জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ভাষা সৈনিক অলি আহাদ by নুর মোহাম্মদ
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ভাষা সৈনিক অলি আহাদ (৮৩)। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রোববার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অলি আহাদকে। তখন থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এখন তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
অলি আহাদের মেয়ে ব্যারিস্টার নমিন ফারহানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘গত রোববার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আব্বাকে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে আইসিইউয়ে রেখেছেন। এখন তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।’’
তিনি জানান, ‘‘বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকদিন ধরে হাসপাতালে চারজন ডাক্তারে পরামর্শ নিচ্ছিলেন আব্বা। গত রোববার নিউমোনিয়াসহ আরো কয়েকটি রোগে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বুকের লান্সের ইনফেকশনেও ভুগছিলেন। গত মার্চ থেকে এটা বেড়ে গেছে।’’
অলি আহাদের স্ত্রী প্রফেসর রাশিদা বেগম জানান, তার কোনো সিরিয়াস রোগ ছিল না। গত মার্চ থেকে নিয়মিত অসুস্থ হতে থাকেন। এর মধ্যে মার্চ থেকে এপ্রিল টানা দুই মাস হাসপাতালে ছিলেন। মাঝে অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় নেওয়া হয়। মাঝে মাঝে অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আবার বাসায় চলে যেতাম।’’
তিনি জানান, ‘‘২০০৩ সালে বাথরুমে পড়ে গিয়ে তার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। তখন থেকেই তিনি মূলত বিছানায় ছিলেন। কিন্তু রোববার হঠাৎ তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করতে থাকলে আমারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’
ডাক্তাররা কি বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এখন যে অবস্থা তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তার জন্য দোয়া করা ছাড়া এখন আর কিছু করার নেই।’’
অলি আহাদের ভগ্নিপতি মুন্সী আব্দুল মজিদ জানান, ভাষা সৈনিক অলি আহাদের এক মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ইসলামপুরে। তার তিন বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিন বোন ও এক ভাই মারা গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে শমরিতার চিকিৎসক প্রফেসর কাজী দীন মোহাম্মদ, প্রফেসর আলী হোসেন, প্রফেসর আফজাল কায়সার, প্রফেসর এমএ আলম ও প্রফেসর আবদুর রহমানের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড অলি আহাদের চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার খবর পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদসহ অনেক শুভাকাঙ্খী তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
অলি আহাদের স্ত্রী প্রফেসর রাশিদা বেগম ১৯৯৫-৯৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে নিউমার্কেটে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন।
ভাষা সৈনিক অলি আহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
ভাষা সৈনিক ও রাজনীতিবিদ অলি আহাদের লেখা ‘জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫’ সেই সময়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।
অলি আহাদের স্ত্রী প্রফেসর রাশিদা বেগম জানান, তার কোনো সিরিয়াস রোগ ছিল না। গত মার্চ থেকে নিয়মিত অসুস্থ হতে থাকেন। এর মধ্যে মার্চ থেকে এপ্রিল টানা দুই মাস হাসপাতালে ছিলেন। মাঝে অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় নেওয়া হয়। মাঝে মাঝে অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আবার বাসায় চলে যেতাম।’’
তিনি জানান, ‘‘২০০৩ সালে বাথরুমে পড়ে গিয়ে তার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। তখন থেকেই তিনি মূলত বিছানায় ছিলেন। কিন্তু রোববার হঠাৎ তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করতে থাকলে আমারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’
ডাক্তাররা কি বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এখন যে অবস্থা তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তার জন্য দোয়া করা ছাড়া এখন আর কিছু করার নেই।’’
অলি আহাদের ভগ্নিপতি মুন্সী আব্দুল মজিদ জানান, ভাষা সৈনিক অলি আহাদের এক মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ইসলামপুরে। তার তিন বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিন বোন ও এক ভাই মারা গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে শমরিতার চিকিৎসক প্রফেসর কাজী দীন মোহাম্মদ, প্রফেসর আলী হোসেন, প্রফেসর আফজাল কায়সার, প্রফেসর এমএ আলম ও প্রফেসর আবদুর রহমানের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড অলি আহাদের চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার খবর পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদসহ অনেক শুভাকাঙ্খী তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
অলি আহাদের স্ত্রী প্রফেসর রাশিদা বেগম ১৯৯৫-৯৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে নিউমার্কেটে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন।
ভাষা সৈনিক অলি আহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
ভাষা সৈনিক ও রাজনীতিবিদ অলি আহাদের লেখা ‘জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫’ সেই সময়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।
No comments