শেফালীর মুখে হত্যা-পরকীয়ার বর্ণনা
পরকীয়া
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই দুই সন্তানকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিই। আর এ জন্য ওদের
কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেই। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরকীয়া
প্রেমের জের ধরে নিজ সন্তান হৃদয় (৯)কে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ঘাতক মা শেফালী আক্তার এ কথা বলেন। শনিবার
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক মেহেদি
হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার এস আই আবুল কাসেম জবানবন্দির বিষয়টি
নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্বীকারোক্তিতে শেফালী আক্তার আদালতকে বলেন,
তাদের দুজনের অনৈতিক কাজ ছেলেরা দেখে ফেললে প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে
নিয়ে শিশু হৃদয় ও জিহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে শেফালী। মোমেনকে সঙ্গে নিয়ে
নিজের দু’সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁথা মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে
বড় ছেলে হৃদয় (৯)-এর সারা শরীর আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় গুরুতর আহত
অবস্থায় ছোট ছেলে জিহাদ (৭)কে বাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ায় সে বেঁচে যায়। সূত্রমতে, আড়াইহাজার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া
গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শেফালী আক্তারের সঙ্গে তার
বৈমাত্রেয় ভাই রাশেদুল ইসলাম মোমেনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল।
প্রতিরাতেই রাশেদুল ইসলাম মোমেন ভাবি শেফালী বেগমের ঘরেই রাত যাপন করতো।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তাদের
দুজনের অনৈতিক কাজ হৃদয় ও জিহাদ দেখে ফেলায় হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মতো ১২ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার সময় হৃদয় ও জিহাদকে
কাঁথা পেঁচিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ঝলসে যায়
নিষ্পাপ দুই শিশুর দেহ। শিশুদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে হৃদয়ের সারা শরীর
পোড়া ও নিথর দেহ ও জিহাদের অর্ধ পোড়া অবস্থায় কাতরাতে দেখতে পান। সেখান
থেকে আহত জিহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত হৃদয়
৩৫ নং বাড়ৈইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র এবং আহত ছোট
ভাই জিহাদ প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শুক্রবার এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় শেফালী আক্তার ও রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘাতক মা শেফালী আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার সুন্দর আলীর কন্যা বলে পুলিশ জানায়।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ঘটনার নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে জানান, গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়। পরে সে ও তার বড় ভাই আঃ হান্নান ও তার ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে তার বিদেশ প্রবাসী ছেলে আনোয়ারের ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারা সেই ঘরের একটি দরজা খোলা পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখতে পান পুত্রবধূ শেফালী আক্তার ও রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে। তারা দুজনে মিলে বিছানার কাঁথা ও তোষকে আগুন ধরিয়ে তার দুই শিশু নাতি হৃদয় ও জিহাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে। এসময় শিশুদের রক্ষায় আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে রাশেদুল ইসলাম মোমেন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বিল্লাল হোসেন আরো জানান, এ নির্মম ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে এখনো পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক জানান, অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে শিশুর মা শেফালী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। অপর আসামি রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
শুক্রবার এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় শেফালী আক্তার ও রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘাতক মা শেফালী আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার সুন্দর আলীর কন্যা বলে পুলিশ জানায়।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ঘটনার নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে জানান, গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়। পরে সে ও তার বড় ভাই আঃ হান্নান ও তার ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে তার বিদেশ প্রবাসী ছেলে আনোয়ারের ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারা সেই ঘরের একটি দরজা খোলা পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখতে পান পুত্রবধূ শেফালী আক্তার ও রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে। তারা দুজনে মিলে বিছানার কাঁথা ও তোষকে আগুন ধরিয়ে তার দুই শিশু নাতি হৃদয় ও জিহাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে। এসময় শিশুদের রক্ষায় আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে রাশেদুল ইসলাম মোমেন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বিল্লাল হোসেন আরো জানান, এ নির্মম ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে এখনো পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক জানান, অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে শিশুর মা শেফালী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। অপর আসামি রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
No comments