ধর্ষণের অভিযোগ-ওকিনাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই সেনা গ্রেপ্তার

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপে নারী ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দ্বীপটির পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওকিনাওয়ায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সেখানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির বিরুদ্ধে জনমত আবারও ফুঁসে উঠছে।


সন্দেহভাজন দুই সেনার নাম ক্রিস্টোফার ব্রাউনিং ও স্কাইলার ডজিয়ারওয়াকার। তাদের বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। তাঁর বয়স বিশের কোঠায়। পরে ওই তরুণী ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করেন। ঘটনার সময় ওই দুই সেনা মাতাল ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জাপান এ ঘটনাকে 'একেবারেই অগ্রহণযোগ্য' বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ঘটনাটি তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ঘটনার তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। জাপানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন রোস বলেছেন, এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক। জাপানিরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সেটি ঠিক আছে। 'ঘটনার তদন্ত করতে মার্কিন সরকার ও সেনাবাহিনী পূর্ণ সহযোগিতা করবে।'
ওকিনাওয়ার গভর্নর হিরোকাজু নাকাইমা জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাতোশি মোরিমোতোর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গভর্নর এ ঘটনাকে 'বিকৃত' রুচির বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে ১২ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। এর প্রতিবাদে জাপানে মার্কিনবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ওকিনাওয়ায় সেনা উপস্থিতির সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের এ ধরনের আরেকটি ঘটনায় ২০০৮ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস জাপানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। বর্তমানে ওকিনাওয়ায় একটি নতুন ঘাঁটি নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। ওকিনাওয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ৪৭ হাজার সেনা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, জাপান টাইমস, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.