাওয়া ও তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। এরপর তিনি ভিজিটর ভিসায় আবার যান নিউজিল্যান্ডে। তার আশা সেখানে জীবন গড়ে তুলবেন জাকারিয়ার পরিকল্পনামতো। এরপর তিনি রেসিডেন্সি ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষ।
রিনার মতোই আরেকজন বিধবা সানজিদা নেহা। তার স্বামী ওমর ফারুক (৩৬) একটি স্টিল প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার আয়ে বাংলাদেশে স্ত্রী সানজিদা, তার মা ও এক বোনের খরচ চলতো। ওমরের অন্য দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। এ সময় তিনিও সানজিদাকে নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বন্দুকধারী ব্রেন্টন মুহূর্তের মধ্যে সেই স্বপ্নকে শেষ করে দিয়েছে। ওদিকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন সানজিদা। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেই তিনি সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম রেখেছেন নূরে ওমর। অর্থাৎ ওমরের আলো। সানজিদা মনে করেন এই শিশুটি তার কাছে একটি উপহার। তাকেও ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ফলে এই দুই বিধবা নারী এখন নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে স্পেশাল রেসিডেন্সি ভিসা চেয়ে নতুন করে আপিল জমা দেবেন।
ফলে তাদেরকে এই ডিসেম্বরে ফিরে আসতে বাধ্য হতে হবে। এমন অবস্থায় তারা দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ান লিস-গ্যালোওয়ের কাছে বিশেষ অভিবাসন বিষয়ক আবেদন বিবেচনার জন্য আপিল করার পরিকল্পনা করছেন। তারা চান ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির পরিবারের জন্য স্পেশাল রেসিডেন্সি ভিসা। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের টিভিএনজেড অনলাইন একটি বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে।
রিনা আকতার প্রথমবার নিউজিল্যান্ডে যান তার স্বামীর লাশ গ্রহণ করতে। কিন্তু তিনি এখন সেখানে বসবাস করতে চান। রিনা বলেছেন, তার স্বামী জাকারিয়া ছিলেন তার জীবনের ভালবাসা। তারা ছিলেন খুবই সুখী দম্পতি। ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর পর পরই ওয়ার্কিং ভিসায় জাকারিয়া চলে যান নিউজিল্যান্ডে। যখন ক্রাইস্টচার্চে হামলা হয় ওই সময়কালে রিনার নিজের ভিসা প্রক্রিয়াধীন ছিল। তবে তা শেষ হয় নি। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে তাকে চলে যেতে হয় নিউজিল্যান্ডে। কিন্তু এখন আর সেখানে থাকতে পারবেন না তিনি। বছর শেষ হওয়ার আগেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাকারিয়া টাকা জমা করার জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করছিলেন, যাতে স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে একটি চমৎকার দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারেন। তারা বহু দূরে অবস্থান করলেও আশা ছিল খুব শিগগিরই রিনাকে তিনি নিউজিল্যান্ডে নিতে পারবেন। সেই দেশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পালন করবেন হানিমুন।
রিনা বলেছেন, দেশে থাকতে ঘন ঘন তিনি জাকারিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। কথা বলতে বলতে দু’জনেই ফোন খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়তেন। এরই এক পর্যায়ে ১৫ই মার্চ ছিল জাকারিয়ার ৩৫তম জন্মদিন। এদিন তিনি কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। দিনটি ছিল শুক্রবার। তাই জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন আল নূর মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করার সময় সন্ত্রাসী ব্রেন্টন তাদের ওপর গুলি করে। আর মুহূর্তের মধ্যে জীবন পাল্টে যায় রিনার। তবে তার স্বপ্ন মরে নি। এখনও তিনি স্বপ্ন দেখেন নিউজিল্যান্ডে বসবাস করবেন।
নিউজিল্যান্ডে ওয়েল্ডারের কাজ করতেন জাকারিয়া। সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন খুবই প্রিয় একজন মানুষ। তার মৃত্যুর পর তার নিয়োগদাতা একটি অনলাইন পেজ খুলে তার বিধবা স্ত্রী রিনার জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। চার সপ্তাহে এই পেজের মাধ্যমে ১৮২ জন দাতার কাছ থেকে সংগৃহীত হয় ৩৬ হাজার ডলারের বেশি। রিনা প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানে ৫ দিন অবস্থান করেন। এ সময়ে তার প্রধান কাজ ছিল স্বামীর লাশ বুঝে পাওয়া ও তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। এরপর তিনি ভিজিটর ভিসায় আবার যান নিউজিল্যান্ডে। তার আশা সেখানে জীবন গড়ে তুলবেন জাকারিয়ার পরিকল্পনামতো। এরপর তিনি রেসিডেন্সি ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষ।
রিনার মতোই আরেকজন বিধবা সানজিদা নেহা। তার স্বামী ওমর ফারুক (৩৬) একটি স্টিল প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার আয়ে বাংলাদেশে স্ত্রী সানজিদা, তার মা ও এক বোনের খরচ চলতো। ওমরের অন্য দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। এ সময় তিনিও সানজিদাকে নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বন্দুকধারী ব্রেন্টন মুহূর্তের মধ্যে সেই স্বপ্নকে শেষ করে দিয়েছে। ওদিকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন সানজিদা। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেই তিনি সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম রেখেছেন নূরে ওমর। অর্থাৎ ওমরের আলো। সানজিদা মনে করেন এই শিশুটি তার কাছে একটি উপহার। তাকেও ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ফলে এই দুই বিধবা নারী এখন নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে স্পেশাল রেসিডেন্সি ভিসা চেয়ে নতুন করে আপিল জমা দেবেন।
No comments