সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার সময় চুপ থাকার জন্য শ্রীলংকার ব্যবসায়িক চেম্বারগুলোকে অভিযুক্ত করলেন মুসলিম মন্ত্রী
মন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন |
২১
এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ দূর হওয়ার পর পুনরায়
নিয়োগ পাওয়া শ্রীলংকার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন এবার
মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর হামলা ও মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কটের
তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বাথিউদ্দিন অভিযোগ করেন যে, মে মাসে দাঙ্গার সময় যখন মুসলিম মালিকানাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো (এমএসই) হামলা ও বয়কটের শিকার হয়েছিলো তখন সেগুলো রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থা নিতে শ্রীলংকার ব্যবসায়িক সংগঠন তথা চেম্বারগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন: মুসলিম মালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ক্রোধের শিকার হয় তখন চেম্বার অব কমার্সগুলোর নিরবতা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
বোমা হামলায় জড়িত চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা এবং গ্রেফতার হওয়া একজন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠার পর বাথিউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন মুসলিম মন্ত্রী ও এমপি পদত্যাগ করেন। তবে হামলা তদন্তে নিয়োজিত পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি) বাথিউদ্দিনকে নির্দোষ বলে রায় দেয়ার পর তিনি মন্ত্রী পদে ফিরে আসেন।
অল সিলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি) নেতা বাথিউদ্দিন এখন তার নির্দোষ রায়ের উপর ভিত্তি করে বলছেন যে মুসলমানদেরকে অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
হামলার মূল হোতা দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে আসা চরমপন্থী ধর্মপ্রচারকের প্রসঙ্গ টেনে বাথিউদ্দিন বলেন, ইস্টার সানডের হামলার পর বিভিন্ন পর্যায়ের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো স্থানীয় ভোক্তাদের মুসলিম মালিকানাধিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিছু না কিনতে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালায়। কিন্তু তখন চেম্বারগুলো পুরোপুরি নীরব ছিলো। জাহরানের মতো সন্ত্রাসীর বর্বর কাজের কারণে মুসলিম-মালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের প্রতিশোধমূলক কাজ যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে চেম্বারগুলোর প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়া উচিত ছিলো।
মে মাসে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। দাঙ্গাকারীরা প্রায় ৩০০ মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে।
বাথিউদ্দিন বলেন, জেনেভায় যখন শ্রীলংকাকে মানবাধিকার তদন্তের জন্য চাপ দেয়া হয় তখন মুসলিম দেশগুলো শ্রীলংকার পাশে দাঁড়ায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা আমাকে ও আরো কয়েজনকে মুসলিম দেশগুলোতে পাঠান সমর্থন আদায়ের জন্য। বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে দেশগুলোর সহায়তা আমরা পেয়েছি। যুদ্ধের পর শ্রীলংকা যখন অর্থসংকটের কারণে ক্রুড তেল আমদানি করতে পারছিলো না তখন মুসলিম এমপিদের আহ্বানে ইরান ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্রুড তেল ছয় মাসের বাকিতে দিতে রাজি হয়েছিলো।
ইস্টার হামলার আগে শিল্প ও বাণিজ্য, বাস্তচ্যুত লোকজনের পুনর্বাসন, সমবায় উন্নয়ন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বাথিউদ্দিন।
এই রাজনীতিক ইস্টার হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে মুক্ত করতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছিলেন বলে সেনা প্রধান লে. জেনারেল মহেশ সেনানায়েক অভিযোগ করার পর বৌদ্ধ ভিক্ষু ও অন্যদের চাপে বাথিউদ্দিন পদত্যাগ করেন। তবে পার্লামেন্টারি তদন্ত কমিটি তাকে নির্দোষ বলে রায় দেয়।
আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দেশের সব দলই মুসলিম এই জনপ্রিয় মন্ত্রীকে কাছে পেতে চায়।
বাথিউদ্দিন অভিযোগ করেন যে, মে মাসে দাঙ্গার সময় যখন মুসলিম মালিকানাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো (এমএসই) হামলা ও বয়কটের শিকার হয়েছিলো তখন সেগুলো রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থা নিতে শ্রীলংকার ব্যবসায়িক সংগঠন তথা চেম্বারগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন: মুসলিম মালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ক্রোধের শিকার হয় তখন চেম্বার অব কমার্সগুলোর নিরবতা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
বোমা হামলায় জড়িত চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা এবং গ্রেফতার হওয়া একজন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠার পর বাথিউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন মুসলিম মন্ত্রী ও এমপি পদত্যাগ করেন। তবে হামলা তদন্তে নিয়োজিত পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি) বাথিউদ্দিনকে নির্দোষ বলে রায় দেয়ার পর তিনি মন্ত্রী পদে ফিরে আসেন।
অল সিলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি) নেতা বাথিউদ্দিন এখন তার নির্দোষ রায়ের উপর ভিত্তি করে বলছেন যে মুসলমানদেরকে অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
হামলার মূল হোতা দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে আসা চরমপন্থী ধর্মপ্রচারকের প্রসঙ্গ টেনে বাথিউদ্দিন বলেন, ইস্টার সানডের হামলার পর বিভিন্ন পর্যায়ের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো স্থানীয় ভোক্তাদের মুসলিম মালিকানাধিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিছু না কিনতে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালায়। কিন্তু তখন চেম্বারগুলো পুরোপুরি নীরব ছিলো। জাহরানের মতো সন্ত্রাসীর বর্বর কাজের কারণে মুসলিম-মালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের প্রতিশোধমূলক কাজ যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে চেম্বারগুলোর প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়া উচিত ছিলো।
মে মাসে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। দাঙ্গাকারীরা প্রায় ৩০০ মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে।
বাথিউদ্দিন বলেন, জেনেভায় যখন শ্রীলংকাকে মানবাধিকার তদন্তের জন্য চাপ দেয়া হয় তখন মুসলিম দেশগুলো শ্রীলংকার পাশে দাঁড়ায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা আমাকে ও আরো কয়েজনকে মুসলিম দেশগুলোতে পাঠান সমর্থন আদায়ের জন্য। বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে দেশগুলোর সহায়তা আমরা পেয়েছি। যুদ্ধের পর শ্রীলংকা যখন অর্থসংকটের কারণে ক্রুড তেল আমদানি করতে পারছিলো না তখন মুসলিম এমপিদের আহ্বানে ইরান ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্রুড তেল ছয় মাসের বাকিতে দিতে রাজি হয়েছিলো।
ইস্টার হামলার আগে শিল্প ও বাণিজ্য, বাস্তচ্যুত লোকজনের পুনর্বাসন, সমবায় উন্নয়ন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বাথিউদ্দিন।
এই রাজনীতিক ইস্টার হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে মুক্ত করতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছিলেন বলে সেনা প্রধান লে. জেনারেল মহেশ সেনানায়েক অভিযোগ করার পর বৌদ্ধ ভিক্ষু ও অন্যদের চাপে বাথিউদ্দিন পদত্যাগ করেন। তবে পার্লামেন্টারি তদন্ত কমিটি তাকে নির্দোষ বলে রায় দেয়।
আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দেশের সব দলই মুসলিম এই জনপ্রিয় মন্ত্রীকে কাছে পেতে চায়।
No comments