চরাচর-ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব by হাকিম বাবুল
প্রতিবছরের মতো এবারও ১৮-১৯ অক্টোবর বৃহস্পতি ও শুক্রবার খ্রিস্টভক্তদের বার্ষিক বৃহত্তম তীর্থোৎসব 'ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব' পালিত হচ্ছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে এই উৎসব হয়ে থাকে।
দুই দিনব্যাপী এ তীর্থোৎসবটির এবারও একটি মূলভাব বা সুর নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলসুর হলো- 'বিশ্বস্ত মারিয়া আমাদের অনুপ্রেরণা'।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র তীর্থপল্লী বারোমারীতে এ উৎসব উপলক্ষে খ্রিস্টভক্তদের মধ্যে নানা আয়োজন আর ব্যস্ততায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ তীর্থোৎসবকে ঘিরে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে হাজার হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তের অংশগ্রহণে মোমবাতির আলোর মিছিলসহ তীর্থের নানা নান্দনিক দৃশ্য ও কার্যক্রম অবলোকন করতে পর্যটক আর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ব্যাপক সমাবেশ ঘটছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকার ও সান্ধ্য খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসব শুরু হবে। রাতে অনুষ্ঠিত হবে 'আলোর মিছিল'। হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে ধর্মপল্লীর তীর্থকেন্দ্রের আড়াই কিলোমিটার পাহাড়ি টিলার উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিয়ে থাকে। সে সময় এক স্বর্গীয় আবেশের সৃষ্টি হয়। রাতভর চলে নিশি জাগরণ। এ সময় পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, গীতিআলেখ্য ও বিভিন্ন স্থানের তীর্থযাত্রার প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরদিন শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ শেষ হলে মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসব শেষ হবে। উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা 'মা মারিয়ার' প্রতি অশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এ ধর্মপ্রদেশের কোথাও একটি তীর্থস্থান স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পরে মণ্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৯৮ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্ট ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে 'ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান' স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূলসুরের ওপর ভিত্তি করে তীর্থোৎসব পালিত হয়ে আসছে। এসব তীর্থোৎসবে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করে থাকেন। এবারের তীর্থোৎসবে প্রায় ৫০-৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান অংশগ্রহণ করবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কক্সবাজারের রামু, পটিয়ায় বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধদের বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আসন্ন দুর্গাপূজা ও বারোমারী এলাকা সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এবারের তীর্থোৎসব নিয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তীর্থোৎসবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে তীর্থোৎসবে অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকার খ্রিস্টভক্তরা বারোমারী ধর্মপল্লীতে আসতে শুরু করেছেন।
হাকিম বাবুল
বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র তীর্থপল্লী বারোমারীতে এ উৎসব উপলক্ষে খ্রিস্টভক্তদের মধ্যে নানা আয়োজন আর ব্যস্ততায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ তীর্থোৎসবকে ঘিরে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে হাজার হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তের অংশগ্রহণে মোমবাতির আলোর মিছিলসহ তীর্থের নানা নান্দনিক দৃশ্য ও কার্যক্রম অবলোকন করতে পর্যটক আর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ব্যাপক সমাবেশ ঘটছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকার ও সান্ধ্য খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসব শুরু হবে। রাতে অনুষ্ঠিত হবে 'আলোর মিছিল'। হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে ধর্মপল্লীর তীর্থকেন্দ্রের আড়াই কিলোমিটার পাহাড়ি টিলার উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিয়ে থাকে। সে সময় এক স্বর্গীয় আবেশের সৃষ্টি হয়। রাতভর চলে নিশি জাগরণ। এ সময় পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, গীতিআলেখ্য ও বিভিন্ন স্থানের তীর্থযাত্রার প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরদিন শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ শেষ হলে মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসব শেষ হবে। উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা 'মা মারিয়ার' প্রতি অশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এ ধর্মপ্রদেশের কোথাও একটি তীর্থস্থান স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পরে মণ্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৯৮ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্ট ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে 'ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান' স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূলসুরের ওপর ভিত্তি করে তীর্থোৎসব পালিত হয়ে আসছে। এসব তীর্থোৎসবে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করে থাকেন। এবারের তীর্থোৎসবে প্রায় ৫০-৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান অংশগ্রহণ করবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কক্সবাজারের রামু, পটিয়ায় বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধদের বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আসন্ন দুর্গাপূজা ও বারোমারী এলাকা সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এবারের তীর্থোৎসব নিয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তীর্থোৎসবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে তীর্থোৎসবে অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকার খ্রিস্টভক্তরা বারোমারী ধর্মপল্লীতে আসতে শুরু করেছেন।
হাকিম বাবুল
No comments