নিউইয়র্কে জঙ্গি পরিচয়ে গ্রেপ্তার ব্রঙ্কসের দেলোয়ার: বিব্রত প্রবাসীরা, এখনই সচেতন হওয়ার সময় by রহমান মাহবুব
শিল্পীর তুলিতে আদালতে দেলোয়ার |
জঙ্গিবাদে
জড়িত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় একের পর এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
আদালতে মামলা হচ্ছে জঙ্গিসংক্রান্ত আইনে। সাজাও হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি
ঘটেছে ২৬ জুলাই শুক্রবার সকালে।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাসরত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী আমেরিকান নাগরিক দেলোয়ার মোহাম্মদ হোসেন (৩৩)কে গ্রেপ্তার করেছে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমেরিকান সৈন্যদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, নানাভাবে সতর্কবাণী উচ্চারিত হলেও জঙ্গি মানসিকতার পরিবর্তনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারে সদা সোচ্চার বাংলাদেশি ইমাম কাজী কায়্যুম বলেছেন, হোমগ্রোন জঙ্গিদের নিয়ে আমেরিকায় প্রবাসীরা শুধু নীরবই নয়, কোনো কোনো মহলের প্রশ্রয় আছে। একটি ধর্মাশ্রয়ী গোষ্ঠী তাদের ভিন্ন নামের সংগঠনের আড়ালে জঙ্গিবাদকে চাষাবাদ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,
দেলোয়ার হোসেন আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য ব্যাংককগামী ফ্লাইট ধরতে জেএফকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে উঠিয়ে নেয় এফবিআই। ওই দিনই বিকেলে ম্যানহাটন আদালতে তোলা হয় তাঁকে। বিচারক দেলোয়ারকে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
এক মাস আগে একই ধরনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আশিকুল আলম (২২)। এর আগে আকায়েদ ও নাফিসকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। ২০১২ সালে রেজওয়ান ফেরদৌস (২৬) নামের ম্যাসাচুসেটসে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক যুবক একই কায়দায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তারের কয়েক মাস আগে থেকে এই ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখে এফবিআই।
এদের সবাইকে জঙ্গিসংক্রান্ত আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এদের পরিচয় আমেরিকার প্রধান মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে প্রচারিত হওয়ার কারণে নিউইয়র্ক তথা আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এক চাপা অস্বস্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।
ব্রঙ্কসে বসবাসরত কমিউনিটি নেতা মামুন আহমেদ বলেন, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী ও বিনয়ী অভিবাসী গোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশিরা পরিচিত। এ পরিচিতি অর্জনকারী কমিউনিটির সদস্যদের এখন জঙ্গিবাদের কালিমা বহন করতে হচ্ছে, যা চরম লজ্জার। এ নিয়ে কমিউনিটির ভেতরে কিছু করা দরকার। ইতিমধ্যে দেরি হয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন।
এই সব ঘটনা কেন বারবার ঘটছে? চোখের সামনে জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠা এই তরুণেরা কেনই বা এমন বিপজ্জনক পথে পা বাড়ায়?
নিউইয়র্কে প্রবাসী কমিউনিটিতে একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আছে। সেখানে এ ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সদস্যদের সচেতন করতে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায় না। সংগঠনগুলো নানা বাৎসরিক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এর বাইরে দেশের জন্য কিছু সমাজকল্যাণ মূলক কাজ হয়ে থাকে।
এ নিয়ে ইমাম কাজী কায়্যুম বলেছেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া দেলোয়ার হোসেইনই প্রথম বাংলাদেশি নয়, যিনি তালেবানকে সহযোগিতার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে জ্যাকসন হাইটসের এক মসজিদের ইমাম ইমরান হোসেনকে আমেরিকা থেকে বিতাড়ন করা হয় তালেবানদের সঙ্গে যোগসূত্রতার অভিযোগে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনার আগে আমেরিকায় আসা মাওলানা ইমরান আহমেদের অনুসারীরা নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে প্রবাসীদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন। কাজী কায়্যুম বলেন, কমিউনিটিকে নীরব ভূমিকা পালন না করে এসব হোমগ্রোন জঙ্গিদের উত্থান রোধে উৎসের সন্ধান করে তা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
