প্রণোদনা কম, বাপেক্স ছাড়ছেন অনেক তরুণ বিশেষজ্ঞ
রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স ছেড়ে অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছেন অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ বিশেষজ্ঞ। কাজের প্রকৃতি ও সাফল্য অনুযায়ী জ্বালানি খাতের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় আর্থিক প্রণোদনা কম থাকা এবং এই প্রণোদনা বাড়ানোর সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়াই এর কারণ।
সরকারি সূত্রগুলো জানায়, গত ১০ বছরে বাপেক্স ছেড়ে গেছেন ১২৭ জন বিশেষজ্ঞ কর্মী। তখন বাপেক্সের ও এর কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের ভবিষ্যৎ তাঁদের কাছে আশাব্যঞ্জক ছিল না। গত চার-পাঁচ বছরে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের চলে যাওয়া থামছে না।
গত তিন বছরে প্রায় ২০ জন কর্মী চলে গেছেন। চলতি বছরও এখন পর্যন্ত বাপেক্স ছেড়ে গেছেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে দুজন ভূতত্ত্ববিদ, দুজন ইলেকট্রনিক বিভাগের, একজন রসায়নবিদ এবং একজন হিসাব বিভাগের মধ্যম পর্যায়ের কর্মী।
এর আগে চলে যাওয়া কর্মীদের বেশির ভাগই ভূতত্ত্ব, রসায়ন, ড্রিলিং প্রভৃতি কারিগরি বিভাগের বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন কর্মী। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দ্বিমাত্রিক-ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো এবং অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ খনন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এঁদের প্রত্যেকের মৌলিক ভূমিকা পালন করতে হয়।
বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার সূত্রগুলো জানায়, দক্ষ কর্মী চলে যেতে যেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে এখন যাঁরা অছেন তাঁদের একেকজনকে ভাগাভাগি করে একাধিক জায়গায় কাজ করতে হচ্ছে। এখন বাপেক্সের হাতে ভূকম্পন জরিপ, নতুন কূপ খনন, পুরোনো কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) প্রভৃতি অনেক কাজ। কিন্তু জনবল কম। জ্বালানি খাতের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় আর্থিক প্রণোদনাও এখানে কম।
সরকার এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি একাধিকবার দিয়েও বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি বাপেক্সের পরিচালনা বোর্ড অনুমোদন করে দুবার বেতন-ভাতা ও আর্থিক প্রণোদনার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীন।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন প্রভৃতি কাজে যাঁরা বিশেষায়িত জ্ঞানের অধিকারী কর্মী, তাঁদের সামনে দেশে-বিদেশে লোভনীয় বেতন-ভাতায় কাজের সুযোগ রয়েছে। কাজেই নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক কর্মী চলে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে সুযোগ-সুবিধা অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একটি কমিটি কাজ করছে। তবে দেশে কাজ করা আর বিদেশে বা বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করার মধ্যে তফাত অনেক। কাজেই কেউ বাড়তি সুযোগ-সুবিধার জন্য চলে যেতে চাইলে তাঁকে ধরে রাখা কঠিন।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক বলেন, দক্ষ কর্মীদের ধরে রাখাই এখন বাপেক্সের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ।
অর্থিক প্রণোদনা: জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে কম বাপেক্সে। অথচ বছরের অধিকাংশ সময় মাঠে-ঘাটে থেকে ভূকম্পন জরিপ, অনুসন্ধান কূপ খনন প্রভৃতি সবচেয়ে কঠিন কাজগুলো করেন বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাপেক্সের একজন কর্মকর্তা মাঠে কাজ করলে প্রতিদিন ভাতা পান তাঁর মূল বেতনের ১০ শতাংশ। অথচ দেশে কর্মরত বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করলে পেতে পারেন বাপেক্সে পাওয়া এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ। বিদেশে গেলে তা আরও বেশি। বিদেশে তাঁদের কাজের সুযোগও আছে যথেষ্ট।
অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় মালিকানার কোম্পানি কোনো গ্যাসক্ষেত্রে নতুন কোনো গ্যাসের স্তর আবিস্কার করলে ওই কোম্পানির পিওন-দারোয়ানেরা পর্যন্ত বছর শেষে বড় অঙ্কের টাকা বোনাস পান। কিন্তু ওই কাজের জন্য বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সময় একটি বাড়তি বোনাসও পান না।
