থ্রিজি ফোন আর কোথায় কবে কিভাবে by কাজী হাফিজ
আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে চট্টগ্রাম নগর, কক্সবাজার ও সিলেটের গ্রাহকরা টেলিটকের থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) মোবাইল প্রযুক্তিসেবা পেতে যাচ্ছেন। আর ঢাকার টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার গ্রাহকরা এ সেবা পাবেন চলতি মাসের শেষ দিকে।
বর্তমানে শুধু ঢাকা সিটি এলাকায় এ সেবা চালু রয়েছে। এ ছাড়া আগামী রবিবার থেকে টেলিটকের সাধারণ গ্রাহকরা তাঁদের সিম থ্রিজিতে মাইগ্রেশন করার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এর জন্য তাঁদের মাইগ্রেশন ফি হিসেবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হতে পারে। রবিবারের আগেই সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থ্রিজিতে মাইগ্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
টেলিটকের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. হাবিবুর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানান। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকায় থ্রিজির সিম বিক্রি শুরু হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত এর প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক পাওয়া গেছে।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৫ অক্টোবর বিকেল থেকে সিম বিক্রি শুরু হয়। তবে সে সময় নির্ধারিত দোকানগুলোতে এ-সংক্রান্ত লিফলেট-ব্যানার পেঁৗছে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়। ঢাকায় প্রায় এক লাখ দোকানে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি হয়। এর মধ্যে কোন তিন হাজার দোকানে টেলিটকের সিম পাওয়া যাবে, তা লিফলেট-ব্যানার না থাকায় গ্রাহকরা বুঝতে পারেননি। তাঁরা তাঁদের পরিচিত টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতেই বেশি ভিড় করছেন।
হাবিবুর রহমান জানান, প্রথমে দিনে কয়েক শ সিম বিক্রি হলেও এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার করে সিম বিক্রি হচ্ছে। লিফলেট-ব্যানার বিতরণ সম্পন্ন হওয়ায় গ্রাহকরা সহজেই নির্ধারিত দোকানগুলো খুঁজে পাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন পাঁচ-ছয় হাজার করে থ্রিজি সিম বিক্রি হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন ২০ হাজার থ্রিজি সিম বাজারে ছাড়ি। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার সিম বিক্রি হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকায় সাত-আট লাখ গ্রাহককে থ্রিজি সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমরা আশা করছি, এ মাসেই আমাদের থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা এক থেকে দেড় লাখে উন্নীত হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সাত-আট লাখ গ্রাহক পেয়ে যাব।
হাবিবুর রহমান বলেন, দেশে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার আগেই যাঁরা শখের বশে স্মার্টফোন সেট কিনেছিলেন, তাঁরা এখন সেটটিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য দ্রুত থিজির গ্রাহক হচ্ছেন। করপোরেট গ্রুপেরও চাহিদা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের জন্য ১০০ থ্রিজি সিম কেনা হয়েছে। পুলিশের টপ ম্যানেজমেন্ট তাদের চাহিদার কথা জানিয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, বাজারের প্রচলিত সব ধরনের স্মার্টফোন সেটে টেলিটকের থ্রিজির সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যে সেবায় গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ, সেই ভিডিও কল পেতে বিশেষ ফিচারের দামি স্মার্টফোন প্রয়োজন হচ্ছে। নকিয়ার-৭০১, নকিয়া লোমিয়া-৯০০, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট-২, গ্যালাক্সি ট্যাব-২, সনি এরিকসনের এক্সপোরিয়া সেটে সমস্যা হচ্ছে না। তবে অন্যান্য স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড করে ভিডিও কল সেবা পাওয়া যেতে পারে বলে টেলিটকের কর্মকর্তাদের ধারণা।
সেট-সংক্রান্ত এ সমস্যার বিষয়টি বুঝতে গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর লোক পরিচয়ে কয়েকজন টেলিটকের গুলশান অফিসে হাজির হয়েছিলেন।
যেখানে সহজে পাওয়া যাবে থ্রিজি সিম : টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থ্রিজি সিম কিনতে আগ্রহীদের সরাসরি তাঁদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোয় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলো হচ্ছে- বনানী কবরস্থানের কাছে টেলিটকের প্রধান কার্যালয়-সংলগ্ন, উত্তরায় সেক্টর-৩-এ এবি সুপার মার্কেটে, ধানমণ্ডি-৩ নম্বর রোডে ড. রেফাতুল্লার হ্যাপি আর্কেডে, ৫৯/২ পুরানা পল্টনের সুরমা টাওয়ারে, মিরপুর-১০-এর আখন্দ টাওয়ারে, ফার্মগেটে বড়বাজার শপিং কমপ্লেক্সে, রমনার বিটিসিএল কম্পাউন্ডে, যাত্রাবাড়ীর নওয়াব স্টোন টাওয়ারে এবং টঙ্গীর টিএসএস ভবনে। টেলিটক কর্তৃপক্ষ গত ১৫ অক্টোবর জানিয়ে দিয়েছে থ্রিজি সিমের মূল্য ৯০০ টাকা। এর সঙ্গে ৫০০ মিনিট অডিও কল ও ৫০০ মিনিট ভিডিও কল, এক হাজার এসএমএস এবং এক জিবি ইন্টারনেট ফ্রি।
