দুর্ভোগ সব সড়কেই

কেবল আরাকান সড়কই নয়, শহরে ঢোকার এবং অভ্যন্তরীণ সব সড়কই বেহাল। ঘরমুখো সব মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে এবার। অথচ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কিংবা সিটি করপোরেশনই শুধু নয়, সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেন এ নিয়ে কোনো দায় নেই।


যোগাযোগমন্ত্রীর একাধিকবার পরিদর্শনের কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিয়ে এখন ব্যস্ত। তার পরও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি বলে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের অভিযোগ। এর বাইরে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে প্রতিদিনই দুর্ভোগ সয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা। সড়কের দুই পাশ কেটে রাখা হয়েছিল বর্ষার আগেই। বর্ষা শেষেও তাতে পানি জমে রয়েছে। ফলে ব্যস্ত সড়কটিতে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির মানুষ এ সড়ক দিয়েই যাওয়া-আসা করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) চট্টগ্রাম এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘কোরবানের আগেই কিছু খানাখন্দ ভরাট করার কাজ করছি আমরা। যাতে কিছুটা হলেও মানুষের কষ্ট লাঘব হয়।’
চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের মতো বহদ্দারহাট—শাহ আমানত-সংযোগ সড়কটিও সওজের তত্ত্বাবধানে। তিন বছর চলে গেলেও সড়কটির সম্প্রসারণকাজ শুরু করতে পারেনি সংস্থাটি।
জানা গেছে, শহরের ভেতরের নির্মাণাধীন ও সংস্কার শুরু করা বেশির ভাগ সড়ক এখনো যান চলাচলের উপযোগী হয়নি। এর মধ্যে ডিটি সড়কের কাজ চলছে ঢিমেতালে। পাঠানটুলি সড়কের কাজও শেষ হয়নি। তবে এ সড়কের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানের আগেই যাতে মানুষ সড়কগুলো ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে আমরা সেভাবে কাজ করছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম কলেজ সড়ক ও কাপাসগোলা সড়কের কিছু অংশের কাজ চলছে। তবে কয়েকটি জায়গা খুবই সরু হওয়ার কারণে ওই সড়কেও দিন দিন বাড়ছে যানজট। আগামী জুন মাসের মধ্যে এ সড়কেরও সম্প্রসারণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাপাসগোলা সড়কের কাজ করতে গিয়ে চউককে বেশ কয়েকটি মামলাও মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

No comments

Powered by Blogger.