প্রক্টরকে শোকজ ইউজিসি বলেছে চরম অসভ্যতা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রীকে প্রক্টরের ঘুষি মারার ঘটনাকে 'চরম অসভ্যতা' হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘটনাটি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ছাত্রী তো নয়ই, কোনো ছাত্রকেও শিক্ষক ঘুষি মারতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর পেছনে 'অন্য উদ্দেশ্য' রয়েছে দাবি করে বলেছে, এ ঘটনার তদন্ত হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কোনো নীলনকশা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের কমিটি করেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক বৈঠক করেছেন।
বৈঠক শেষে রাতে উপাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মনোরঞ্জন দাস ও ড. আলমগীর হোসেন।
এ ছাড়া অভিযুক্ত প্রক্টর ড. এম এ সালামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। পা ভেঙে যাওয়ায় মন্ত্রী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চিকিৎসকরা বলেছেন আমাকে বিশ্রাম নিতে, কিন্তু যা ঘটছে তাতে কি বিশ্রাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে!' তিনি ঘটনার তদন্ত করে অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে জানাতে।
জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধর করায় কয়েক দিন আগে ঢাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের দুজন শিক্ষককে বদলি করে ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাত্রীকে ঘুষি মারার ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এটি কারো কাছে কাম্য হতে পারে না। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটই ব্যবস্থা নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মহব্বত খান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, অপ্রীতিকর। এর দায় কোনোভাবেই উপাচার্য ও প্রক্টর এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, 'কোনো ছাত্রীকে ঘুষি মারা চরম অসভ্যতা। শিক্ষক হিসেবে এটি দেখাও লজ্জার ব্যাপার। ছাত্রী বাদ দিলাম, কোনো ছাত্রকেও তো ঘুষি মারা যায় না।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মন্তব্য করে অধ্যাপক মহব্বত বলেন, প্রক্টরের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি রক্ষা করা। কিন্তু ছবি দেখে মনে হচ্ছে তা তিনি করেননি। নৈতিক কারণে প্রক্টরের পদত্যাগ করা উচিত।
তবে প্রক্টর এম এ সালাম নিজেকে দোষী ভাবছেন না। এমনকি ছাত্রীকে ঘুষি মারায় তিনি কোনো রকম অনুশোচনা বোধও করছেন না। তিনি বলেন, 'ওই ছাত্রী আমার কলার ধরে টানাটানি করেছে। আমার হাতে থাকা মোবাইল টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছিল।'
ওই ছাত্রীকে 'সোনার কন্যা' নাম দিয়ে প্রক্টর বলেন, 'আত্মরক্ষার জন্য হাত উঁচু করে ধাক্কা দিয়ে আমি ওই ছাত্রীকে সরিয়ে দিই। আমি ছাত্রীকে ঘুষি মারিনি। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখার জন্যই এসব করেছি।' এ ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেদিন তিনি ছাত্রীর হামলার শিকার হওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।
উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হক বলেন, 'যা ছাপা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এ ঘটনা কেন ঘটল, এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।' অভিযুক্ত প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্য কোনো শিক্ষক আর প্রক্টর হতে আগ্রহী হবেন না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা সর্বসম্মতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় কি না তা ভেবে দেখতে হবে।'
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, 'তিনি (প্রক্টর) শিক্ষক নামের কলঙ্ক।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর পেছনে 'অন্য উদ্দেশ্য' রয়েছে দাবি করে বলেছে, এ ঘটনার তদন্ত হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কোনো নীলনকশা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের কমিটি করেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক বৈঠক করেছেন।
বৈঠক শেষে রাতে উপাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মনোরঞ্জন দাস ও ড. আলমগীর হোসেন।
এ ছাড়া অভিযুক্ত প্রক্টর ড. এম এ সালামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। পা ভেঙে যাওয়ায় মন্ত্রী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চিকিৎসকরা বলেছেন আমাকে বিশ্রাম নিতে, কিন্তু যা ঘটছে তাতে কি বিশ্রাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে!' তিনি ঘটনার তদন্ত করে অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে জানাতে।
জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধর করায় কয়েক দিন আগে ঢাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের দুজন শিক্ষককে বদলি করে ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাত্রীকে ঘুষি মারার ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এটি কারো কাছে কাম্য হতে পারে না। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটই ব্যবস্থা নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মহব্বত খান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, অপ্রীতিকর। এর দায় কোনোভাবেই উপাচার্য ও প্রক্টর এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, 'কোনো ছাত্রীকে ঘুষি মারা চরম অসভ্যতা। শিক্ষক হিসেবে এটি দেখাও লজ্জার ব্যাপার। ছাত্রী বাদ দিলাম, কোনো ছাত্রকেও তো ঘুষি মারা যায় না।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মন্তব্য করে অধ্যাপক মহব্বত বলেন, প্রক্টরের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি রক্ষা করা। কিন্তু ছবি দেখে মনে হচ্ছে তা তিনি করেননি। নৈতিক কারণে প্রক্টরের পদত্যাগ করা উচিত।
তবে প্রক্টর এম এ সালাম নিজেকে দোষী ভাবছেন না। এমনকি ছাত্রীকে ঘুষি মারায় তিনি কোনো রকম অনুশোচনা বোধও করছেন না। তিনি বলেন, 'ওই ছাত্রী আমার কলার ধরে টানাটানি করেছে। আমার হাতে থাকা মোবাইল টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছিল।'
ওই ছাত্রীকে 'সোনার কন্যা' নাম দিয়ে প্রক্টর বলেন, 'আত্মরক্ষার জন্য হাত উঁচু করে ধাক্কা দিয়ে আমি ওই ছাত্রীকে সরিয়ে দিই। আমি ছাত্রীকে ঘুষি মারিনি। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখার জন্যই এসব করেছি।' এ ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেদিন তিনি ছাত্রীর হামলার শিকার হওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।
উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হক বলেন, 'যা ছাপা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এ ঘটনা কেন ঘটল, এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।' অভিযুক্ত প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্য কোনো শিক্ষক আর প্রক্টর হতে আগ্রহী হবেন না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা সর্বসম্মতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় কি না তা ভেবে দেখতে হবে।'
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, 'তিনি (প্রক্টর) শিক্ষক নামের কলঙ্ক।'
No comments