রাজনীতি থেকে সামরিক বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান মিয়ানমারের ’৮৮ আন্দোলনকারীদের
মিয়ানমারে
১৯৮৮ সালের সমাজতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতকারী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব
দানকারী সাবেক ছাত্র নেতারা বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সামরিক
বাহিনীর পূর্ণ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। দেশটির বৃহত্তম গণআন্দোলনের ৩১তম
বার্ষিকী উদযাপনের সময় তারা এ আহ্বান জানান।
দিবসটি উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াঙ্গুনের মহা বন্দুলা পার্কে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়। ৮৮৮৮ গণআন্দোলন নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত ওই আন্দোলনের ফলেই ২৮ বছর পর আং সান সু চি ও তার দল এনএলডির ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এখনো বেশ প্রভাবশালী অবস্থায় আছে। ২০০৮ সালের সংবিধানের আওতায় তারা রাজনীতিতে ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। পার্লামেন্টে তাদের জন্য ২৫ ভাগ আসন সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়া তারা প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যতম ছাত্রনেতা ইউ মায়ো আয়া বৃহস্পতিবার সমাবেশে ঘোষণাপত্রে পাঠ করার সময় বলেন, গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেয়ার জন্য এবং গণতান্ত্রিক ফেডারেল ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়া।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ৮৮ প্রজন্ম, অন্যান্য রাজনৈতিক প্রজন্ম, জাতিগত গ্রুপ, নাগরিক সমাজ, এবং সেইসাথে বর্তমান সরকারের উচিত হবে একসাথে কাজ করা যাতে ৮৮৮৮ গণআন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হতে পারে।
ওই আন্দোলনের সময় সমাজের সর্বস্তরের লোকজন রাস্তায় নেমে এসে স্বৈরশাসক নে উইনের একদলীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাদের আন্দোলনের জের ধরে আরেকটি রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান হলেও ওই গণআন্দোলনই আধুনিক মিয়ানমারের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, ওই আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার সৃষ্টি হয়, বর্তমান সরকারের আগমনের ভিত্তি রচিত হয়।
প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী উ আঙ মিয়ো মিন, ৫৩, ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, গত তিন দশকে মিয়ানমারে বেশ রাজনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দেশ এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরতে পারেনি।
তিনি বলেন, এখনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, দমনমূলক আইন জারি রয়েছে, রাজনৈতিক ভিন্নমতালম্বীদের গ্রেফতার চলছে। এখনো রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর বিপুল প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
>>>স্যান ইয়ামিন আঙ
দিবসটি উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াঙ্গুনের মহা বন্দুলা পার্কে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়। ৮৮৮৮ গণআন্দোলন নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত ওই আন্দোলনের ফলেই ২৮ বছর পর আং সান সু চি ও তার দল এনএলডির ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এখনো বেশ প্রভাবশালী অবস্থায় আছে। ২০০৮ সালের সংবিধানের আওতায় তারা রাজনীতিতে ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। পার্লামেন্টে তাদের জন্য ২৫ ভাগ আসন সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়া তারা প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যতম ছাত্রনেতা ইউ মায়ো আয়া বৃহস্পতিবার সমাবেশে ঘোষণাপত্রে পাঠ করার সময় বলেন, গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেয়ার জন্য এবং গণতান্ত্রিক ফেডারেল ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়া।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ৮৮ প্রজন্ম, অন্যান্য রাজনৈতিক প্রজন্ম, জাতিগত গ্রুপ, নাগরিক সমাজ, এবং সেইসাথে বর্তমান সরকারের উচিত হবে একসাথে কাজ করা যাতে ৮৮৮৮ গণআন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হতে পারে।
ওই আন্দোলনের সময় সমাজের সর্বস্তরের লোকজন রাস্তায় নেমে এসে স্বৈরশাসক নে উইনের একদলীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাদের আন্দোলনের জের ধরে আরেকটি রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান হলেও ওই গণআন্দোলনই আধুনিক মিয়ানমারের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, ওই আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার সৃষ্টি হয়, বর্তমান সরকারের আগমনের ভিত্তি রচিত হয়।
প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী উ আঙ মিয়ো মিন, ৫৩, ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, গত তিন দশকে মিয়ানমারে বেশ রাজনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দেশ এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরতে পারেনি।
তিনি বলেন, এখনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, দমনমূলক আইন জারি রয়েছে, রাজনৈতিক ভিন্নমতালম্বীদের গ্রেফতার চলছে। এখনো রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর বিপুল প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
>>>স্যান ইয়ামিন আঙ
No comments