যেভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতার ইতি টানতে চায় নেপাল
রোববার
নেপালে দুই দিনের সফর শেষ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই দিনই
চীনের তিব্বত থেকে নেপাল পর্যন্ত রেল সংযোগ ও একটি ভূগর্ভস্থ টানেল
স্থাপনের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত, ভারতের ওপর
নির্ভরশীলতার অবসান ঘটাতেই স্থলবেষ্টিত নেপাল বেইজিং-এর সঙ্গে যোগাযোগ
বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল সংযোগ স্থাপিত হবে তিব্বতের গাইরন থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পর্যন্ত। বাস্তবায়িত হলে এটি হবে নেপালের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্পের একটি। এই প্রকল্পের জন্য চীনের একটি দল ইতিমধ্যেই প্রাথমিক নিরীক্ষা চালিয়েছে। এই প্রকল্প চীনের বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হবে।
এই রেল সংযোগের পাশাপাশি স্থাপিত হবে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ টানেল। যার ফলে কাঠমান্ডু ও চীনা সীমান্তের দূরত্ব অর্ধেকে নেমে আসবে।
ফলে বাঁচবে সময় ও খরচ।
নেপালের ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাজেশ্বর গাওয়ালি বলেন, ‘চীন এখন এই রেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা করবে। পাশাপাশি টানেল পথ নির্মাণে সহায়তা করবে।’
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ভারত সীমান্তে অবরোধের ফলে নেপালে কয়েক মাস ধরে জ্বালানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দেয়। এরপর থেকেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে তৎপর হয়ে ওঠে নেপাল। গাওয়ালি বলেন, ‘যদি ফের সীমান্তে অবরোধের সম্মুখীন হই, তাহলে এই নতুন অবকাঠামোর কারণে আমাদের কাছে বিকল্প পথ থাকবে।’
প্রসঙ্গত, নেপালে প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে লড়াই রয়েছে চীন ও ভারতের। দুই বৃহৎ দেশের মধ্যে অবস্থিত নেপাল। উভয় দেশই নেপালের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনই ভারতের ওপর নির্ভরশীল স্থলবেষ্টিত নেপাল। নেপালের মোট বাণিজ্যের দুই-তৃতীয়াংশই হয় ভারতের সঙ্গে। এছাড়া ভারতই দেশটির একমাত্র জ্বালানি সরবরাহকারী।
শি জিনপিং-এর সফরে ওই দুই চুক্তি ছাড়াও উভয় পক্ষ বাণিজ্য, পানি সরবরাহ, সাধারণ ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে ২০টি চুক্তি সই করে। প্রসঙ্গত, এটি ছিল গত ২২ বছরে নেপালে প্রথম কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের সফর।
নেপাল সফরে যাওয়ার আগে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে আসেন জিনপিং। শনিবার নেপালে তিনি এক নৈশভোজে বলেন, ‘স্থলবেষ্টিত দেশ থেকে স্থল-সংযোগের দেশে পরিণত হওয়ার যে স্বপ্ন রয়েছে নেপালের, তা পূরণে আমরা সহায়তা করবো।’
৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল সংযোগ স্থাপিত হবে তিব্বতের গাইরন থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পর্যন্ত। বাস্তবায়িত হলে এটি হবে নেপালের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্পের একটি। এই প্রকল্পের জন্য চীনের একটি দল ইতিমধ্যেই প্রাথমিক নিরীক্ষা চালিয়েছে। এই প্রকল্প চীনের বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হবে।
এই রেল সংযোগের পাশাপাশি স্থাপিত হবে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ টানেল। যার ফলে কাঠমান্ডু ও চীনা সীমান্তের দূরত্ব অর্ধেকে নেমে আসবে।
ফলে বাঁচবে সময় ও খরচ।
নেপালের ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাজেশ্বর গাওয়ালি বলেন, ‘চীন এখন এই রেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা করবে। পাশাপাশি টানেল পথ নির্মাণে সহায়তা করবে।’
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ভারত সীমান্তে অবরোধের ফলে নেপালে কয়েক মাস ধরে জ্বালানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দেয়। এরপর থেকেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে তৎপর হয়ে ওঠে নেপাল। গাওয়ালি বলেন, ‘যদি ফের সীমান্তে অবরোধের সম্মুখীন হই, তাহলে এই নতুন অবকাঠামোর কারণে আমাদের কাছে বিকল্প পথ থাকবে।’
প্রসঙ্গত, নেপালে প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে লড়াই রয়েছে চীন ও ভারতের। দুই বৃহৎ দেশের মধ্যে অবস্থিত নেপাল। উভয় দেশই নেপালের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনই ভারতের ওপর নির্ভরশীল স্থলবেষ্টিত নেপাল। নেপালের মোট বাণিজ্যের দুই-তৃতীয়াংশই হয় ভারতের সঙ্গে। এছাড়া ভারতই দেশটির একমাত্র জ্বালানি সরবরাহকারী।
শি জিনপিং-এর সফরে ওই দুই চুক্তি ছাড়াও উভয় পক্ষ বাণিজ্য, পানি সরবরাহ, সাধারণ ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে ২০টি চুক্তি সই করে। প্রসঙ্গত, এটি ছিল গত ২২ বছরে নেপালে প্রথম কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের সফর।
নেপাল সফরে যাওয়ার আগে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে আসেন জিনপিং। শনিবার নেপালে তিনি এক নৈশভোজে বলেন, ‘স্থলবেষ্টিত দেশ থেকে স্থল-সংযোগের দেশে পরিণত হওয়ার যে স্বপ্ন রয়েছে নেপালের, তা পূরণে আমরা সহায়তা করবো।’
No comments