বদলে যাও বদলে দাও মিছিল- সাইবার অপরাধের বিষমুক্তি by পারভেজ রাকসান্দ
‘বদলে যাও বদলে দাও মিছিল’ ব্লগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও নির্বাচিত ১১টি ইস্যু নিয়ে অব্যাহত আলোচনা হচ্ছে। আজ ‘সাইবার অপরাধমুক্ত দেশ চাই’ ইস্যুতে একটি বিশ্লেষণাত্মক অভিমতসহ আরও দুজন লেখকের নির্বাচিত মন্তব্য ছাপা হলো। ‘যে পথ সকল দেশ পারায়ে উদাস হয়ে যায় হারায়ে/সে পথ বেয়ে কাঙাল পরান যেতে চায় কোন অচিনপুরে।’
ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথের এই গানটি শুনতে শুনতে আমারও মন চলে যেত কোনো অচিনপুরে, ভিন দেশি কোনো গাঁয়ে। মনে হতো, সব পথ পাড়ি দিয়ে দূরের কোনো বন্ধুর সঙ্গে যদি যোগাযোগ করতে পারতাম! কিন্তু আমার সেই কল্পনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেত। পরবর্তী সময়ে বুয়েটে পড়তে এসে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হই। তখন থেকেই সময়-অসময়ের বন্ধু হিসেবে বই আর ইন্টারনেট আমাকে ঘিরে রাখতে থাকে নিয়মিত পথ চলায়। শুধু আমি নই, আমার সব বন্ধুবান্ধবের মতো দেশের লাখ লাখ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে প্রয়োজন আর নির্ভরতায়। চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, তথ্য-উপাত্ত, বিনোদন—সবকিছুতেই ইন্টারনেটের জালে জড়িয়ে পড়েছে জনজীবন। তার ওপর রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম: ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার, স্কাইপে ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট থেকে নেওয়া একটি কৌতুক বলি, অনলাইনে পরিচিত হয়ে পরস্পরকে নিজেদের ছবি পাঠানোর পর দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল ছেলে আর মেয়ে। দেখা হওয়ার পর ছেলেটা মেয়েটিকে বলল, ‘ছবিতে কিন্তু তোমাকে অনেক ছোটখাটো মনে হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তুমি তো অনেক সুন্দরী ও লম্বা।’ মেয়েটি বলল, ‘তা তো হতেই পারে। কারণ তোমাকে ছবি পাঠিয়েছিলাম সাইজ ছোট করে।’
ফুলের যেমন কাঁটা থাকে, তেমনি ইন্টারনেট ঠিকমতো ব্যবহার না করলে তার কাঁটার খোঁচা খাওয়া লাগে। সাইবার অপরাধ ইন্টারনেটের সেই কাঁটা। ইন্টারনেটকে খারাপভাবে ব্যবহার প্রলুব্ধতায় লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। সাইবার অপরাধের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন নারীর একান্ত ব্যক্তিগত জীবনকে ছড়িয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ পাচ্ছে একধরনের নোংরা নিচুমনা পুরুষেরা। তারা পুরুষশাসিত সমাজের সুবিধা লুটছে। তাই এই সমাজে সাইবার অপরাধের শিকার নারীদের পথচলা খুবই কঠিন ব্যাপার।
বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে কোমলমতি মেয়েদের কারও কারও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ময়করভাবে রাষ্ট্রে এসব ঘটনার বিচার হচ্ছে না। সাইবার অপরাধ নীরব মহামারি হয়ে দেখা দিচ্ছে কি? আমরা এত বিকৃত হয়ে পড়ছি কেন? এটা তো শিক্ষিত প্রজন্মের কাজ! মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এই অপরিণামদর্শীদের থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া অতি জরুরি। আপনি তাদের ধরছেন না কেন? একজন হত্যাকারী বা ধর্ষকের যদি নারী নির্যাতনের কারণে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকে, তা হলে সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সরাসরি হত্যা আর আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া একই কথা।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা জ্ঞানবিজ্ঞান, মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সাইবার অপরাধীরা সেই ভালো সম্ভাবনার গায়ে ধ্বংসের তকমা এঁটে দিচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাইবার ক্যাফে আর মুঠোফোনের কল্যাণে ইন্টারনেট আজ হাতের মুঠোয়। অনেক সাইবার ক্যাফেতে কুরুচিপূর্ণ ওয়েবসাইটের ঠিকানা সংরক্ষিত থাকে। এসব ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ভিডিও-ছবি-উপাত্ত দেখার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিকৃত রুচিতে বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ পাচ্ছে। এরাই একধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের একপ্রান্তের খবরাখবর ও জ্ঞানবিজ্ঞানের তথ্য-উপাত্ত দ্রুত অন্য প্রান্তে জাদুর মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। আজকে যে বিশ্বায়নের কথা আমরা বলি, তা অনেকাংশেই এই ইন্টারনেটের কারণে সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই বিশ্বায়ন বা ডিজিটালের যুগে হ্যাকার ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে।
