হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন-গুলি নয়, বেয়নেটের আঘাতেই গাদ্দাফি মারা গেছেন
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বন্দুকযুদ্ধে নয় বরং বেয়নেটের আঘাতে নিহত হয়েছেন। আগামী শনিবার (২০ অক্টোবর) গাদ্দাফির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাদ্দাফিকে আটক ও হত্যার সময় তাঁর আরো ৬৬ সহযোগীকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। গাদ্দাফির নিজ শহর সিরতে ওই সময় তাঁর ছেলে মুতাসসিমও নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন।
গাদ্দাফির মৃত্যুর পর লিবিয়া কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ক্রসফায়ারে পড়ে গাদ্দাফি মারা যান।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থনকারী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর বলে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত গাদ্দাফিবিরোধী বিদ্রোহীদের মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওচিত্রের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
'এক স্বৈরাচারীর মৃত্যু : সিরতে রক্তাক্ত প্রতিশোধ' শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গাদ্দাফির মৃত্যু-পূর্ব পরিস্থিতির বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে বলা হয়, সিরতে লুকানোর চেষ্টা করার সময় গাদ্দাফির কয়েক গজের মধ্যে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। গ্রেনেড থেকে ছিটকে বের হওয়া ধাতব পদার্থে আহত হন তিনি। বিদ্রোহীদের হাতে আটক হওয়ার পর বেয়নেট দিয়েও আঘাত করা হয় তাঁকে। এতে প্রচু রক্তক্ষরণ হয়। সম্ভবত এই আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর তাঁকে বিদ্রোহীরা গুলি করে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, গুলি করার আগেই প্রাণহীনের মতো পড়ে আছেন গাদ্দাফি। এইচআরডাব্লিউ জানায়, ক্রসফায়ারে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন বলে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ যে দাবি করেছে, তা প্রশ্নাতীত নয়।
এ ছাড়া এই প্রতিবেদনে শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টাকারী গাদ্দাফির ছেলেসহ সেনাদের নির্যাতন ও হত্যার প্রমাণ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয়, মিসরাতায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় মুতাসসিমকে। এ শহরটি মাসাধিককাল সরকারপন্থীদের দখলে ছিল। দিনের শুরুতে ধারণ করা এক ভিডিওতে তাঁকে জীবিত দেখা যায়। পরের একটি ভিডিওতে দেখানো হয় মৃত। এতে তাঁর গলায় সদ্য ক্ষতচিহ্নও দেখা যায়, যা আগের ভিডিওতে ছিল না।
তদন্তকারীদের বিশ্বাস, গাদ্দাফির গাড়ির বহরে থাকা তাঁর আরো ৬৬ সহযোগীকেও পাশের মাহারি হোটেলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এইচআরডাব্লিউর জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক পরিচালক পিটার বোকার্ট বলেন, 'প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির ৬৬ জন সদস্যকে আটক ও হত্যা করে। আমাদের তদন্তে ভিডিওগুলোতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে জীবিত দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁদের মৃতদেহ দেখা যায়। এই ভিডিওচিত্রগুলোর সবই বিদ্রোহীদের ধারণ করা। এরপর মাহারি হোটেলে ৬৬ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।' যুদ্ধের আইনানুসারে, আটক বিরোধী যোদ্ধাদের হত্যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
১২০ কয়েদি পালিয়েছে
লিবিয়ার সবচেয়ে বড় কারাগার থেকে ১২০ কয়েদি পালিয়েছে। রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত জেদেইদা নামের ওই কারাগারের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কয়েদিদের দিকে চাবি ছুড়ে দিলে কয়েদিরা তা দিয়ে তালা খুলে পালিয়ে যায়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র আবদুল মোনেম আর হুর গত সোমবার এ তথ্য জানান। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
গাদ্দাফির মৃত্যুর পর লিবিয়া কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ক্রসফায়ারে পড়ে গাদ্দাফি মারা যান।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থনকারী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর বলে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত গাদ্দাফিবিরোধী বিদ্রোহীদের মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওচিত্রের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
'এক স্বৈরাচারীর মৃত্যু : সিরতে রক্তাক্ত প্রতিশোধ' শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গাদ্দাফির মৃত্যু-পূর্ব পরিস্থিতির বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে বলা হয়, সিরতে লুকানোর চেষ্টা করার সময় গাদ্দাফির কয়েক গজের মধ্যে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। গ্রেনেড থেকে ছিটকে বের হওয়া ধাতব পদার্থে আহত হন তিনি। বিদ্রোহীদের হাতে আটক হওয়ার পর বেয়নেট দিয়েও আঘাত করা হয় তাঁকে। এতে প্রচু রক্তক্ষরণ হয়। সম্ভবত এই আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর তাঁকে বিদ্রোহীরা গুলি করে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, গুলি করার আগেই প্রাণহীনের মতো পড়ে আছেন গাদ্দাফি। এইচআরডাব্লিউ জানায়, ক্রসফায়ারে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন বলে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ যে দাবি করেছে, তা প্রশ্নাতীত নয়।
এ ছাড়া এই প্রতিবেদনে শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টাকারী গাদ্দাফির ছেলেসহ সেনাদের নির্যাতন ও হত্যার প্রমাণ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয়, মিসরাতায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় মুতাসসিমকে। এ শহরটি মাসাধিককাল সরকারপন্থীদের দখলে ছিল। দিনের শুরুতে ধারণ করা এক ভিডিওতে তাঁকে জীবিত দেখা যায়। পরের একটি ভিডিওতে দেখানো হয় মৃত। এতে তাঁর গলায় সদ্য ক্ষতচিহ্নও দেখা যায়, যা আগের ভিডিওতে ছিল না।
তদন্তকারীদের বিশ্বাস, গাদ্দাফির গাড়ির বহরে থাকা তাঁর আরো ৬৬ সহযোগীকেও পাশের মাহারি হোটেলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এইচআরডাব্লিউর জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক পরিচালক পিটার বোকার্ট বলেন, 'প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির ৬৬ জন সদস্যকে আটক ও হত্যা করে। আমাদের তদন্তে ভিডিওগুলোতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে জীবিত দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁদের মৃতদেহ দেখা যায়। এই ভিডিওচিত্রগুলোর সবই বিদ্রোহীদের ধারণ করা। এরপর মাহারি হোটেলে ৬৬ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।' যুদ্ধের আইনানুসারে, আটক বিরোধী যোদ্ধাদের হত্যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
১২০ কয়েদি পালিয়েছে
লিবিয়ার সবচেয়ে বড় কারাগার থেকে ১২০ কয়েদি পালিয়েছে। রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত জেদেইদা নামের ওই কারাগারের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কয়েদিদের দিকে চাবি ছুড়ে দিলে কয়েদিরা তা দিয়ে তালা খুলে পালিয়ে যায়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র আবদুল মোনেম আর হুর গত সোমবার এ তথ্য জানান। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
No comments