চট্টগ্রামে সক্রিয় ৩০ ছিনতাইকারী গ্রুপ
রাতের
অন্ধকারে, ভোরের ফঁকা রাস্তায়, দুপুরের ব্যস্ত সময়, এমনকি সন্ধ্যার
নির্জনেও সক্রিয় চট্টগ্রামের ৩০ ছিনতাইকারী গ্রুপের সদস্যরা। এদের নিয়ে
জনমনে যেমন আতঙ্ক রয়েছে। তেমনি পুলিশও চিন্তিত ব্যাপকভাবে।
এমন কথাই বললেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মিশনার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, নগরে একের পর এক ধরা পড়ছে ছিনতাইকারী। তবুও থামছে না ছিনতাই। একের পর এক ঘটেই চলেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার নগরীর পৃথক দু’টি স্থানে ব্যবসায়ীর ১২ লাখ টাকা ছিনতাই। আগের দিন সোমবার নগরীর পাহাড়তলী থানার আবুল খায়ের গ্রুপের পরিবেশকের অফিসের সামনে থেকে ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ছিনতাইকারীদের হদিস পর্যন্ত মেলেনি এখনো।
এর আগে নগরে প্রতিমাসে ১৫ বা তারও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহু ছিনতাইকারীকে আটকও করা হয়েছে। এ কারণে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভবিষ্যতে এর ব্যাপক বিস্তৃতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৭ জনের মতো ছিনতাইকারীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও এত ছিনতাইয়ের ঘটনা কিভাবে ঘটে; এত ছিনতাইকারী কোথা থেকে আসে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত আমরা।
চট্টগ্রাম মহানগর বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ডিবি উত্তর ও বন্দর জোন গত দুই মাসে ৩০ থেকে ৪০ জন ছিনতাইকারী আটক করেছি। তাদের দুই-একজন জামিনে বের হয়ে আবারও টিম তৈরি করে দ্রুত ছিনতাই করে আড়ালে চলে যাচ্ছে। কৌশল বদল করে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীদের সময় ভাগ করা আছে। কৌশলেও আছে ভিন্নতা। ছিনতাই কাজে কখনো রিকশা, কখনো সিএনজি টেক্সি, মোটরসাইকেল কিংবা মাইক্রোবাস ব্যবহার করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোনো ছিনতাইকারী ধরা পড়লে অন্যটিম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এভাবে নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত ৩০টি ছিনতাইকারী গ্রুপ। তাদের নামেও আছে ভিন্নতা। কোনো গ্রুপের নাম টানা পার্টি, কোনটা মামু পার্টি, কোন গ্রুপ পরিচিত সালাম পার্টি নামে, আছে সিএনজি পার্টি থেকে ভুয়া পুলিশ ডিবি পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীরা কয়েকটি ধাপে তাদের অপারেশন সমপন্ন করে। তাদের মূল টার্গেট হলো ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তি এবং বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংক কর্মীরা। এছাড়া বিদেশ ফেরত যাত্রীরাও রয়েছে তাদের টার্গেটে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক, আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাইকারীদের কাছে গোপনে অর্থ পরিবহনের তথ্য আগাম জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর ভুয়া নম্বর প্লেটের গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারীরা পরিকল্পনা সাজায়।
ছিনতাইকারী চক্রের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও রেসকিউ টিম রয়েছে। অপারেশন সফল হলে জড়িত সবার মধ্যে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়া হয়। অনেক সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নকল পোশাক পরে ছিনতাই করা হয়। ভাড়া করা অটোরিকশায় খাঁচা লাগানোর পরে এখন ছাউনি কেটে নেয়া হচ্ছে মুঠোফোন বা ব্যাগ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীতে সিএনজি টেক্সি নিয়ে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ছিনতাই করে এক গ্রুপ। আরেকটি গ্রুপ কাজ করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তারা সিএনজিতেও আসে, আবার মোটরসাইকেলেও আসে। মূলত: রিকশারোহী নারীদের টার্গেট করে তারা। রিকশার পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে মোটর সাইকেলের পেছনের আরোহী ছোঁ মেরে কেড়ে নেয় ব্যাগ।
জামালখান মোড়ে এ ধরনের একটি চক্রের শিকার হয়ে রিকশা থেকে পড়ে মারা যান শিরীন নামে এক তরুণী। কখনও কখনও পরিচিত ব্যক্তির ভাব করে লোকজনকে থামিয়েও ছিনতাই হচ্ছে। উচ্চস্বরে সালাম দিয়ে হঠাৎ মাঝপথে গতিরোধ করে রিকশা যাত্রীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে দুই যুবক মুহূর্তে পিস্তল বের করে ঠেকায় যাত্রীর বুকে। কি আছে বের করে দাও না হলে গুলি ছুঁড়ব। প্রাণ বাঁচাতে টাকা-পয়সা মোবাইল ফোন নীরবেই তাদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।
