দুর্ভোগ-চুলা জ্বলে টিমটিম, সিএনজি স্টেশনেও নেই গ্যাসের চাপ
রাজধানী ঢাকার একটি বড় অংশে গ্যাসের চাপ নেই। কম চাপে কোনোমতে চুলা টিমটিম করে জ্বলে, তবে এই আগুনে রান্না হয় না। কোথাও কোথাও চুলা জ্বলছেই না। এভাবেই দিন পার করছে মানুষ।
একটু সচ্ছল পরিবার সিলিন্ডারের গ্যাস কিনে সংকট সমাধান করছে; কিন্তু বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের লম্বা একটা সময় খাবার ছাড়াই কাটিয়ে দিতে হচ্ছে তাদের। বাসাবাড়ির পাশাপাশি এসব অঞ্চলের সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার।
বাসাবো, রামপুরা, আফতাবনগর, বাড্ডা ও গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও মিরপুর, তেজগাঁও ও ফার্মগেট অঞ্চলের বাসাবাড়ির রান্নায় চলছে এই সংকট।
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল প্রকল্পে তিতাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটরি সিস্টেমের (ডিআরএস) ১২ ইঞ্চি পাইপলাইন ফেটে যায়। এ ঘটনার পর তিতাস কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলের ১২ ইঞ্চি পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই তীব্র সংকট।
রামপুরা অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। রামপুরা হাই স্কুল গলির ভুঁইয়াবাড়ির মালিক জুয়েল ভুঁইয়া বলেন, 'দুপুরে একদমই গ্যাস থাকে না। এ সময় রান্নাবান্না হয় না। সমস্যার কবে সমাধান হবে, তাও জানি না।' একই অবস্থা খিলগাঁওয়ে।
এ অঞ্চলে কোনোমতে গ্যাসের চুলা জ্বলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এরপর চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় রাত ৯টার দিকে। এই দীর্ঘ সময় বাসায় কোনো ধরনের রান্না করার সুযোগ নেই। খিলগাঁওয়ের ১৯১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'চুলা জ্বলে না। খুব সমস্যা হচ্ছে।'
গ্যাস সংকট রাজধানীর একটি বড় অংশেই যে ছড়িয়ে পড়েছে, এর প্রমাণ ফার্মগেট এলাকা। ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ৮৮/এ বাসিন্দা সুহেনা আক্তার জানান, গত সোমবার থেকে গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বলছেই না। গ্যাসের চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আজ (গতকাল বুধবার) চুলা জ্বললেও কোনো প্রেশার নেই গ্যাসের। প্রেশার কুকারে মাংস রান্না করেছি চার ঘণ্টায়।'
তিতাস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, তেজগাঁও, ফার্মগেট ও ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে সিএনজি স্টেশনগুলোও গ্যাসের চাপ কম পাচ্ছে, কোথাও কোথাও কোনো চাপই নেই।
এ অঞ্চলে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চালিত যানবাহনের যাত্রী ও মালিকরা পড়েছেন বিপাকে। গ্যাস স্টেশনে সকাল থেকে অপেক্ষা করেও অনেকে গ্যাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার রাত থেকে চলছে এই অবস্থা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রামপুরা, গুলশান, বাড্ডা, তেজগাঁও সাতরাস্তা ও কারওয়ান বাজার অঞ্চলের সিএনজি স্টেশন বেশির ভাগ বন্ধ। যে কয়েকটি খোলা সেখানে গাড়ির লম্বা লাইন।
গত মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) মীর মশিউর রহমানের কাছে কালের কণ্ঠ জানতে চায় 'গ্যাস সংকট কবে নাগাদ কেটে যাবে?' জবাবে তিনি বলেন, 'আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।' ২৪ ঘণ্টা গতকাল বুধবার শেষ হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন ঠিক করা যায়নি। ঠিক কবে নাগাদ এ পাইপলাইন আবার চালু করা যাবে জানতে চাইলে গতকাল তিনি বলেন, 'আসলে বিষয়টি হয়েছে কি, হাতিরঝিল প্রকল্পে যেখানে ১২ ইঞ্চির পাইপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার উভয় পাশে পানি। পানির কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছি। সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। আশা করছি, আজকের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'
