কুমারিত্ব নিলাম থেকে যৌন সম্পর্ক
মাঝে
মাঝেই চমকে উঠবেন আপনি। কারণ, অনলাইনে দেখবেন কুমারিত্ব নিলামে তোলার
বিজ্ঞাপন। না, এটা বাংলাদেশের কোনো কথা নয়। পশ্চিমা দুনিয়ায় এমন কাহিনী
অহরহ মেলে। সেখানে কুমারিত্ব বা সতীত্ব টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়।
এক্ষেত্রে বৃটিশ নারীরাও কম যাচ্ছেন না। দিন দিন এভাবে কুমারিত্ব বিক্রি
করা নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তারা কুমারিত্ব বিক্রি করছেন অথবা নিলামে তুলছেন।
তবে যারা এমনটা করছেন তারা আবার অনেকেই নিজেদের কুমারী বা ভার্জিন হিসেবে
দাবি করছেন। কারণ, তারা কুমারিত্ব বিক্রি করছেন অর্থের বিনিময়ে। অর্থের
চাহিদা মেটানোর জন্য। শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য তারা কুমারিত্ব বিক্রি
করছেন না। তাই তাদের দাবি তারা কুমারী। অর্থের বিনিময়ে এভাবে কুমারিত্ব
বিক্রিকারীদেরকে ‘সুগার বেবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তারা সব সময় যে যৌন
সম্পর্ক স্থাপন করেন এমন নয়। তারা অর্থের প্রয়োজনে একজন পুরুষের সঙ্গী হন।
তার সঙ্গে লম্বা সময় কাটান। তাকে দেখাশোনা করেন। তার চাহিদা পূরণ করেন। তবে
এক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ক অবশ্যম্ভাবী নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রীতি
অনুসরণ করতে গিয়ে কিছু নারীর অবস্থান এখন বিপন্ন। এখানে একটি ঘটনার কথা
তুলে ধরা যায়। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বলছেন, সম্পদশালী এক
ব্যক্তির সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে ডেটিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তি বিয়ারের
বোতল ব্যবহার করে তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার
নিউ এয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সুগার বেবি সামিট’। এর আয়োজক সিকিং
অ্যারেঞ্জমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের যাত্রা শুরু ২০০৬ সালে। তারাই
প্রথম ডেটিং জগতে অনলাইনে মূলধারায় যুক্ত করেছে ‘সুগার বেবিস’ এবং ‘সুগার
ড্যাডিস’। এখন ১৩৯টি দেশে এ ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। এক কোটির বেশি মানুষ এসেছে
এর আওতায়। শুধু বৃটেনেই এ সংখ্যা কয়েক লাখ। সিকিং অ্যারেঞ্জমেন্টের দাবি,
তারা বৈধভাবে ডেটিং আয়োজন করে দিচ্ছে উভয় পক্ষের বোঝাপড়ার মাধ্যমে। সেই
বোঝাপড়া হচ্ছে, দু’জন মানুষ কি ধরনের রিলেশনশিপ বা সম্পর্ক চায় তাই নিয়ে।
কিন্তু এই সুযোগ নিচ্ছেন যুবতীরা। তাদের বয়স ১৮ থেকে শুরু। তাদের মধ্যে
কুমারিত্ব বিক্রির এক রকম হিড়িক পড়ে গেছে। তারা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে
কুমারিত্ব বিক্রি করছেন চড়াদামে। তাদের বিষয়ে জানতে অনলাইন মেইলের সাংবাদিক
সুগার ড্যাডি হিসেবে একটি ভুয়া একাউন্ট খোলেন। তারপর শুধু বৃটেনেই এমন
কুমারিত্ব বিক্রি করবেন এমন ৭০ জনের বেশি যুবতীর সন্ধান মেলে। আর বিদেশে
তাদের সংখ্যা কয়েক হাজার। তাদের প্রোফাইলে দাবি করা হচ্ছে, তারা কুমারী।
No comments