অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবাদের নামে নগ্নতা
শরণার্থীদের
অধিকার হোক, পশুর পশম ব্যবহারের বিরোধিতায় হোক বা জলবায়ু পরিবর্তনের
বিরুদ্ধে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে হোক- এমন কোনো একটা ইস্যুতেই
অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় নগ্ন প্রতিবাদ। পোশাক খুলে নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী
রাজপথে করেন নগ্ন র্যালি। এই সপ্তাহান্তেও তারা এমন র্যালি করেছেন। সরকার
যাতে জলবায়ু পরিবর্তন এড়াতে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেয়, এমন দাবিতে তারা দ্রুত
রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এমন প্রতিবাদ এখন সংক্রমিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ‘এক্সটিংশন রিবেলিয়ন’ নামের একটি সংগঠনের কর্মীরা
মেলবোর্নের কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে এমন নগ্ন র্যালি শুরু করেন। একই দাবিতে
র্যালি হয় লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, বার্লিন ও আরো কয়েক ডজন শহরে। কিন্তু
অস্ট্রেলিয়ায় যে র্যালি হয়েছে তা ছিল নগ্ন।
যুবতীরা তাদের শরীরের উপরের অংশ একেবারে অনাবৃত করে তার ওপর সামান্য অংশে পেইন্ট ব্যবহার করেছেন। পরনে ছিল বিকিনি। আর পুরুষদের তো কথাই নেই। উদোম গা। পরনে শুধু একটি অন্তর্বাস। এই যা!
এ ছাড়া পশুর অধিকার রক্ষার নামেও বিক্ষোভ র্যালি হয় নগ্ন। পোশাক পরে প্রতিবাদ র্যালি করার পরিবর্তে এমন অধিকারকর্মীরাও একই রকম নগ্ন র্যালি করেন। এমন প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব এনিম্যালস’ (পেটা) ও পশু অধিকার বিষয়ক অন্যান্য গ্রুপ। এ ছাড়া ষাঁড়ের লড়াই এবং প্যাম্পলোনা ষাঁড়ের দৌড় আয়োজন নিয়েও নগ্ন র্যালি হয়। পেটা বলে, তারা এমন র্যালির আয়োজন করে যাতে মানুষের মধ্যে চিন্তা করার শক্তি আসে। তারা চিন্তা করতে পারে যে, তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শরীর দিয়ে এমন সব ইভেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এ ছাড়া শরণার্থী ইস্যুতেও নগ্ন র্যালি হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের টিনেজ রাহাফ মোহাম্মদ আলকুনুন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ওই সময়ে সৌদি আরবে তার নিজের পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে প্রথমে অবস্থান নেন থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে আরোহন করেন। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী এই টিনেজারকে কর্তৃপক্ষ থামিয়ে দেয় সৌদি আরবে তার প্রভাবশালী পিতার অনুরোধে। ফলে রাহাফ নিজেকে হোটেলের মধ্যে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। বিশ্ব নেতাদের কাছে তিনি সেখান থেকে টুইটার ব্যবহার করে আশ্রয়ের আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত তাকে আশ্রয় দেয় কানাডা। তার আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে সারাবিশ্ব থেকে তার প্রতি সমর্থন আসতে থাকে। এর মধ্যে সিডনিতে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে হয় নগ্ন প্রতিবাদ।
প্রতিবাদ হয় বৈশ্বিকীকরণ, মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ও আয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে। এসব ইস্যুতে অস্টেলিয়ানরা নগ্ন প্রতিবাদ করেন। ২০০০ সালে সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক। এর বাইরে ওই সময় নগ্ন প্রতিবাদ হয়। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া-প্যাসিফিক কোঅপারেশনের সামিট। এর বাইরেও তখন নগ্ন প্রতিবাদ হয়েছে।
সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও শরীরের ইতিবাচক দিকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বার্ষিক ভিত্তিতে নগ্ন সাইকেল রাইড আয়োজন করে ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ন্যাকেড বাইক রাইড’।
যুবতীরা তাদের শরীরের উপরের অংশ একেবারে অনাবৃত করে তার ওপর সামান্য অংশে পেইন্ট ব্যবহার করেছেন। পরনে ছিল বিকিনি। আর পুরুষদের তো কথাই নেই। উদোম গা। পরনে শুধু একটি অন্তর্বাস। এই যা!
এ ছাড়া পশুর অধিকার রক্ষার নামেও বিক্ষোভ র্যালি হয় নগ্ন। পোশাক পরে প্রতিবাদ র্যালি করার পরিবর্তে এমন অধিকারকর্মীরাও একই রকম নগ্ন র্যালি করেন। এমন প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব এনিম্যালস’ (পেটা) ও পশু অধিকার বিষয়ক অন্যান্য গ্রুপ। এ ছাড়া ষাঁড়ের লড়াই এবং প্যাম্পলোনা ষাঁড়ের দৌড় আয়োজন নিয়েও নগ্ন র্যালি হয়। পেটা বলে, তারা এমন র্যালির আয়োজন করে যাতে মানুষের মধ্যে চিন্তা করার শক্তি আসে। তারা চিন্তা করতে পারে যে, তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শরীর দিয়ে এমন সব ইভেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এ ছাড়া শরণার্থী ইস্যুতেও নগ্ন র্যালি হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের টিনেজ রাহাফ মোহাম্মদ আলকুনুন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ওই সময়ে সৌদি আরবে তার নিজের পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে প্রথমে অবস্থান নেন থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে আরোহন করেন। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী এই টিনেজারকে কর্তৃপক্ষ থামিয়ে দেয় সৌদি আরবে তার প্রভাবশালী পিতার অনুরোধে। ফলে রাহাফ নিজেকে হোটেলের মধ্যে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। বিশ্ব নেতাদের কাছে তিনি সেখান থেকে টুইটার ব্যবহার করে আশ্রয়ের আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত তাকে আশ্রয় দেয় কানাডা। তার আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে সারাবিশ্ব থেকে তার প্রতি সমর্থন আসতে থাকে। এর মধ্যে সিডনিতে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে হয় নগ্ন প্রতিবাদ।
প্রতিবাদ হয় বৈশ্বিকীকরণ, মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ও আয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে। এসব ইস্যুতে অস্টেলিয়ানরা নগ্ন প্রতিবাদ করেন। ২০০০ সালে সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক। এর বাইরে ওই সময় নগ্ন প্রতিবাদ হয়। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া-প্যাসিফিক কোঅপারেশনের সামিট। এর বাইরেও তখন নগ্ন প্রতিবাদ হয়েছে।
সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও শরীরের ইতিবাচক দিকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বার্ষিক ভিত্তিতে নগ্ন সাইকেল রাইড আয়োজন করে ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ন্যাকেড বাইক রাইড’।
No comments