ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটির প্রতিবেদন-মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কে টানাপড়েন
আরব বসন্তের জের ধরে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক জটিল আকার ধারণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও মানবাধিকার বিষয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে ব্রিটেন চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির (এফএসি) প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকার একেক দেশের সঙ্গে একেক রকম আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষ করে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বেও ব্রিটেন গত এপ্রিলে কেন বাহরাইনে আয়োজিত ফর্মুলা ওয়ান কার রেস বর্জন করেনি, সেই প্রশ্নে সরকারের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় গত জুনে সেখানে আয়োজিত ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ব্রিটেন। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহরাইনকেও 'উদ্বেগজনক দেশের তালিকাভুক্ত' করা উচিত ছিল। কারণ সেখানেও সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়ছে। এফএসির প্রতিবেদনে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে বাহরাইন ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি আয়োজন করে। কিন্তু দেশটিতে বন্দিদের ওপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ আয়োজন বাতিলের দাবি জানায়। একই সময়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর বাহরাইন সরকারের বল প্রয়োগেরও অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) একটি বাহিনী পাঠানো হয়।
তবে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত_ব্রিটিশ এমপিদের এমন সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি কর্মকর্তারা বিষয়টিকে তাঁদের জন্য 'অপমান' হিসেবে বিবেচনা করছেন। লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নাওয়াফ আল সৌদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, 'জিসিসির কাজে বাইরের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।' এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর বাহরাইনে মোতায়েন থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ককেও ব্রিটেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। সৌদি আরব ও বাহরাইনসহ জিসিসিভুক্ত ছয় দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি পাউন্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ, গার্ডিয়ান।
বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকার একেক দেশের সঙ্গে একেক রকম আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষ করে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বেও ব্রিটেন গত এপ্রিলে কেন বাহরাইনে আয়োজিত ফর্মুলা ওয়ান কার রেস বর্জন করেনি, সেই প্রশ্নে সরকারের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় গত জুনে সেখানে আয়োজিত ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ব্রিটেন। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহরাইনকেও 'উদ্বেগজনক দেশের তালিকাভুক্ত' করা উচিত ছিল। কারণ সেখানেও সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়ছে। এফএসির প্রতিবেদনে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে বাহরাইন ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি আয়োজন করে। কিন্তু দেশটিতে বন্দিদের ওপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ আয়োজন বাতিলের দাবি জানায়। একই সময়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর বাহরাইন সরকারের বল প্রয়োগেরও অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) একটি বাহিনী পাঠানো হয়।
তবে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত_ব্রিটিশ এমপিদের এমন সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি কর্মকর্তারা বিষয়টিকে তাঁদের জন্য 'অপমান' হিসেবে বিবেচনা করছেন। লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নাওয়াফ আল সৌদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, 'জিসিসির কাজে বাইরের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।' এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর বাহরাইনে মোতায়েন থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ককেও ব্রিটেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। সৌদি আরব ও বাহরাইনসহ জিসিসিভুক্ত ছয় দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি পাউন্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ, গার্ডিয়ান।
No comments