১০ দিনের রিমান্ডে ক্যাসিনো সম্রাট
মাদক
ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত
সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ
ছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি
এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। গতকাল শুনানি শেষে
ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। পৃথক দুই মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা মাদক ও অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে ২০ দিন ও মাদক মামলায় আরমানকে ১০
দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও আরমানকে বেলা ১১ টা
৪৫ মিনিটে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ঢাকার আদালতে আনা হয়। রাখা হয়
আদালতের হাজতখানায়। পরে পৌনে একটার দিকে সম্রাট ও আরমানকে হাতকড়া পড়িয়ে
আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট।
কড়া নিরাপত্তায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আনা হয় ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গনে। কোর্টের সামনে মোতায়েন ছিল বিপুল পরিমান পুলিশ। দুপুর ১২ টা ৩৭ মিনিটে গারদ খানা থেকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করার জন্য বের করা হয়। এসময় পুলিশ ও ডিবির শতাধিক কর্মকর্তা নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে সিএমএম ভবনে নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন সম্রাটের অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। সম্রাটকে একটু দেখার জন্য উৎসুক জনতাও ভিড় করেন। সবার ভিড় ঠেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিয়ে যান সিএমএম ভবনের ২৭ নম্বর কোর্টে। এই কোর্টে বিচারকের আসনে ছিলেন মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। অস্ত্র ও মাদক মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাজ্জাদুল হক শিহাব, তাপস পাল ও আজাদ রহমান। আর সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা, গাজী জিল্লুর রহমান, মো. খায়রুল ইসলাম, আকতার হোসেন ও সাইদুর রহমান। কাঠগড়ার ভেতরে সম্রাটের গাঁ থেকে ঘাম ঝরতে দেখা যায়। তার মুখ ছিল মলিন। মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শুরু করার অনুমতি দিলে সম্রাটের এক আইনজীবি আদালতের উদ্দেশ্য বলেন, হুজুর আপনার কাস্টডিতে দাড়িয়ে আছেন সম্রাট। তিনি খুব অসুস্থ তাই শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার হ্যান্ডকাপটি খুলে দেবার অনুমতি দিন। তখন হাকিম বিষয়টি পরে দেখা যাবে বলে শুনানি শুরু করতে বলেন।
রমনা থানার দায়ের করা অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আব্দুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানান মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাকরাইল অফিসে তার সহযোগিরা অবস্থান করছেন। পরে উর্ধ্বতনদের অবহিত করে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইল অফিসে অভিযান চালানো হয়। পরে সম্রাটের বেডরুমের তোষকের নিচ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এই পিস্তলটির কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। তাই ধারনা করা হচ্ছে তার কাছে আরও অস্ত্র থাকতে পারে। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এসময় তিনি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মাদক মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, সম্রাটের অফিস থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ ও ১১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তাই তার কাছে আর কোনো মাদক আছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
এসব মামলার শুনানিতে সম্রাটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, সম্রাট যুবলীগ দক্ষিণের একজন নেতা। হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে মন থেকে ভালবাসে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তার কাছে কোনো অস্ত্র- মাদক পাওয়া যায়নি। অথচ তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আর এখন এসব মামলায় পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
শুনানি শেষে মাদক ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গত ৬ই অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বেলা একটার দিকে তার কাকরাইল অফিসে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। সম্রাটের দেখানো মতে তার বেডরুমের জাজিমের ওপরে তোষকের নিচ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কাকরাইলে সম্রাটকে নিয়ে অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ প্যাকেট তাস ও ১ হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
কড়া নিরাপত্তায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আনা হয় ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গনে। কোর্টের সামনে মোতায়েন ছিল বিপুল পরিমান পুলিশ। দুপুর ১২ টা ৩৭ মিনিটে গারদ খানা থেকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করার জন্য বের করা হয়। এসময় পুলিশ ও ডিবির শতাধিক কর্মকর্তা নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে সিএমএম ভবনে নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন সম্রাটের অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। সম্রাটকে একটু দেখার জন্য উৎসুক জনতাও ভিড় করেন। সবার ভিড় ঠেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিয়ে যান সিএমএম ভবনের ২৭ নম্বর কোর্টে। এই কোর্টে বিচারকের আসনে ছিলেন মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। অস্ত্র ও মাদক মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাজ্জাদুল হক শিহাব, তাপস পাল ও আজাদ রহমান। আর সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা, গাজী জিল্লুর রহমান, মো. খায়রুল ইসলাম, আকতার হোসেন ও সাইদুর রহমান। কাঠগড়ার ভেতরে সম্রাটের গাঁ থেকে ঘাম ঝরতে দেখা যায়। তার মুখ ছিল মলিন। মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শুরু করার অনুমতি দিলে সম্রাটের এক আইনজীবি আদালতের উদ্দেশ্য বলেন, হুজুর আপনার কাস্টডিতে দাড়িয়ে আছেন সম্রাট। তিনি খুব অসুস্থ তাই শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার হ্যান্ডকাপটি খুলে দেবার অনুমতি দিন। তখন হাকিম বিষয়টি পরে দেখা যাবে বলে শুনানি শুরু করতে বলেন।
রমনা থানার দায়ের করা অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আব্দুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানান মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাকরাইল অফিসে তার সহযোগিরা অবস্থান করছেন। পরে উর্ধ্বতনদের অবহিত করে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইল অফিসে অভিযান চালানো হয়। পরে সম্রাটের বেডরুমের তোষকের নিচ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এই পিস্তলটির কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। তাই ধারনা করা হচ্ছে তার কাছে আরও অস্ত্র থাকতে পারে। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এসময় তিনি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মাদক মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, সম্রাটের অফিস থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ ও ১১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তাই তার কাছে আর কোনো মাদক আছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
এসব মামলার শুনানিতে সম্রাটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, সম্রাট যুবলীগ দক্ষিণের একজন নেতা। হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে মন থেকে ভালবাসে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তার কাছে কোনো অস্ত্র- মাদক পাওয়া যায়নি। অথচ তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আর এখন এসব মামলায় পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
শুনানি শেষে মাদক ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গত ৬ই অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বেলা একটার দিকে তার কাকরাইল অফিসে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। সম্রাটের দেখানো মতে তার বেডরুমের জাজিমের ওপরে তোষকের নিচ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কাকরাইলে সম্রাটকে নিয়ে অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ প্যাকেট তাস ও ১ হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
No comments