কাশ্মীর: ভারতকে সমর্থন রাশিয়ার, পাকিস্তানকে চীনের
কাশ্মীর
ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। অন্যদিকে রাশিয়া
সমর্থন করেছে ভারতকে। তারা বলেছেন, ভারত যা করেছে তা তাদের সংবিধানের
কাঠামোর অধীনে করেছে। শুক্রবার এই দুটি দেশ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে।
চীন বলেছে, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধপূর্ণ এই সমস্যা অবশ্যই যথাযথ ও
শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হতে হবে। তা হতে হবে জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা
পরিষদের রেজ্যুলুশন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে। এদিন চীনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি’র সঙ্গে আড়াই ঘন্টার বেশি কথা বলেন পাকিস্তানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। এ সময় ওয়াং য়ি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে
কাশ্মীর নিয়ে যে বিরোধ তাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে সমর্থন
দেবে বেইজিং।
এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি সংস্করণ অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। তারই অংশ হিসেবে বেইজিংয়ের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। গত সপ্তাহে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই, একতরফাভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত সরকার। এর ফলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, কারফিউ জারি করে কাশ্মীরের মানুষজনকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে কি ঘটছে তা দেখতে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারছেন না। ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাশ্মীর। এতে সবচেয়ে কড়া নিন্দা জানায় পাকিস্তান। এরই মধ্যে তারা ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করেছে। স্থগিত করেছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে সর্বশেষ উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ‘সিরিয়াসলি’ উদ্বিগ্ন বেইজিং। এ ইস্যুতে একতরফাভাবে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, ঔপনিবেশিক আমল থেকেই কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। জাতিসংঘ সনদ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট রেজ্যুলুশন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এ সমস্যার একটি যথাযথ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। চীন বিশ্বাস করে, একতরফা সিদ্ধান্তে এই পরিস্থিতি আরো জটিল হবে, যা হতে দেয়া উচিত হবে না।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণার পর এটাই প্রথম সুস্পষ্ট ঘোষণা চীনের। এর আগে বেইজিং শুধু ভারতের সঙ্গে লাদাখ অঞ্চলে তাদের বিরোধের বিষয় উল্লেখ করেছিল। স্বল্প সময়ের নোটিশে এভাবে সাক্ষাত করার জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কুরেশি। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পর্যবেক্ষণ, অবস্থান এবং তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চীনকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের বন্ধু চীন। এই দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট। কুরেশি আশা করেন কাশ্মীর ইস্যুতে ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেবে চীন।
ওদিকে রাশিয়া সমর্থন দিয়েছে ভারতকে। তবে তারা সতর্ক করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত দিল্লি নিয়েছে তার প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটুক ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমনটা প্রত্যাশা করে না মস্কো। এ ছাড়া তারা বলেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত যা করেছে তা তাদের সংবিধানের আওতায় করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার অধীনে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এই মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলা উচিত।
এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি সংস্করণ অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। তারই অংশ হিসেবে বেইজিংয়ের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। গত সপ্তাহে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই, একতরফাভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত সরকার। এর ফলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, কারফিউ জারি করে কাশ্মীরের মানুষজনকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে কি ঘটছে তা দেখতে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারছেন না। ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাশ্মীর। এতে সবচেয়ে কড়া নিন্দা জানায় পাকিস্তান। এরই মধ্যে তারা ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করেছে। স্থগিত করেছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে সর্বশেষ উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ‘সিরিয়াসলি’ উদ্বিগ্ন বেইজিং। এ ইস্যুতে একতরফাভাবে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, ঔপনিবেশিক আমল থেকেই কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। জাতিসংঘ সনদ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট রেজ্যুলুশন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এ সমস্যার একটি যথাযথ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। চীন বিশ্বাস করে, একতরফা সিদ্ধান্তে এই পরিস্থিতি আরো জটিল হবে, যা হতে দেয়া উচিত হবে না।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণার পর এটাই প্রথম সুস্পষ্ট ঘোষণা চীনের। এর আগে বেইজিং শুধু ভারতের সঙ্গে লাদাখ অঞ্চলে তাদের বিরোধের বিষয় উল্লেখ করেছিল। স্বল্প সময়ের নোটিশে এভাবে সাক্ষাত করার জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কুরেশি। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পর্যবেক্ষণ, অবস্থান এবং তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চীনকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের বন্ধু চীন। এই দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট। কুরেশি আশা করেন কাশ্মীর ইস্যুতে ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেবে চীন।
ওদিকে রাশিয়া সমর্থন দিয়েছে ভারতকে। তবে তারা সতর্ক করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত দিল্লি নিয়েছে তার প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটুক ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমনটা প্রত্যাশা করে না মস্কো। এ ছাড়া তারা বলেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত যা করেছে তা তাদের সংবিধানের আওতায় করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার অধীনে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এই মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলা উচিত।
No comments