হাঁটার পথে আকস্মিক কয়েকজন যুবক মামু কেমন আছেন বলে ঘিরে ধরছে পথচারীকে। এরপর অস্ত্র কিংবা ছুরি দেখিয়ে সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। কখনও আবার রিকশা থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করছে কয়েকজন যুবক। নিরপরাধ রিকশাচালকের উপর নির্যাতনে বাধা দিতে গেলে বন্দুক তাক করা হচ্ছে যাত্রীর দিকে। মুহূর্তের মধ্যে কেড়ে নেয়া হচ্ছে যাত্রীর টাকা-পয়সা।
সমপ্রতি ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক ছিনতাইকারীদের একটি গ্রুপ সক্রিয়, যারা মূলত মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা মরিয়া। বিশেষ করে রাত ৮ টার পর থেকে নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভার ও মুরাদপুর ফ্লাইওভারে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে তিন চারজন। চেহারা উস্কো খুস্কো, ছুরি হাতে উদ্যত। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেই ছুরিকাঘাত করে কেড়ে নেয় টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ সবকিছু। কাজ হাসিল করেই ছুটতে থাকে মাদক আস্তানায়। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত সন্তানও জড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছিনতাই ঘটনায় মামলা নিতে বরাবরই থানা পুলিশ দারুণ উদাসীন। মামলা না নিয়ে জিডি নিয়ে দায় সারছে পুলিশ।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীরাই অভিযোগ করতে চান না। থানায় অভিযোগ না নিলে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাহায্য চাইতে পারেন তারা। তা না করে একচেটিয়া পুলিশের উপর দায় চাপানোর অভ্যাসটা পুরনো।
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, ছিনতাইয়ের ঘটনার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা। এ পরিস্থিতির উত্তরণ এখনই ঘটানো না গেলে ভবিষ্যতে সমাজে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। পুলিশের গড়িমসির বিষয়টি নতুন কিছুই নয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা সমাজের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে।
এমন কথাই বললেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মিশনার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, নগরে একের পর এক ধরা পড়ছে ছিনতাইকারী। তবুও থামছে না ছিনতাই। একের পর এক ঘটেই চলেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার নগরীর পৃথক দু’টি স্থানে ব্যবসায়ীর ১২ লাখ টাকা ছিনতাই। আগের দিন সোমবার নগরীর পাহাড়তলী থানার আবুল খায়ের গ্রুপের পরিবেশকের অফিসের সামনে থেকে ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ছিনতাইকারীদের হদিস পর্যন্ত মেলেনি এখনো।
এর আগে নগরে প্রতিমাসে ১৫ বা তারও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহু ছিনতাইকারীকে আটকও করা হয়েছে। এ কারণে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভবিষ্যতে এর ব্যাপক বিস্তৃতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৭ জনের মতো ছিনতাইকারীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও এত ছিনতাইয়ের ঘটনা কিভাবে ঘটে; এত ছিনতাইকারী কোথা থেকে আসে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত আমরা।
চট্টগ্রাম মহানগর বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ডিবি উত্তর ও বন্দর জোন গত দুই মাসে ৩০ থেকে ৪০ জন ছিনতাইকারী আটক করেছি। তাদের দুই-একজন জামিনে বের হয়ে আবারও টিম তৈরি করে দ্রুত ছিনতাই করে আড়ালে চলে যাচ্ছে। কৌশল বদল করে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীদের সময় ভাগ করা আছে। কৌশলেও আছে ভিন্নতা। ছিনতাই কাজে কখনো রিকশা, কখনো সিএনজি টেক্সি, মোটরসাইকেল কিংবা মাইক্রোবাস ব্যবহার করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোনো ছিনতাইকারী ধরা পড়লে অন্যটিম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এভাবে নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত ৩০টি ছিনতাইকারী গ্রুপ। তাদের নামেও আছে ভিন্নতা। কোনো গ্রুপের নাম টানা পার্টি, কোনটা মামু পার্টি, কোন গ্রুপ পরিচিত সালাম পার্টি নামে, আছে সিএনজি পার্টি থেকে