আমেরিকা বুঝতে পেরেছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেছে: শামখানি
আলী শামখানি |
ইরানের
সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি "আমেরিকাবিহীন
মধ্যপ্রাচ্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা" শীর্ষক একটি নিবন্ধে এ অঞ্চলে
নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিতে মার্কিন ভূমিকা ও তাদের নীতির ব্যর্থতার নানা দিক
তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেছেন, "ধারণা করা হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে মার্কিন কর্মকর্তারা এটা বুঝতে পেরেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেছে এবং এ অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন সরকার ব্যাপক প্রচার চালালেও এখন আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ক্ষমতা বা শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করার মতো অবস্থায় নেই।" শামখানি মনে করেন, "আমেরিকা এটাও বুঝতে পেরেছে তাদের সামনে এখন দু'টি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য হয় বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে যার সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নেই। অথবা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা মেনে বিরাট ব্যয়ভার কিংবা ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে আমেরিকাকে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, আমেরিকা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা কখনোই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে না এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একদিকে, আমেরিকা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ লেলিয়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়াকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার সহায়তায় সৌদি আরব গত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে ইয়েমেনে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার আসল চরিত্র ও উদ্দেশ্যের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
আমেরিকাই মধ্যপ্রাচ্যে গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা নানা সংকট ও যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এখনো তারা এ অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে। যদিও তাদের জোট গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে না কিন্তু এর মাধ্যমে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিতে মার্কিন ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট গেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকার ভুল নীতি এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এর জন্য মার্কিন কর্মকর্তারাই দায়ী।
১৫ বছর আগে খ্যাতনামা মার্কিন চিন্তাবিদ স্যামুয়েল হান্টিংটন সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, আমেরিকা স্বেচ্ছাচারী পরাশক্তি হতে চলেছে। এ ব্যাপারে আরেক খ্যাতনামা চিন্তাবিদ নওম চমস্কি বলেছেন, এ ধরনের আইনলঙ্ঘনকারী ও স্বেচ্ছাচারী দেশগুলো লুটতরাজে ব্যস্ত এবং তারা চায় না এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়াক। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং সৌদি আরব তাদের প্রধান সহযোগী।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বহুবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা ইরানের নেই। গত ১৪ বছর ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি এর প্রমাণ। তারা সেখানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা তো দূরের কথা বরং পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, বিদেশিদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বরং এর জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতা। এ ক্ষেত্রে ইরান এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে এবং বহু দেশ এটাকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, "ধারণা করা হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে মার্কিন কর্মকর্তারা এটা বুঝতে পেরেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেছে এবং এ অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন সরকার ব্যাপক প্রচার চালালেও এখন আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ক্ষমতা বা শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করার মতো অবস্থায় নেই।" শামখানি মনে করেন, "আমেরিকা এটাও বুঝতে পেরেছে তাদের সামনে এখন দু'টি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য হয় বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে যার সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নেই। অথবা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা মেনে বিরাট ব্যয়ভার কিংবা ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে আমেরিকাকে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, আমেরিকা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা কখনোই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে না এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একদিকে, আমেরিকা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ লেলিয়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়াকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার সহায়তায় সৌদি আরব গত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে ইয়েমেনে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার আসল চরিত্র ও উদ্দেশ্যের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
আমেরিকাই মধ্যপ্রাচ্যে গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা নানা সংকট ও যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এখনো তারা এ অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে। যদিও তাদের জোট গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে না কিন্তু এর মাধ্যমে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিতে মার্কিন ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট গেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকার ভুল নীতি এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এর জন্য মার্কিন কর্মকর্তারাই দায়ী।
১৫ বছর আগে খ্যাতনামা মার্কিন চিন্তাবিদ স্যামুয়েল হান্টিংটন সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, আমেরিকা স্বেচ্ছাচারী পরাশক্তি হতে চলেছে। এ ব্যাপারে আরেক খ্যাতনামা চিন্তাবিদ নওম চমস্কি বলেছেন, এ ধরনের আইনলঙ্ঘনকারী ও স্বেচ্ছাচারী দেশগুলো লুটতরাজে ব্যস্ত এবং তারা চায় না এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়াক। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং সৌদি আরব তাদের প্রধান সহযোগী।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বহুবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা ইরানের নেই। গত ১৪ বছর ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি এর প্রমাণ। তারা সেখানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা তো দূরের কথা বরং পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, বিদেশিদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বরং এর জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতা। এ ক্ষেত্রে ইরান এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে এবং বহু দেশ এটাকে স্বাগত জানিয়েছে।
No comments