মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক-ওবামার প্রত্যাবর্তন, অনড় রমনি
অনেকটা প্রত্যাশামতোই উঠে দাঁড়িয়েছেন বারাক ওবামা। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে 'পরাজয়ের' পর দ্বিতীয় বিতর্কে ওবামার স্বরূপে প্রত্যাবর্তনের আশা করছিলেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা। হলোও তা-ই। গতকাল বুধবার নিউ ইয়র্কের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কে বাগ্যোদ্ধা হিসেবেই ফিরে এলেন ওবামা।
তবে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মিট রমনিও স্থানচ্যুত হননি। প্রথম বিতর্কে বিজয়ী হওয়া ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সাবেক এ গভর্নরের আত্মবিশ্বাসের ঝলক গতকালও ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রথম দফা বিতর্কে ওবামার ম্লান উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ছিল ডেমোক্র্যাট শিবির; যদিও ওমাবা পরে জানান, বিতর্কে তিনি 'শিষ্ট' আচরণ করেছেন। তবে তাঁর শিষ্টতার 'মূল্য' দেননি সম্ভাব্য মার্কিন ভোটাররা। বিতর্কের পর করা বেশ কয়েকটি জরিপকারী সংস্থার জনজরিপে রমনির চেয়ে কয়েক ধাপ পিছিয়ে পড়েন ওবামা। উভয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর এই প্রথম ওবামার জনপ্রিয়তায় ধস নামার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে গতকাল রক্ষণাত্মক অবস্থান ছেড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাঁর ফিরে আসায় ওবামা শিবিরে স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের হ্রাসমান জনসমর্থন ফিরে পাবেন ওবামা।
এ ব্যাপারে পূর্ণ চিত্র পেতে হয়তো কয়েক দিন লাগবে। তবে সিএনএনের করা বিতর্ক-পরবর্তী তাৎক্ষণিক জরিপে বিতর্কের যে ফলাফল উঠে এসেছে, তাতে ৪৬ শতাংশ মানুষ ওবামাকে জয়ী মনে করছে। বিপরীতে রমনির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ৩৯ শতাংশ মানুষ। সিবিএসের করা জরিপেও প্রায় একই চিত্র উঠে এসেছে। ওবামার পক্ষে ৩৭ শতাংশ এবং রমনির পক্ষে ৩০ শতাংশ মানুষ রায় দিয়েছে।
আসন্ন ৬ নভেম্বর নির্বাচনের আগে আগামী ২২ অক্টোবর ফ্লোরিডায় তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কে মুখামুখি হবেন ওবামা-রমনি। গতকালের উত্তাপ ছড়ানো বিতর্কের পর সেদিনও এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াই আরো জমজমাট হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে গতকাল ৯০ মিনিটের বিতর্কে ওবামা-রমনি অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে তুমুল তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ চার ইস্যু কর্মসংস্থান, জ্বালানি, কর ও পেনশন নিয়ে দুই প্রার্থী প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরায় সচেষ্ট হন। সম্প্রতি লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলাসহ ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতিও ছিল বিতর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
ওবামার আর্থিক নীতির সমালোচনা করে রমনি বলেন, চার বছর আগে ওবামা যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তখনকার চেয়ে বেকারত্ব এখন বেড়েছে। কর্মসংস্থান খাতে কোনো অগ্রগতি ঘটেনি দাবি করে রমনি বলেন, তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে চান এবং তিনি জানেন, কিভাবে তা করতে হবে। জবাবে রমনির অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করে ওবামা বলেন, তাঁর পরিকল্পনা পাঁচ দফার নয়, যেন এক দফার। বিতর্কের শেষভাগে রমনির বিতর্কিত '৪৭ শতাংশ' প্রসঙ্গ তুলেও আক্রমণ করেন ওবামা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চারজনের নিহত হওয়ার ঘটনা ওবামা প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন রমনি। বিপরীতে ওবামা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার পাল্টা অভিযোগ করেন রমনির বিরুদ্ধে। তবে তিনি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট। সুতরাং দায় আমার।' যদিও আগের দিন মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বেনগাজি হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নেন। ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতি পুরো ব্যর্থ বলে দাবি করেন রমনি। তবে ওবামা ইরাক যুদ্ধের অবসান, ওসামা বিন লাদেন বধ ইত্যাদিকে তাঁর প্রশাসনের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। সিএনএনের সাংবাদিক ক্যান্ডি ক্রাউলি এর সঞ্চালনা করেন। সূত্র : বিবিসি।