ভুয়া পুলিশ ডিবি পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীরা কয়েকটি ধাপে তাদের অপারেশন সমপন্ন করে। তাদের মূল টার্গেট হলো ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তি এবং বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংক কর্মীরা। এছাড়া বিদেশ ফেরত যাত্রীরাও রয়েছে তাদের টার্গেটে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক, আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাইকারীদের কাছে গোপনে অর্থ পরিবহনের তথ্য আগাম জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর ভুয়া নম্বর প্লেটের গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারীরা পরিকল্পনা সাজায়।
ছিনতাইকারী চক্রের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও রেসকিউ টিম রয়েছে। অপারেশন সফল হলে জড়িত সবার মধ্যে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়া হয়। অনেক সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নকল পোশাক পরে ছিনতাই করা হয়। ভাড়া করা অটোরিকশায় খাঁচা লাগানোর পরে এখন ছাউনি কেটে নেয়া হচ্ছে মুঠোফোন বা ব্যাগ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীতে সিএনজি টেক্সি নিয়ে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ছিনতাই করে এক গ্রুপ। আরেকটি গ্রুপ কাজ করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তারা সিএনজিতেও আসে, আবার মোটরসাইকেলেও আসে। মূলত: রিকশারোহী নারীদের টার্গেট করে তারা। রিকশার পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে মোটর সাইকেলের পেছনের আরোহী ছোঁ মেরে কেড়ে নেয় ব্যাগ।
জামালখান মোড়ে এ ধরনের একটি চক্রের শিকার হয়ে রিকশা থেকে পড়ে মারা যান শিরীন নামে এক তরুণী। কখনও কখনও পরিচিত ব্যক্তির ভাব করে লোকজনকে থামিয়েও ছিনতাই হচ্ছে। উচ্চস্বরে সালাম দিয়ে হঠাৎ মাঝপথে গতিরোধ করে রিকশা যাত্রীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে দুই যুবক মুহূর্তে পিস্তল বের করে ঠেকায় যাত্রীর বুকে। কি আছে বের করে দাও না হলে গুলি ছুঁড়ব। প্রাণ বাঁচাতে টাকা-পয়সা মোবাইল ফোন নীরবেই তাদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।
হাঁটার পথে আকস্মিক কয়েকজন যুবক মামু কেমন আছেন বলে ঘিরে ধরছে পথচারীকে। এরপর অস্ত্র কিংবা ছুরি দেখিয়ে সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। কখনও আবার রিকশা থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করছে কয়েকজন যুবক। নিরপরাধ রিকশাচালকের উপর নির্যাতনে বাধা দিতে গেলে বন্দুক তাক করা হচ্ছে যাত্রীর দিকে। মুহূর্তের মধ্যে কেড়ে নেয়া হচ্ছে যাত্রীর টাকা-পয়সা।
সমপ্রতি ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক ছিনতাইকারীদের একটি গ্রুপ সক্রিয়, যারা মূলত মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা মরিয়া। বিশেষ করে রাত ৮ টার পর থেকে নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভার ও মুরাদপুর ফ্লাইওভারে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে তিন চারজন। চেহারা উস্কো খুস্কো, ছুরি হাতে উদ্যত। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেই ছুরিকাঘাত করে কেড়ে নেয় টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ সবকিছু। কাজ হাসিল করেই ছুটতে থাকে মাদক আস্তানায়। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত সন্তানও জড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছিনতাই ঘটনায় মামলা নিতে বরাবরই থানা পুলিশ দারুণ উদাসীন। মামলা না নিয়ে জিডি নিয়ে দায় সারছে পুলিশ।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীরাই অভিযোগ করতে চান না। থানায় অভিযোগ না নিলে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাহায্য চাইতে পারেন তারা। তা না করে একচেটিয়া পুলিশের উপর দায় চাপানোর অভ্যাসটা পুরনো।
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, ছিনতাইয়ের ঘটনার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা। এ পরিস্থিতির উত্তরণ এখনই ঘটানো না গেলে ভবিষ্যতে সমাজে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। পুলিশের গড়িমসির বিষয়টি নতুন কিছুই নয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা সমাজের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে।
No comments