গত দুই বছরে পাঁচটি ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালিয়ে বাপেক্স গ্যাসের আবিষ্কৃত মজুদ বাড়ানোয় ওই ক্ষেত্রগুলোর পরিচালক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছর শেষে কয়েক লাখ টাকা করে বোনাস পাবেন। কিন্তু বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তা পাবেন না। অথচ তাঁরা ওই জরিপ সম্পন্নও করেছেন অত্যন্ত কম খরচে।
গত তিন বছরে প্রায় ২০ জন কর্মী চলে গেছেন। চলতি বছরও এখন পর্যন্ত বাপেক্স ছেড়ে গেছেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে দুজন ভূতত্ত্ববিদ, দুজন ইলেকট্রনিক বিভাগের, একজন রসায়নবিদ এবং একজন হিসাব বিভাগের মধ্যম পর্যায়ের কর্মী।
এর আগে চলে যাওয়া কর্মীদের বেশির ভাগই ভূতত্ত্ব, রসায়ন, ড্রিলিং প্রভৃতি কারিগরি বিভাগের বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন কর্মী। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দ্বিমাত্রিক-ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো এবং অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ খনন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এঁদের প্রত্যেকের মৌলিক ভূমিকা পালন করতে হয়।
বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার সূত্রগুলো জানায়, দক্ষ কর্মী চলে যেতে যেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে এখন যাঁরা অছেন তাঁদের একেকজনকে ভাগাভাগি করে একাধিক জায়গায় কাজ করতে হচ্ছে। এখন বাপেক্সের হাতে ভূকম্পন জরিপ, নতুন কূপ খনন, পুরোনো কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) প্রভৃতি অনেক কাজ। কিন্তু জনবল কম। জ্বালানি খাতের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় আর্থিক প্রণোদনাও এখানে কম।
সরকার এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি একাধিকবার দিয়েও বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি বাপেক্সের পরিচালনা বোর্ড অনুমোদন করে দুবার বেতন-ভাতা ও আর্থিক প্রণোদনার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীন।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন প্রভৃতি কাজে যাঁরা বিশেষায়িত জ্ঞানের অধিকারী কর্মী, তাঁদের সামনে দেশে-বিদেশে লোভনীয় বেতন-ভাতায় কাজের সুযোগ রয়েছে। কাজেই নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক কর্মী চলে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে সুযোগ-সুবিধা অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একটি কমিটি কাজ করছে। তবে দেশে কাজ করা আর বিদেশে বা বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করার মধ্যে তফাত অনেক। কাজেই কেউ বাড়তি সুযোগ-সুবিধার জন্য চলে যেতে চাইলে তাঁকে ধরে রাখা কঠিন।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক বলেন, দক্ষ কর্মীদের ধরে রাখাই এখন বাপেক্সের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ।
অর্থিক প্রণোদনা: জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে কম বাপেক্সে। অথচ বছরের অধিকাংশ সময় মাঠে-ঘাটে থেকে ভূকম্পন জরিপ, অনুসন্ধান কূপ খনন প্রভৃতি সবচেয়ে কঠিন কাজগুলো করেন বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাপেক্সের একজন কর্মকর্তা মাঠে কাজ করলে প্রতিদিন ভাতা পান তাঁর মূল বেতনের ১০ শতাংশ। অথচ দেশে কর্মরত বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করলে পেতে পারেন বাপেক্সে পাওয়া এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ। বিদেশে গেলে তা আরও বেশি। বিদেশে তাঁদের কাজের সুযোগও আছে যথেষ্ট।
অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় মালিকানার কোম্পানি কোনো গ্যাসক্ষেত্রে নতুন কোনো গ্যাসের স্তর আবিস্কার করলে ওই কোম্পানির পিওন-দারোয়ানেরা পর্যন্ত বছর শেষে বড় অঙ্কের টাকা বোনাস পান। কিন্তু ওই কাজের জন্য বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সময় একটি বাড়তি বোনাসও পান না।
গত দুই বছরে পাঁচটি ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালিয়ে বাপেক্স গ্যাসের আবিষ্কৃত মজুদ বাড়ানোয় ওই ক্ষেত্রগুলোর পরিচালক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছর শেষে কয়েক লাখ টাকা করে বোনাস পাবেন। কিন্তু বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তা পাবেন না। অথচ তাঁরা ওই জরিপ সম্পন্নও করেছেন অত্যন্ত কম খরচে।
No comments