শর্তসাপেক্ষে দুই মাসের জামিন পেলেন সাবেক সেনাপ্রধান হারুন
ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার শর্তে দুদকের দায়ের করা দুটি মামলায় সাবেক সেনাপ্রধান ও গ্রুপটির প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদকে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন দেন।
হাইকোর্ট বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে হারুন অর রশিদের প্রতি বলেন, “দেশ ত্যাগ করবেন না; তদন্তকাজে যখন তাকে ডাকা হবে, তখনই সাড়া দেবেন; তদন্তকাজ ব্যাহত করবেন না; ডেসটিনির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না বা সম্পর্ক রাখবেন না; ডেসটিনির কারো জন্য চেষ্টা বা তদবির করবেন না; এ মামলার বিষয়ে জনসম্মুখে বক্তব্য (পাবলিক স্টেটমেন্ট) দেবেন না; নিয়মের বাইরে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন না বা যোগাযোগ করবেন না; তার (হারুন অর রশিদ) জামিন ডেসটিনির অন্য কারো জন্য উদাহরণ হিসেবে আনা যাবে না; এসব শর্ত যদি তিনি ভঙ্গ করেন তাহলে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে বা বিচারিক আদালত জামিন বাতিল করতে পারবেন। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিতে হবে না।”
জামিন দেওয়ার কারণ হিসেবে হাইকোর্ট বলেন, “তার স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এছাড়া তিনি সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। সর্বোপরি তার ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস বিবেচনা করেই আদালত তাকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
গত ১১ অক্টোবর লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ, ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেদিনই তারা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে পৃথকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর হারুন অর রশিদ, রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসাইনসহ ডেসটিনির শীর্ষ ২১ কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেছিলেন একই আদালত।
এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং জামিনের জন্য গত রোববার বিকালে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন অর রশিদ। দুদিন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তার আবেদন মঞ্জুর করে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পরে মো. খুরশীদ আলম খান জানান, সাবেক সেনাপ্রধান লে.জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদকে আদালত স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন। এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এ বিষয়টিও আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। এছাড়া আদালত বলেছেন, “এই অবস্থানের একজন ব্যক্তি জামিন পেলে এর অপব্যবহার করবেন না বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
উল্লেখ্য, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম গত ৩১ জুলাই মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আছে। বাকি তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা তারা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
জামিন দেওয়ার কারণ হিসেবে হাইকোর্ট বলেন, “তার স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এছাড়া তিনি সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। সর্বোপরি তার ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস বিবেচনা করেই আদালত তাকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
গত ১১ অক্টোবর লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ, ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেদিনই তারা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে পৃথকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর হারুন অর রশিদ, রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসাইনসহ ডেসটিনির শীর্ষ ২১ কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেছিলেন একই আদালত।
এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং জামিনের জন্য গত রোববার বিকালে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন অর রশিদ। দুদিন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তার আবেদন মঞ্জুর করে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পরে মো. খুরশীদ আলম খান জানান, সাবেক সেনাপ্রধান লে.জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদকে আদালত স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন। এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এ বিষয়টিও আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। এছাড়া আদালত বলেছেন, “এই অবস্থানের একজন ব্যক্তি জামিন পেলে এর অপব্যবহার করবেন না বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
উল্লেখ্য, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম গত ৩১ জুলাই মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আছে। বাকি তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা তারা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
No comments