প্রথম দফা বিতর্কে ওবামার ম্লান উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ছিল ডেমোক্র্যাট শিবির; যদিও ওমাবা পরে জানান, বিতর্কে তিনি 'শিষ্ট' আচরণ করেছেন। তবে তাঁর শিষ্টতার 'মূল্য' দেননি সম্ভাব্য মার্কিন ভোটাররা। বিতর্কের পর করা বেশ কয়েকটি জরিপকারী সংস্থার জনজরিপে রমনির চেয়ে কয়েক ধাপ পিছিয়ে পড়েন ওবামা। উভয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর এই প্রথম ওবামার জনপ্রিয়তায় ধস নামার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে গতকাল রক্ষণাত্মক অবস্থান ছেড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাঁর ফিরে আসায় ওবামা শিবিরে স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের হ্রাসমান জনসমর্থন ফিরে পাবেন ওবামা।
এ ব্যাপারে পূর্ণ চিত্র পেতে হয়তো কয়েক দিন লাগবে। তবে সিএনএনের করা বিতর্ক-পরবর্তী তাৎক্ষণিক জরিপে বিতর্কের যে ফলাফল উঠে এসেছে, তাতে ৪৬ শতাংশ মানুষ ওবামাকে জয়ী মনে করছে। বিপরীতে রমনির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ৩৯ শতাংশ মানুষ। সিবিএসের করা জরিপেও প্রায় একই চিত্র উঠে এসেছে। ওবামার পক্ষে ৩৭ শতাংশ এবং রমনির পক্ষে ৩০ শতাংশ মানুষ রায় দিয়েছে।
আসন্ন ৬ নভেম্বর নির্বাচনের আগে আগামী ২২ অক্টোবর ফ্লোরিডায় তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কে মুখামুখি হবেন ওবামা-রমনি। গতকালের উত্তাপ ছড়ানো বিতর্কের পর সেদিনও এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াই আরো জমজমাট হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে গতকাল ৯০ মিনিটের বিতর্কে ওবামা-রমনি অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে তুমুল তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ চার ইস্যু কর্মসংস্থান, জ্বালানি, কর ও পেনশন নিয়ে দুই প্রার্থী প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরায় সচেষ্ট হন। সম্প্রতি লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলাসহ ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতিও ছিল বিতর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
ওবামার আর্থিক নীতির সমালোচনা করে রমনি বলেন, চার বছর আগে ওবামা যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তখনকার চেয়ে বেকারত্ব এখন বেড়েছে। কর্মসংস্থান খাতে কোনো অগ্রগতি ঘটেনি দাবি করে রমনি বলেন, তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে চান এবং তিনি জানেন, কিভাবে তা করতে হবে। জবাবে রমনির অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করে ওবামা বলেন, তাঁর পরিকল্পনা পাঁচ দফার নয়, যেন এক দফার। বিতর্কের শেষভাগে রমনির বিতর্কিত '৪৭ শতাংশ' প্রসঙ্গ তুলেও আক্রমণ করেন ওবামা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চারজনের নিহত হওয়ার ঘটনা ওবামা প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন রমনি। বিপরীতে ওবামা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার পাল্টা অভিযোগ করেন রমনির বিরুদ্ধে। তবে তিনি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট। সুতরাং দায় আমার।' যদিও আগের দিন মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বেনগাজি হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নেন। ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতি পুরো ব্যর্থ বলে দাবি করেন রমনি। তবে ওবামা ইরাক যুদ্ধের অবসান, ওসামা বিন লাদেন বধ ইত্যাদিকে তাঁর প্রশাসনের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। সিএনএনের সাংবাদিক ক্যান্ডি ক্রাউলি এর সঞ্চালনা করেন। সূত্র : বিবিসি।
No comments