চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ- হামলা পাল্টা- হামলায় ব্যস্ত নেতা-কর্মীরা by সুজন ঘোষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এখন পাঁচ ভাগে বিভক্ত। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতে গিয়ে পরস্পর পাল্টাপাল্টি হামলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। গত চার মাসে সংগঠনের মধ্যে উপদলীয় কোন্দলের জের ধরে ছয়-সাতটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মী।
এ রকম উপদলীয় কোন্দলের কারণে কয়েক মাস ধরে অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেনে পানি ছিটানোকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে পাঁচজন আহত হয়। পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাত নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক। অপর অংশটি নগর আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরের সমর্থনপুষ্ট। তবে এরই মধ্যে এ দুই ধারার মধ্যে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন উপধারা।
সংগঠন সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমানে অন্তত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকেরা তিন ভাগে এবং আ জ ম নাছিরের সমর্থকেরা দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসের রাজনীতি ও শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এ বিভক্তি বলে জানা গেছে। সংগঠনের শীর্ষনেতারা সরাসরি এসব বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মামুনুল হকের অনুসারী। তাঁর নেতৃত্বে আছে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভার্সিটি এক্সপ্রেস’র (ভিএক্স) সদস্যরা। অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল মনসুর সিকদার। তৃতীয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে আছেন আরেক সহসভাপতি অমিত কুমার বসু। এ পক্ষে সক্রিয় আছেন শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’র (সিএফসি) সদস্যরা। অবশ্য মামুনুল হক দলীয় কোন্দল ও বগিভিত্তিক সংগঠনের মদদ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো ধরনের কোন্দল নেই। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ।
অন্যদিকে ক্যাম্পাস রাজনীতিতে আ জ ম নাছির পক্ষের নেতা-কর্মীরা বরাবরই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন বলে সুনাম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আর নেই। বর্তমানে আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু।
মাহমুদুল হাসানের অনুসারীদের প্রতি ছাত্রলীগের একাংশের শীর্ষনেতাদের নীরব সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই দুজনের বিরুদ্ধেও শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনের প্রতি মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাহমুদুল হাসান বগিভিত্তিক সংগঠন ‘একাকার’ এবং আলমগীর টিপু ‘সিক্সটি নাইন’ এর নেতৃত্বে আছেন বলে জানা গেছে। গত ২৮ এপ্রিল এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হয়।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পীযূষ কান্তি বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উপদলীয় কোন্দলে লিপ্ত আছে। এতে লাভবান হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছাত্রশিবির। তাই দলীয় কোন্দলের নামে নিজেদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ রকম উপদলীয় কোন্দলের কারণে কয়েক মাস ধরে অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেনে পানি ছিটানোকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে পাঁচজন আহত হয়। পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাত নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক। অপর অংশটি নগর আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরের সমর্থনপুষ্ট। তবে এরই মধ্যে এ দুই ধারার মধ্যে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন উপধারা।
সংগঠন সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমানে অন্তত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকেরা তিন ভাগে এবং আ জ ম নাছিরের সমর্থকেরা দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসের রাজনীতি ও শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এ বিভক্তি বলে জানা গেছে। সংগঠনের শীর্ষনেতারা সরাসরি এসব বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মামুনুল হকের অনুসারী। তাঁর নেতৃত্বে আছে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভার্সিটি এক্সপ্রেস’র (ভিএক্স) সদস্যরা। অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল মনসুর সিকদার। তৃতীয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে আছেন আরেক সহসভাপতি অমিত কুমার বসু। এ পক্ষে সক্রিয় আছেন শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’র (সিএফসি) সদস্যরা। অবশ্য মামুনুল হক দলীয় কোন্দল ও বগিভিত্তিক সংগঠনের মদদ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো ধরনের কোন্দল নেই। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ।
অন্যদিকে ক্যাম্পাস রাজনীতিতে আ জ ম নাছির পক্ষের নেতা-কর্মীরা বরাবরই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন বলে সুনাম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আর নেই। বর্তমানে আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু।
মাহমুদুল হাসানের অনুসারীদের প্রতি ছাত্রলীগের একাংশের শীর্ষনেতাদের নীরব সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই দুজনের বিরুদ্ধেও শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনের প্রতি মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাহমুদুল হাসান বগিভিত্তিক সংগঠন ‘একাকার’ এবং আলমগীর টিপু ‘সিক্সটি নাইন’ এর নেতৃত্বে আছেন বলে জানা গেছে। গত ২৮ এপ্রিল এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হয়।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পীযূষ কান্তি বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উপদলীয় কোন্দলে লিপ্ত আছে। এতে লাভবান হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছাত্রশিবির। তাই দলীয় কোন্দলের নামে নিজেদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
No comments