কাশ্মিরি নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান শিখ ধর্মগুরুর
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানির শিকার কাশ্মিরি নারীদের সুরক্ষা
দিতে শিখ ধর্মালম্বীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এক ধর্মগুরু। এটাকে
ধর্মীয় দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন শিখ ধর্মালম্বীদের সর্বোচ্চ মুখপাত্র
জাতিদার জ্ঞানী হারপিত সিং। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি কারও নাম উল্লেখ না
করেই বলেন, ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার সময়ে যে গোষ্ঠী শিখ নারীদের ওপর হামলা
করেছিল এখন তারাই কাশ্মিরি নারীদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিলও অনুমোদন করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কাশ্মিরের জনগণের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। ফলে ভূমি, চাকরি ও নাগরিকত্বের ওপর কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল হয়ে গেছে। ভারতের বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর কাশ্মিরি নারীদের বিয়ে করতে তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা।
এমন বাস্তবতায় শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাশ্মিরি নারীদের সুরক্ষা দিতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানান জাতিদার জ্ঞানী হারপিত সিং। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর সব মানুষকে সমানাধিকার দিয়েছেন। আর লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে ফেলা অপরাধ। ৩৭০ ধারার অধীনে বিশেষ অধিকার বাতিলের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাশ্মিরি নারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যে ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছেন তা শুধু মানহানিকরই নয়, অগ্রহণযোগ্যও’।
কারও নাম উল্লেখ না করে জাতিদার বলেন, ‘যে ভাবে কিছু মানুষ কাশ্মিরি কন্যাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন তাতে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই ধরণের মন্তব্য নারীকে বস্তু বানিয়ে ফেলে। একই সঙ্গে এসব মানুষ ভুলে যাচ্ছে যে একজন নারী মা, কন্যা, বোন আবার স্ত্রীও। নারীদেরই সৃষ্টির ক্ষমতা আছে’।
১৯৮৪ সালে দাঙ্গার সময়ে যে সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠী শিখ নারীদের ওপর হামলা করেছিল ওই একই গোষ্ঠী এখন কাশ্মিরি নারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতিদার জ্ঞানী হারপিত সিং। তিনি বলেন, কাশ্মিরি নারীরা আমাদের সমাজের অংশ। তাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। কাশ্মিরি নারীদের সম্মান রক্ষায় শিখদের এগিয়ে আসা উচিত। এটা আমাদের দায়িত্ব আর এটাই আমাদের ইতিহাস।
প্রসঙ্গত, ভারতের মহারাষ্ট্রে আটকা পড়া কাশ্মিরের ৩৪ জন নারীকে শ্রিনগর পৌঁছে দেওয়ার টিকিটের জন্য চার লাখ রুপির তহবিল সংগ্রহ করেছেন দিল্লির এক শিখ অ্যাকটিভিস্ট।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিলও অনুমোদন করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কাশ্মিরের জনগণের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। ফলে ভূমি, চাকরি ও নাগরিকত্বের ওপর কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল হয়ে গেছে। ভারতের বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর কাশ্মিরি নারীদের বিয়ে করতে তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা।
এমন বাস্তবতায় শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাশ্মিরি নারীদের সুরক্ষা দিতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানান জাতিদার জ্ঞানী হারপিত সিং। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর সব মানুষকে সমানাধিকার দিয়েছেন। আর লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে ফেলা অপরাধ। ৩৭০ ধারার অধীনে বিশেষ অধিকার বাতিলের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাশ্মিরি নারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যে ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছেন তা শুধু মানহানিকরই নয়, অগ্রহণযোগ্যও’।
কারও নাম উল্লেখ না করে জাতিদার বলেন, ‘যে ভাবে কিছু মানুষ কাশ্মিরি কন্যাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন তাতে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই ধরণের মন্তব্য নারীকে বস্তু বানিয়ে ফেলে। একই সঙ্গে এসব মানুষ ভুলে যাচ্ছে যে একজন নারী মা, কন্যা, বোন আবার স্ত্রীও। নারীদেরই সৃষ্টির ক্ষমতা আছে’।
১৯৮৪ সালে দাঙ্গার সময়ে যে সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠী শিখ নারীদের ওপর হামলা করেছিল ওই একই গোষ্ঠী এখন কাশ্মিরি নারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতিদার জ্ঞানী হারপিত সিং। তিনি বলেন, কাশ্মিরি নারীরা আমাদের সমাজের অংশ। তাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। কাশ্মিরি নারীদের সম্মান রক্ষায় শিখদের এগিয়ে আসা উচিত। এটা আমাদের দায়িত্ব আর এটাই আমাদের ইতিহাস।
প্রসঙ্গত, ভারতের মহারাষ্ট্রে আটকা পড়া কাশ্মিরের ৩৪ জন নারীকে শ্রিনগর পৌঁছে দেওয়ার টিকিটের জন্য চার লাখ রুপির তহবিল সংগ্রহ করেছেন দিল্লির এক শিখ অ্যাকটিভিস্ট।
No comments