আবু জান্দালের তথ্য-বাংলাদেশের প্রশাসনে লস্কর-ই-তৈয়বার সহযোগী আছে
ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী অভিযোগে আটক লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) শীর্ষ নেতা জাবিউদ্দিন আনসারি ওরফে আবু জান্দাল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন এলইটির সহযোগী রয়েছে।
আর তাদের মাধ্যমেই এলইটির জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করে।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় মুম্বাইয়ের পুলিশ আবু জান্দালের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের এসপ্লানেড আদালতে গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা আবু জান্দাল স্বীকার করেছে বলে ভারতীয় পুলিশ আগেই দাবি করে।
ভারতের অপরাধ দমন বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আবু জান্দাল ২০০৬ সালের ৯ মে আওরঙ্গবাদে এন্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের (এটিএস) অভিযানের সময় পালিয়ে যায়। এরপর সে ট্রেনে চেপে কলকাতার শিলাইদহ স্টেশনে যায়। সেখানে শওকত নামের এলইটির সন্দেহজনক এক সহযোগী তাকে গ্রহণ করে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জান্দাল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, শওকত তাকে কলকাতায় অবস্থান করতে সব ধরনের সহায়তা করে। এর এক দিন পর সে ভারত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ঢোকে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শওকত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই তার নিরাপদে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। আওরঙ্গবাদ থেকে পালিয়ে আসার সময় আবু জান্দালের কাছে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছিল না বলেও ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে জান্দাল ঢাকায় চলে যায়। এরপর সে সেখানে দুই দিন অবস্থান করে এবং ২০০৬ সালের ১৬ মে বিমানের একটি ফ্লাইটে করাচি যায়। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) ফ্লাইটে করাচি যেতে সে টিকিটে সাঈদ নাম ব্যবহার করে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জান্দালকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বলে ধারণা করা হলেও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সে কিভাবে ঢাকার বিমানবন্দর পার হলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, গলফ নিউজ ও জি নিউজ।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় মুম্বাইয়ের পুলিশ আবু জান্দালের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের এসপ্লানেড আদালতে গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা আবু জান্দাল স্বীকার করেছে বলে ভারতীয় পুলিশ আগেই দাবি করে।
ভারতের অপরাধ দমন বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আবু জান্দাল ২০০৬ সালের ৯ মে আওরঙ্গবাদে এন্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের (এটিএস) অভিযানের সময় পালিয়ে যায়। এরপর সে ট্রেনে চেপে কলকাতার শিলাইদহ স্টেশনে যায়। সেখানে শওকত নামের এলইটির সন্দেহজনক এক সহযোগী তাকে গ্রহণ করে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জান্দাল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, শওকত তাকে কলকাতায় অবস্থান করতে সব ধরনের সহায়তা করে। এর এক দিন পর সে ভারত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ঢোকে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শওকত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই তার নিরাপদে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। আওরঙ্গবাদ থেকে পালিয়ে আসার সময় আবু জান্দালের কাছে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছিল না বলেও ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে জান্দাল ঢাকায় চলে যায়। এরপর সে সেখানে দুই দিন অবস্থান করে এবং ২০০৬ সালের ১৬ মে বিমানের একটি ফ্লাইটে করাচি যায়। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) ফ্লাইটে করাচি যেতে সে টিকিটে সাঈদ নাম ব্যবহার করে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জান্দালকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বলে ধারণা করা হলেও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সে কিভাবে ঢাকার বিমানবন্দর পার হলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, গলফ নিউজ ও জি নিউজ।
No comments