চার বড় ভাইকে নিয়ে সিলেটে নানা জল্পনা by ওয়েছ খছরু
চারজনই
‘বড় ভাই’। সিলেটে তাদের এই পরিচয়ই মুখ্য। কেউ কেউ গ্রুপিং রাজনীতির শীর্ষ
ব্যক্তিত্ব। একেক গ্রুপের নেতা তারা। বলা যায় নিয়ন্ত্রকও। বিশাল ক্ষমতা
তাদের হাতে। মুহূর্তে কাঁপিয়ে দিতে পারেন সিলেটের রাজপথ। ডাক দিলেই হাজির
হাজারো কর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে তারা লালন করছেন এসব কর্মী বাহিনীকে। এ কারণে সিলেটের ছাত্রলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক বনে গেছেন তারা। এক সময় তারা নিজেরাও ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। শীর্ষ পদ থেকে সাবেক হয়েছেন। এরপর থেকে তারা নিজেরাই গড়ে তোলেন গ্রুপ। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে তারা কখনো হয়েছেন বিতর্কিত, আবার সমালোচিত। ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতির আঁচড় পড়েছে তাদের ক্লিন ইমেজে। এতে তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। যতটা সম্ভব কন্ট্রোল করেই চালাচ্ছেন রাজনীতি।
এখন তারা আওয়ামী লীগের মাঝারি সারির নেতা। সিনিয়রদের হাত থেকে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণও চলে আসতে শুরু করেছে তাদের হাতে। আর এবারই হচ্ছে তাদের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এই চার বড় ভাই হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সন্নিকটে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশে বর্ধিত সভা করে দু’টি ইউনিটেরই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছেন এই চার বড় ভাই। তাদের নিজেদের কর্মীবাহিনী সরব হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রচারণা। দু’টি ইউনিটেরই সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে চলছে আলোচনা। এ কারণে আওয়ামী লীগের ভেতরেও শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে- এই চারজনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরীর কোনো গ্রুপ নেই। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম। আর বাকি তিনজনই হচ্ছেন সিলেট ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের নিয়ন্ত্রক। তাদের কর্মী বাহিনীও কয়েক হাজার। এসব কর্মীবাহিনীর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তারা প্রায়ই বিতর্কিত হয়েছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী।
এমসি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু। এরপর তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হওয়ার কারণে সরাসরি তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়। ২০১১ সালের কমিটিতে তিনি যুুগ্ম সম্পাদক হন। নাসির উদ্দিন খান সিলেট ছাত্রলীগের তেলীহাওর ব্লকের বড় ভাই। ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনে রয়েছে তার কর্তৃত্ব। সর্বশেষ সিলেট চেম্বার নির্বাচনের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সিলেট চেম্বার সুষ্ঠুু নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে প্রশংসিত হন তিনি। নাসির বলয়ের নেতারা জানিয়েছেন- এবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগে পরিবর্তনের সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ কারণে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে নাসির উদ্দিন খান চমক দেখাতে পারেন। সিলেটে কোনো গ্রুপিং রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জগলু চৌধুরী। এককালে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করতেন।
সিলেটে তার কোনো গ্রুপ নেই। এরপরও সাবেক সভাপতি হওয়ার কারণে সব বলয়ের নেতাদের কাছে তিনি বড় ভাই হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। সফলতার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বালাগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে অল্পভোটে তিনি পরাজয় বরণ করেন। এরপর সিলেট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। জগলু চৌধুরী এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। সিনিয়রদের বাদ দিয়ে জুনিয়রদের সুযোগ এলে তিনি এ পদে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন। গোটা জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তবে- দলের প্রয়োজন তিনি যে কোনো অবস্থানেই থেকেই কাজ করতে চান। জেলা আওয়ামী লীগে নাসির ও জগলু যেমনি সাধারণ সম্পাদকের জন্য লবিং চালাচ্ছেন তেমনি মহানগর আওয়ামী লীগে ব্যস্ত নাদেল ও আজাদ। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সিলেটের পরিচিত মুখ।
এক নামেই তাকে চিনেন সবাই। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১১ সালে নতুন কমিটি গঠনের সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। শেষে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এবার সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় তিনি শক্তিশালী প্রার্থী। মহানগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। সিলেটের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছে তার হাত ধরেই। সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ নেতা এখন তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আস্থাভাজন নেতা হওয়ার কারণে সিলেটের রাজনীতিতে তিনি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘদিন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সিলেটের নূর হোসেন ব্লক ছাত্রলীগের বড় ভাই তিনি। যুবলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনেও রয়েছে তারা কর্তৃত্ব। এছাড়া তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতা। সিলেটের রাজনীতিতে নাদেলের ক্লিন ইমেজ থাকলেও ক্রীড়াঙ্গনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে তার বিতর্কের ছোঁয়া লেগেছে। আজাদুর রহমান আজাদ হচ্ছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপের বড় ভাই। বর্তমানে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। এর আগে তিনি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে আজাদুর রহমান আজাদ বার বার বিতর্কিত হয়েছেন। সর্বশেষ, তার গ্রুপের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। টিলাগড়ে প্রভাব রয়েছে আজাদের পরিবারের। এবার আজাদুর রহমান আজাদ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। বর্তমানে তিনি আমেরিকা সফরে থাকলেও তার গ্রুপের নেতারা ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে সরব রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের একাধিকবারের কাউন্সিলর। গেল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হন। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকেন্দ্রিক নানা ঘটনায় তিনি আলোচিত।