গত ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল সেবা উদ্বোধন করেন।
টেলিটকের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. হাবিবুর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানান। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকায় থ্রিজির সিম বিক্রি শুরু হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত এর প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক পাওয়া গেছে।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৫ অক্টোবর বিকেল থেকে সিম বিক্রি শুরু হয়। তবে সে সময় নির্ধারিত দোকানগুলোতে এ-সংক্রান্ত লিফলেট-ব্যানার পেঁৗছে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়। ঢাকায় প্রায় এক লাখ দোকানে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি হয়। এর মধ্যে কোন তিন হাজার দোকানে টেলিটকের সিম পাওয়া যাবে, তা লিফলেট-ব্যানার না থাকায় গ্রাহকরা বুঝতে পারেননি। তাঁরা তাঁদের পরিচিত টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতেই বেশি ভিড় করছেন।
হাবিবুর রহমান জানান, প্রথমে দিনে কয়েক শ সিম বিক্রি হলেও এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার করে সিম বিক্রি হচ্ছে। লিফলেট-ব্যানার বিতরণ সম্পন্ন হওয়ায় গ্রাহকরা সহজেই নির্ধারিত দোকানগুলো খুঁজে পাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন পাঁচ-ছয় হাজার করে থ্রিজি সিম বিক্রি হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন ২০ হাজার থ্রিজি সিম বাজারে ছাড়ি। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার সিম বিক্রি হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকায় সাত-আট লাখ গ্রাহককে থ্রিজি সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমরা আশা করছি, এ মাসেই আমাদের থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা এক থেকে দেড় লাখে উন্নীত হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সাত-আট লাখ গ্রাহক পেয়ে যাব।
হাবিবুর রহমান বলেন, দেশে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার আগেই যাঁরা শখের বশে স্মার্টফোন সেট কিনেছিলেন, তাঁরা এখন সেটটিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য দ্রুত থিজির গ্রাহক হচ্ছেন। করপোরেট গ্রুপেরও চাহিদা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের জন্য ১০০ থ্রিজি সিম কেনা হয়েছে। পুলিশের টপ ম্যানেজমেন্ট তাদের চাহিদার কথা জানিয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, বাজারের প্রচলিত সব ধরনের স্মার্টফোন সেটে টেলিটকের থ্রিজির সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যে সেবায় গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ, সেই ভিডিও কল পেতে বিশেষ ফিচারের দামি স্মার্টফোন প্রয়োজন হচ্ছে। নকিয়ার-৭০১, নকিয়া লোমিয়া-৯০০, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট-২, গ্যালাক্সি ট্যাব-২, সনি এরিকসনের এক্সপোরিয়া সেটে সমস্যা হচ্ছে না। তবে অন্যান্য স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড করে ভিডিও কল সেবা পাওয়া যেতে পারে বলে টেলিটকের কর্মকর্তাদের ধারণা।
সেট-সংক্রান্ত এ সমস্যার বিষয়টি বুঝতে গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর লোক পরিচয়ে কয়েকজন টেলিটকের গুলশান অফিসে হাজির হয়েছিলেন।
যেখানে সহজে পাওয়া যাবে থ্রিজি সিম : টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থ্রিজি সিম কিনতে আগ্রহীদের সরাসরি তাঁদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোয় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলো হচ্ছে- বনানী কবরস্থানের কাছে টেলিটকের প্রধান কার্যালয়-সংলগ্ন, উত্তরায় সেক্টর-৩-এ এবি সুপার মার্কেটে, ধানমণ্ডি-৩ নম্বর রোডে ড. রেফাতুল্লার হ্যাপি আর্কেডে, ৫৯/২ পুরানা পল্টনের সুরমা টাওয়ারে, মিরপুর-১০-এর আখন্দ টাওয়ারে, ফার্মগেটে বড়বাজার শপিং কমপ্লেক্সে, রমনার বিটিসিএল কম্পাউন্ডে, যাত্রাবাড়ীর নওয়াব স্টোন টাওয়ারে এবং টঙ্গীর টিএসএস ভবনে। টেলিটক কর্তৃপক্ষ গত ১৫ অক্টোবর জানিয়ে দিয়েছে থ্রিজি সিমের মূল্য ৯০০ টাকা। এর সঙ্গে ৫০০ মিনিট অডিও কল ও ৫০০ মিনিট ভিডিও কল, এক হাজার এসএমএস এবং এক জিবি ইন্টারনেট ফ্রি।
গত ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল সেবা উদ্বোধন করেন।
No comments