বিপিও সামিট উদ্বোধন: তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে মনোযোগের পরামর্শ দিলেন জয়
তরুণদের
সরকারি চাকরির দিকে এত না ঝুঁকে আইটি সেক্টরের দিকে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরির অপেক্ষায় না থেকে তরুণরা যাতে নিজেরাই উদ্যোক্তা
হয়ে উঠতে পারে সেজন্য তাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
সমপ্রতি আমরা সারা দেশে কোটা আন্দোলন দেখলাম। সরকার প্রথমবারের মতো কোটা
সংস্কারের উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, প্রতি বছর জনপ্রশাসনে আমরা
মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার লোককে নিয়োগ দিতে পারি, এটা সংখ্যায় একেবারেই নগণ্য।
এর চেয়ে বেশি চাকরিপ্রার্থীকে কিন্তু আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতেই চাকরি দিতে
পারি। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও)
সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিসেয়শন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর আয়োজনে বিপিও সামিটের তৃতীয় এই আসরে সহযোগিতা দিচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী, বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ৪০ জন স্থানীয় বক্তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা। সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে ১০টি সেমিনার। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা ও ফোর-জি, ফাইভ-জি নিয়ে ধারণা প্রদর্শন করা হবে। আয়োজনে অংশীদার হিসেবে রয়েছে বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইন করা হয়নি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতেই এই আইন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা এখন ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগামী ২০২১ সালে আমরা এক লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়ার টার্গেট নিয়েছি। প্রশিক্ষণ নেয়ার পর এই তরুণরা জনশক্তিতে পরিণত হবে। বাক্য ও বেসিস এই তরুণদের মধ্য থেকে কর্মী বাছাই করে নিতে পারে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলব, যেন তরুণরা প্রশিক্ষণের পর নিজেরাই একেকজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। এখন এটা আমি বলতে পারি, ফ্রিল্যান্সার খাতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের এক নম্বর গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু ইন্টারনেট আর ল্যাপটপ থাকলেই হলো। আমরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবাও নিশ্চিত করবো। যে কেউ যেকোনো স্থানে বসে আইটি সেক্টর থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
কিছুদিন আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার উদ্বোধন করেন জয়। তাঁর আশা, এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা (ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি) পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করায় বিপিও খাত থেকে বাক্য প্রতি বছর ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জয়। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে বিপিওতে।
এই খাতে দশ বছর আগে যেখানে আমরা মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করতাম, সেখানে এখন আমরা ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করতে শুরু করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই সরকার প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণের কথা ভাবছে বলে জানান তিনি। তরুণদের ইন্টারনেটের অপব্যবহার নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের আসক্তি ক্রমেই বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। বিশাল শক্তির আঁধার এই তরুণরা, সমাজের প্রতি তাদের অনেক দায়িত্বও রয়েছে। তাদের ইন্টারনেট আসক্তি দেখে এখন আমাকে বলতে হয়, ফেইসবুক এখন একটি ফেইকবুক। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য ও মন্তব্য প্রচারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানান জয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসে গোটা ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যদি এ মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিই, তো সবাই আমাদের তীব্র সমালোচনা করবে। আর এটা ঠিকও হবে না। একটা ওয়েবসাইট বন্ধ করবো, আরো দশটা ওয়েবসাইট দশ মিনিটে তৈরি হয়ে যাবে। একটা ফেইসবুক পেইজ বন্ধ করে দিলে আরো দশটা ফেইসবুক পেইজ তৈরি হয়ে যাবে। ইন্টারনেটে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য যা সমাজে সংঘাত ডেকে আনে, তাকে কোনোভাবেই মুক্তবাক বলা যাবে না। এটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না।
ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ডিজিটাল অ্যাক্টের খসড়া তৈরি করে ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো একটি গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মিথ্যা অপপ্রচারকে আমরা কোনোভাবেই গ্রাহ্য করবো না। গোটা বিশ্বের মতো আমরাও সামপ্রদায়িক সংঘাতপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান করছি। ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কেউ যেন সংঘাত ছড়াতে না পারে সেজন্য আমরা আরো কড়া অবস্থানে যাচ্ছি। তিনি তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং’র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিসেয়শন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর আয়োজনে বিপিও সামিটের তৃতীয় এই আসরে সহযোগিতা দিচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী, বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ৪০ জন স্থানীয় বক্তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা। সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে ১০টি সেমিনার। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা ও ফোর-জি, ফাইভ-জি নিয়ে ধারণা প্রদর্শন করা হবে। আয়োজনে অংশীদার হিসেবে রয়েছে বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইন করা হয়নি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতেই এই আইন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা এখন ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগামী ২০২১ সালে আমরা এক লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়ার টার্গেট নিয়েছি। প্রশিক্ষণ নেয়ার পর এই তরুণরা জনশক্তিতে পরিণত হবে। বাক্য ও বেসিস এই তরুণদের মধ্য থেকে কর্মী বাছাই করে নিতে পারে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলব, যেন তরুণরা প্রশিক্ষণের পর নিজেরাই একেকজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। এখন এটা আমি বলতে পারি, ফ্রিল্যান্সার খাতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের এক নম্বর গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু ইন্টারনেট আর ল্যাপটপ থাকলেই হলো। আমরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবাও নিশ্চিত করবো। যে কেউ যেকোনো স্থানে বসে আইটি সেক্টর থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
কিছুদিন আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার উদ্বোধন করেন জয়। তাঁর আশা, এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা (ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি) পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করায় বিপিও খাত থেকে বাক্য প্রতি বছর ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জয়। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে বিপিওতে।
এই খাতে দশ বছর আগে যেখানে আমরা মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করতাম, সেখানে এখন আমরা ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করতে শুরু করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই সরকার প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণের কথা ভাবছে বলে জানান তিনি। তরুণদের ইন্টারনেটের অপব্যবহার নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের আসক্তি ক্রমেই বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। বিশাল শক্তির আঁধার এই তরুণরা, সমাজের প্রতি তাদের অনেক দায়িত্বও রয়েছে। তাদের ইন্টারনেট আসক্তি দেখে এখন আমাকে বলতে হয়, ফেইসবুক এখন একটি ফেইকবুক। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য ও মন্তব্য প্রচারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানান জয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসে গোটা ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যদি এ মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিই, তো সবাই আমাদের তীব্র সমালোচনা করবে। আর এটা ঠিকও হবে না। একটা ওয়েবসাইট বন্ধ করবো, আরো দশটা ওয়েবসাইট দশ মিনিটে তৈরি হয়ে যাবে। একটা ফেইসবুক পেইজ বন্ধ করে দিলে আরো দশটা ফেইসবুক পেইজ তৈরি হয়ে যাবে। ইন্টারনেটে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য যা সমাজে সংঘাত ডেকে আনে, তাকে কোনোভাবেই মুক্তবাক বলা যাবে না। এটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না।
ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ডিজিটাল অ্যাক্টের খসড়া তৈরি করে ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো একটি গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মিথ্যা অপপ্রচারকে আমরা কোনোভাবেই গ্রাহ্য করবো না। গোটা বিশ্বের মতো আমরাও সামপ্রদায়িক সংঘাতপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান করছি। ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কেউ যেন সংঘাত ছড়াতে না পারে সেজন্য আমরা আরো কড়া অবস্থানে যাচ্ছি। তিনি তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং’র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
No comments