তবে রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংকটের সমাধান হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন চালু করা যায়নি।
বাসাবো, রামপুরা, আফতাবনগর, বাড্ডা ও গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও মিরপুর, তেজগাঁও ও ফার্মগেট অঞ্চলের বাসাবাড়ির রান্নায় চলছে এই সংকট।
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল প্রকল্পে তিতাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটরি সিস্টেমের (ডিআরএস) ১২ ইঞ্চি পাইপলাইন ফেটে যায়। এ ঘটনার পর তিতাস কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলের ১২ ইঞ্চি পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই তীব্র সংকট।
রামপুরা অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। রামপুরা হাই স্কুল গলির ভুঁইয়াবাড়ির মালিক জুয়েল ভুঁইয়া বলেন, 'দুপুরে একদমই গ্যাস থাকে না। এ সময় রান্নাবান্না হয় না। সমস্যার কবে সমাধান হবে, তাও জানি না।' একই অবস্থা খিলগাঁওয়ে।
এ অঞ্চলে কোনোমতে গ্যাসের চুলা জ্বলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এরপর চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় রাত ৯টার দিকে। এই দীর্ঘ সময় বাসায় কোনো ধরনের রান্না করার সুযোগ নেই। খিলগাঁওয়ের ১৯১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'চুলা জ্বলে না। খুব সমস্যা হচ্ছে।'
গ্যাস সংকট রাজধানীর একটি বড় অংশেই যে ছড়িয়ে পড়েছে, এর প্রমাণ ফার্মগেট এলাকা। ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ৮৮/এ বাসিন্দা সুহেনা আক্তার জানান, গত সোমবার থেকে গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বলছেই না। গ্যাসের চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আজ (গতকাল বুধবার) চুলা জ্বললেও কোনো প্রেশার নেই গ্যাসের। প্রেশার কুকারে মাংস রান্না করেছি চার ঘণ্টায়।'
তিতাস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, তেজগাঁও, ফার্মগেট ও ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে সিএনজি স্টেশনগুলোও গ্যাসের চাপ কম পাচ্ছে, কোথাও কোথাও কোনো চাপই নেই।
এ অঞ্চলে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চালিত যানবাহনের যাত্রী ও মালিকরা পড়েছেন বিপাকে। গ্যাস স্টেশনে সকাল থেকে অপেক্ষা করেও অনেকে গ্যাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার রাত থেকে চলছে এই অবস্থা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রামপুরা, গুলশান, বাড্ডা, তেজগাঁও সাতরাস্তা ও কারওয়ান বাজার অঞ্চলের সিএনজি স্টেশন বেশির ভাগ বন্ধ। যে কয়েকটি খোলা সেখানে গাড়ির লম্বা লাইন।
গত মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) মীর মশিউর রহমানের কাছে কালের কণ্ঠ জানতে চায় 'গ্যাস সংকট কবে নাগাদ কেটে যাবে?' জবাবে তিনি বলেন, 'আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।' ২৪ ঘণ্টা গতকাল বুধবার শেষ হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন ঠিক করা যায়নি। ঠিক কবে নাগাদ এ পাইপলাইন আবার চালু করা যাবে জানতে চাইলে গতকাল তিনি বলেন, 'আসলে বিষয়টি হয়েছে কি, হাতিরঝিল প্রকল্পে যেখানে ১২ ইঞ্চির পাইপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার উভয় পাশে পানি। পানির কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছি। সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। আশা করছি, আজকের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'
তবে রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংকটের সমাধান হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন চালু করা যায়নি।
No comments