দীর্ঘদিন ধরে তারা লালন করছেন এসব কর্মী বাহিনীকে। এ কারণে সিলেটের ছাত্রলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক বনে গেছেন তারা। এক সময় তারা নিজেরাও ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। শীর্ষ পদ থেকে সাবেক হয়েছেন। এরপর থেকে তারা নিজেরাই গড়ে তোলেন গ্রুপ। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে তারা কখনো হয়েছেন বিতর্কিত, আবার সমালোচিত। ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতির আঁচড় পড়েছে তাদের ক্লিন ইমেজে। এতে তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। যতটা সম্ভব কন্ট্রোল করেই চালাচ্ছেন রাজনীতি।
এখন তারা আওয়ামী লীগের মাঝারি সারির নেতা। সিনিয়রদের হাত থেকে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণও চলে আসতে শুরু করেছে তাদের হাতে। আর এবারই হচ্ছে তাদের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এই চার বড় ভাই হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সন্নিকটে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশে বর্ধিত সভা করে দু’টি ইউনিটেরই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছেন এই চার বড় ভাই। তাদের নিজেদের কর্মীবাহিনী সরব হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রচারণা। দু’টি ইউনিটেরই সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে চলছে আলোচনা। এ কারণে আওয়ামী লীগের ভেতরেও শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে- এই চারজনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরীর কোনো গ্রুপ নেই। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম। আর বাকি তিনজনই হচ্ছেন সিলেট ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের নিয়ন্ত্রক। তাদের কর্মী বাহিনীও কয়েক হাজার। এসব কর্মীবাহিনীর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তারা প্রায়ই বিতর্কিত হয়েছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী।
এমসি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু। এরপর তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হওয়ার কারণে সরাসরি তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়। ২০১১ সালের কমিটিতে তিনি যুুগ্ম সম্পাদক হন। নাসির উদ্দিন খান সিলেট ছাত্রলীগের তেলীহাওর ব্লকের বড় ভাই। ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনে রয়েছে তার কর্তৃত্ব। সর্বশেষ সিলেট চেম্বার নির্বাচনের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সিলেট চেম্বার সুষ্ঠুু নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে প্রশংসিত হন তিনি। নাসির বলয়ের নেতারা জানিয়েছেন- এবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগে পরিবর্তনের সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ কারণে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে নাসির উদ্দিন খান চমক দেখাতে পারেন। সিলেটে কোনো গ্রুপিং রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জগলু চৌধুরী। এককালে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করতেন।
সিলেটে তার কোনো গ্রুপ নেই। এরপরও সাবেক সভাপতি হওয়ার কারণে সব বলয়ের নেতাদের কাছে তিনি বড় ভাই হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। সফলতার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বালাগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে অল্পভোটে তিনি পরাজয় বরণ করেন। এরপর সিলেট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। জগলু চৌধুরী এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। সিনিয়রদের বাদ দিয়ে জুনিয়রদের সুযোগ এলে তিনি এ পদে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন। গোটা জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তবে- দলের প্রয়োজন তিনি যে কোনো অবস্থানেই থেকেই কাজ করতে চান। জেলা আওয়ামী লীগে নাসির ও জগলু যেমনি সাধারণ সম্পাদকের জন্য লবিং চালাচ্ছেন তেমনি মহানগর আওয়ামী লীগে ব্যস্ত নাদেল ও আজাদ। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সিলেটের পরিচিত মুখ।
এক নামেই তাকে চিনেন সবাই। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১১ সালে নতুন কমিটি গঠনের সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। শেষে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এবার সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় তিনি শক্তিশালী প্রার্থী। মহানগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। সিলেটের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছে তার হাত ধরেই। সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ নেতা এখন তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আস্থাভাজন নেতা হওয়ার কারণে সিলেটের রাজনীতিতে তিনি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘদিন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সিলেটের নূর হোসেন ব্লক ছাত্রলীগের বড় ভাই তিনি। যুবলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনেও রয়েছে তারা কর্তৃত্ব। এছাড়া তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতা। সিলেটের রাজনীতিতে নাদেলের ক্লিন ইমেজ থাকলেও ক্রীড়াঙ্গনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে তার বিতর্কের ছোঁয়া লেগেছে। আজাদুর রহমান আজাদ হচ্ছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপের বড় ভাই। বর্তমানে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। এর আগে তিনি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে আজাদুর রহমান আজাদ বার বার বিতর্কিত হয়েছেন। সর্বশেষ, তার গ্রুপের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। টিলাগড়ে প্রভাব রয়েছে আজাদের পরিবারের। এবার আজাদুর রহমান আজাদ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। বর্তমানে তিনি আমেরিকা সফরে থাকলেও তার গ্রুপের নেতারা ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে সরব রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের একাধিকবারের কাউন্সিলর। গেল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হন। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকেন্দ্রিক নানা ঘটনায় তিনি আলোচিত।
No comments