মাত্র কয়েক বছর আগে প্রবাসে বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিষয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার কোনো অভিযোগ ছিল না। ফলে সবার কাছে এই কমিউনিটি একটি নিরাপদ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত নিয়ে সম্মানের বসবাস করছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরের ঘটনায় সেই ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। তবে আর দেরি হওয়ার আগে এই জঙ্গি ভাবধারা বিরুদ্ধে দেশে ও প্রবাসে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এটা হতে হবে প্রবাসীদের ঘরে ঘরে।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাসরত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী আমেরিকান নাগরিক দেলোয়ার মোহাম্মদ হোসেন (৩৩)কে গ্রেপ্তার করেছে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমেরিকান সৈন্যদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, নানাভাবে সতর্কবাণী উচ্চারিত হলেও জঙ্গি মানসিকতার পরিবর্তনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারে সদা সোচ্চার বাংলাদেশি ইমাম কাজী কায়্যুম বলেছেন, হোমগ্রোন জঙ্গিদের নিয়ে আমেরিকায় প্রবাসীরা শুধু নীরবই নয়, কোনো কোনো মহলের প্রশ্রয় আছে। একটি ধর্মাশ্রয়ী গোষ্ঠী তাদের ভিন্ন নামের সংগঠনের আড়ালে জঙ্গিবাদকে চাষাবাদ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,
দেলোয়ার হোসেন আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য ব্যাংককগামী ফ্লাইট ধরতে জেএফকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে উঠিয়ে নেয় এফবিআই। ওই দিনই বিকেলে ম্যানহাটন আদালতে তোলা হয় তাঁকে। বিচারক দেলোয়ারকে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
এক মাস আগে একই ধরনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আশিকুল আলম (২২)। এর আগে আকায়েদ ও নাফিসকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। ২০১২ সালে রেজওয়ান ফেরদৌস (২৬) নামের ম্যাসাচুসেটসে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক যুবক একই কায়দায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তারের কয়েক মাস আগে থেকে এই ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখে এফবিআই।
এদের সবাইকে জঙ্গিসংক্রান্ত আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এদের পরিচয় আমেরিকার প্রধান মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে প্রচারিত হওয়ার কারণে নিউইয়র্ক তথা আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এক চাপা অস্বস্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।
ব্রঙ্কসে বসবাসরত কমিউনিটি নেতা মামুন আহমেদ বলেন, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী ও বিনয়ী অভিবাসী গোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশিরা পরিচিত। এ পরিচিতি অর্জনকারী কমিউনিটির সদস্যদের এখন জঙ্গিবাদের কালিমা বহন করতে হচ্ছে, যা চরম লজ্জার। এ নিয়ে কমিউনিটির ভেতরে কিছু করা দরকার। ইতিমধ্যে দেরি হয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন।
এই সব ঘটনা কেন বারবার ঘটছে? চোখের সামনে জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠা এই তরুণেরা কেনই বা এমন বিপজ্জনক পথে পা বাড়ায়?
নিউইয়র্কে প্রবাসী কমিউনিটিতে একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আছে। সেখানে এ ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সদস্যদের সচেতন করতে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায় না। সংগঠনগুলো নানা বাৎসরিক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এর বাইরে দেশের জন্য কিছু সমাজকল্যাণ মূলক কাজ হয়ে থাকে।
এ নিয়ে ইমাম কাজী কায়্যুম বলেছেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া দেলোয়ার হোসেইনই প্রথম বাংলাদেশি নয়, যিনি তালেবানকে সহযোগিতার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে জ্যাকসন হাইটসের এক মসজিদের ইমাম ইমরান হোসেনকে আমেরিকা থেকে বিতাড়ন করা হয় তালেবানদের সঙ্গে যোগসূত্রতার অভিযোগে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনার আগে আমেরিকায় আসা মাওলানা ইমরান আহমেদের অনুসারীরা নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে প্রবাসীদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন। কাজী কায়্যুম বলেন, কমিউনিটিকে নীরব ভূমিকা পালন না করে এসব হোমগ্রোন জঙ্গিদের উত্থান রোধে উৎসের সন্ধান করে তা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
মাত্র কয়েক বছর আগে প্রবাসে বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিষয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার কোনো অভিযোগ ছিল না। ফলে সবার কাছে এই কমিউনিটি একটি নিরাপদ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত নিয়ে সম্মানের বসবাস করছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরের ঘটনায় সেই ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। তবে আর দেরি হওয়ার আগে এই জঙ্গি ভাবধারা বিরুদ্ধে দেশে ও প্রবাসে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এটা হতে হবে প্রবাসীদের ঘরে ঘরে।
No comments