পদ্মা সেতু নিয়ে অনিশ্চয়তা-সরকারকেই আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে
পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক তদন্ত প্যানেল বাংলাদেশে তাদের তিন দিনের সফর শেষে ফিরে গেছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে তারা আবার আসবে। পদ্মা সেতুর প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে,
সে ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রমের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করবে এই প্যানেল এবং তারা বিশ্বব্যাংককে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেবে। তাদের প্রতিবেদন সন্তোষজনক হলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করবে। এদিকে গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের পাশাপাশি সেতুর নির্মাণকাজ চলবে কি না তা বিশ্বব্যাংকের দ্বিতীয় প্রতিনিধিদলের ওপর নির্ভর করছে। এ অবস্থায় এমনটা ধারণা করা খুবই যুক্তিসংগত যে অচিরেই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না এবং পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের অপেক্ষার পালা আরো কিছুটা দীর্ঘায়িত হলো।
পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে অনেক দিন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মানুষের মধ্যেও প্রত্যাশার বিশাল এক পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সেতুর কাজ যদি দ্রুত শুরু করা না যায়, তাহলে সেই প্রত্যাশা যে শেষে এক বিশাল হতাশার জন্ম দেবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেই হতাশা থেকে সৃষ্ট আগুনে অনেকেই পুড়ে ছারখার হতে পারেন। পদ্মা সেতুর মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল, সরকার তা থাকেনি বা থাকতে পারেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতি সেটিই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে সরকারের দক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবও চোখে পড়ার মতো। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন সরকার সেগুলো কেবল অস্বীকারই করেনি, বিশ্বব্যাংকের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকে। বিশ্বব্যাংকের দেওয়া কয়েকটি শর্ত পূরণে সরকার কেবল অস্বীকৃতিই জানায়নি, উষ্মাও প্রকাশ করে। অবশেষে একে একে বিশ্বব্যাংকের সব শর্তই মানা হলো। তাহলে জল এত ঘোলা করা হলো কেন- এমন প্রশ্ন জাগাটা কি খুবই স্বাভাবিক নয়? আমরা আশা করি, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং পদ্মা সেতুর বিষয়ে দাতাদের সঙ্গে কাজ করার সময় আরো বেশি দক্ষতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেবে।
পদ্মা সেতু কেবল দক্ষিণাঞ্চলের সাড়ে তিন কোটি মানুষের জন্যই নয়, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এই সেতুর কাজ অতি দ্রুত শুরু হোক, সেটাই জাতীয় আকাঙ্ক্ষা। দেশের যোগাযোগব্যবস্থার সার্বিক চিত্র মোটেও সুখকর নয়। জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক। দেশের নৌযোগাযোগব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত। আকাশপথ বা বাংলাদেশ বিমান যেন মরতে মরতে বেঁচে রয়েছে। শিল্পোন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর চেয়েও জরুরি গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতির প্রকৃত কোনো উন্নয়ন নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ঘুষ-দুর্নীতিতে দেশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত চলছে। নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা। এ অবস্থায় কোনো দেশই তার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরাও পারব না। তাই সরকারকে যেখানে যেটুকু দেওয়া প্রয়োজন, সেখানে ততটুকু মনোযোগ দিতেই হবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু নিয়ে তৈরি হওয়া বিশাল জনপ্রত্যাশা মাথায় রেখে সরকারকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে অনেক দিন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মানুষের মধ্যেও প্রত্যাশার বিশাল এক পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সেতুর কাজ যদি দ্রুত শুরু করা না যায়, তাহলে সেই প্রত্যাশা যে শেষে এক বিশাল হতাশার জন্ম দেবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেই হতাশা থেকে সৃষ্ট আগুনে অনেকেই পুড়ে ছারখার হতে পারেন। পদ্মা সেতুর মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল, সরকার তা থাকেনি বা থাকতে পারেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতি সেটিই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে সরকারের দক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবও চোখে পড়ার মতো। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন সরকার সেগুলো কেবল অস্বীকারই করেনি, বিশ্বব্যাংকের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকে। বিশ্বব্যাংকের দেওয়া কয়েকটি শর্ত পূরণে সরকার কেবল অস্বীকৃতিই জানায়নি, উষ্মাও প্রকাশ করে। অবশেষে একে একে বিশ্বব্যাংকের সব শর্তই মানা হলো। তাহলে জল এত ঘোলা করা হলো কেন- এমন প্রশ্ন জাগাটা কি খুবই স্বাভাবিক নয়? আমরা আশা করি, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং পদ্মা সেতুর বিষয়ে দাতাদের সঙ্গে কাজ করার সময় আরো বেশি দক্ষতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেবে।
পদ্মা সেতু কেবল দক্ষিণাঞ্চলের সাড়ে তিন কোটি মানুষের জন্যই নয়, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এই সেতুর কাজ অতি দ্রুত শুরু হোক, সেটাই জাতীয় আকাঙ্ক্ষা। দেশের যোগাযোগব্যবস্থার সার্বিক চিত্র মোটেও সুখকর নয়। জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক। দেশের নৌযোগাযোগব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত। আকাশপথ বা বাংলাদেশ বিমান যেন মরতে মরতে বেঁচে রয়েছে। শিল্পোন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর চেয়েও জরুরি গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতির প্রকৃত কোনো উন্নয়ন নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ঘুষ-দুর্নীতিতে দেশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত চলছে। নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা। এ অবস্থায় কোনো দেশই তার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরাও পারব না। তাই সরকারকে যেখানে যেটুকু দেওয়া প্রয়োজন, সেখানে ততটুকু মনোযোগ দিতেই হবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু নিয়ে তৈরি হওয়া বিশাল জনপ্রত্যাশা মাথায় রেখে সরকারকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।
No comments