দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী
নিহত ব্যবসায়ীর শোকাভিভূত সন্তানেরা |
দক্ষিণ
আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী
আনোয়ার হোসেন খান (৪৫)। গুলিতে আহত হয়ে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১৪ই
অক্টোবর স্থানীয় হেলেন জোসেফ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার রাতের মধ্যে তার লাশ চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন
স্বজনরা। স্বজনরা জানান, নিহত আনায়োর হোসেন খান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া
উপজেলার কালিয়াইশ রসুলাবাদ গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের সেজো ছেলে। তার
স্ত্রী ছাড়াও চতুর্থ শ্রেণি ও নার্সারি পড়ুয়া দুই ছেলে ও এক শিশু কন্যা
রয়েছে বলে জানান, তার বাবা সিরাজুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ১০ই অক্টোবর
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম প্রধান শহর জোহানেসবার্গের অদূরে কসমো সিটিতে এশার
নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয় আনোয়ার হোসেন
খান। পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ই অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টার দিকে মারা যান এই
রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
তিনি জানান, হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আনোয়ার হোসেন খানের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে বিমানে করে তার মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত আনোয়ারের ভগ্নিপতি মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, কসমো সিটিতে বাংলাদেশি মসজিদে প্রতি বৃহসপতিবার রাতে জিকির-আজকার করা হয়। সেখানে আনোয়ার নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। ঘটনার দিন তিনি এক পাকিস্তানিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশি আবু বকরের দোকানে যান। আবু বকরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নেমে ডাকতে গেলে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তিনটি গুলি আনোয়ারের গায়ে বিদ্ধ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা ওই বাংলাদেশি দোকানের সামনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। ওই সময় আনোয়ার খান সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা মনে করে দোকানদার হয়তো তাদেরকে ডেকে এনেছে। এমন সন্দেহ থেকে ডাকাতরা তাদের উপর গুলি ছোড়ে। তিনি আরও জানান, অন্য বাংলাদেশীরা গুরুতর অবস্থায় আনায়োরকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হেলেন জোসেফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ দিনে তাকে দুইবার অস্ত্রোপাচার করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ই অক্টোবর মারা যান আনোয়ার।
তার বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, আনায়োর হোসেন খান সাতকানিয়ার একসময়ে নামি ফুটবলারও ছিলো। ১৯৯৬ সালে আনোয়ারের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। তার হাত ধরে ২০০০ সালে ছোট ভাই বেলায়েত হোসেনসহ আফিকায় যায় আনোয়ার। তিন ভাই মিলে সেখানকার জোহানেসবার্গ শহরে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবসা গড়ে তোলে। বর্তমানে দুই ভাই দেশে আছে। জোহানেসবার্গে আনোয়ার একাই ব্যবসা দেখতো। তিনি আরও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে এসে একটানা ৯ মাস ছিলো আনায়োর খান। গত ২২শে সেপ্টেম্বর সে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যায়। একমাসের ব্যবধানে তাকে দেশে ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে।
তিনি জানান, হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আনোয়ার হোসেন খানের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে বিমানে করে তার মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত আনোয়ারের ভগ্নিপতি মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, কসমো সিটিতে বাংলাদেশি মসজিদে প্রতি বৃহসপতিবার রাতে জিকির-আজকার করা হয়। সেখানে আনোয়ার নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। ঘটনার দিন তিনি এক পাকিস্তানিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশি আবু বকরের দোকানে যান। আবু বকরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নেমে ডাকতে গেলে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তিনটি গুলি আনোয়ারের গায়ে বিদ্ধ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা ওই বাংলাদেশি দোকানের সামনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। ওই সময় আনোয়ার খান সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা মনে করে দোকানদার হয়তো তাদেরকে ডেকে এনেছে। এমন সন্দেহ থেকে ডাকাতরা তাদের উপর গুলি ছোড়ে। তিনি আরও জানান, অন্য বাংলাদেশীরা গুরুতর অবস্থায় আনায়োরকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হেলেন জোসেফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ দিনে তাকে দুইবার অস্ত্রোপাচার করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ই অক্টোবর মারা যান আনোয়ার।
তার বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, আনায়োর হোসেন খান সাতকানিয়ার একসময়ে নামি ফুটবলারও ছিলো। ১৯৯৬ সালে আনোয়ারের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। তার হাত ধরে ২০০০ সালে ছোট ভাই বেলায়েত হোসেনসহ আফিকায় যায় আনোয়ার। তিন ভাই মিলে সেখানকার জোহানেসবার্গ শহরে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবসা গড়ে তোলে। বর্তমানে দুই ভাই দেশে আছে। জোহানেসবার্গে আনোয়ার একাই ব্যবসা দেখতো। তিনি আরও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে এসে একটানা ৯ মাস ছিলো আনায়োর খান। গত ২২শে সেপ্টেম্বর সে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যায়। একমাসের ব্যবধানে তাকে দেশে ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে।
No comments