সাম্প্রতিক কালের দুটি ঘটনা সাইবার অপরাধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ইউটিউবে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার কারণে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রদূতকে জীবন দিতে হলো উত্তেজিত জনতার হাতে। আবার বাংলাদেশে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করে একটি ছবি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী একজন ব্যক্তির ফেসবুকে কেউ ট্যাগ করেছে। তাই নিয়ে কক্সবাজারের রামুতে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দিরে ও আশপাশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে আগুন দিল কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ। পুড়ে গেছে এত বছরের পুরোনো বাংলাদেশের ঐতিহ্য, স্থাপনা, পুঁথি ও বুদ্ধমূর্তি। আজ দেশজুড়ে ধিক্কার, প্রতিবাদ, ছি ছি রব উঠেছে। যারা এর নেপথ্য সঞ্চালক হয়ে এই হীন কাজটি করেছে, তারা তো এ দেশেরই মানুষ! একবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, আমরা শুধু একটি সভ্যতার ঐতিহ্য পুড়িয়ে ছাই করিনি, আমরা আমাদেরই পুড়িয়েছি, বাংলাদেশকে পুড়িয়েছি। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ অনেকটাই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ থেকে মুক্ত ছিল। অথচ সাইবার অপরাধের কারণে আজ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কত বড় আঘাত হানল।
সাইবার অপরাধ আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে ইচ্ছা করলেই একটি সংস্কৃতিকে, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে, তাদের বিশ্বাসকে নিমেষেই পদাঘাত করা যায়। আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে, বিষয়টি এখন আর অশ্লীল ছবি আপলোড, পর্ণোজগৎ হাতড়ানো বা ব্যক্তিগত হিংসা-বিদ্বেষ চর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ অপরাধ নবরূপে বিস্তৃত হচ্ছে, ধাপিত হচ্ছে ভিন্ন ধারায়। এর থেকে মুক্তি না পেলে সামান্য ছুতো দিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও সম্প্রদায় সম্প্রদায়ে বিবাদ-বিগ্রহ লেগে যেতে পারে।
শুধু আইন করে কোনো সামাজিক সমস্যার সমাধান হয় না। কঠোর প্রয়োগই আইনকে জীবন্ত করে তোলে। দেশে যেহেতু ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে, তাই একে আর থামানো যাবে না। আমাদের সবাইকে সাইবার অপরাধের কলঙ্ক ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে প্রচুর আলোচনা করা প্রয়োজন, যাতে করে সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সচেতন করা যায়। সচেতনতা বাড়াতে পারলে যেকোনো সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
পারভেজ রাকসান্দ: বদলে যাও বদলে দাও মিছিল ব্লগের নিয়মিত লেখক।
ৎaksand.buet@gmail.com
ই-মেইল: bjbd@prothom-alo.info
facebook.com/bjbdmichhil
জনমত জরিপের ফলাফল
বদলে যাও বদলে দাও মিছিলের ওয়েবসাইটে নতুন তিনটি জনমত শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহে। আপনিও অংশ নিন জরিপে।
আপনি কি মনে করেন, হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসেবা না দিলে আইনগত শাস্তির বিধান করা উচিত?
হ্যাঁ ৯৩% না ৪%
মন্তব্য নেই ৩%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
রাজধানীর যানজট থেকে মুক্তি পেতে রেল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা প্রধান সমাধান মনে করেন?
হ্যাঁ ৭৫% না ১৭%
মন্তব্য নেই ৮%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
আপনি কি মনে করেন, ট্রাফিক জ্যাম কমাতে ছোট আকারের যানবাহন কমিয়ে দ্বিতল বাসের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি?
হ্যাঁ ৮৬% না ৯%
মন্তব্য নেই ৫%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
www.bodlejaobodledao.com
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট থেকে নেওয়া একটি কৌতুক বলি, অনলাইনে পরিচিত হয়ে পরস্পরকে নিজেদের ছবি পাঠানোর পর দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল ছেলে আর মেয়ে। দেখা হওয়ার পর ছেলেটা মেয়েটিকে বলল, ‘ছবিতে কিন্তু তোমাকে অনেক ছোটখাটো মনে হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তুমি তো অনেক সুন্দরী ও লম্বা।’ মেয়েটি বলল, ‘তা তো হতেই পারে। কারণ তোমাকে ছবি পাঠিয়েছিলাম সাইজ ছোট করে।’
ফুলের যেমন কাঁটা থাকে, তেমনি ইন্টারনেট ঠিকমতো ব্যবহার না করলে তার কাঁটার খোঁচা খাওয়া লাগে। সাইবার অপরাধ ইন্টারনেটের সেই কাঁটা। ইন্টারনেটকে খারাপভাবে ব্যবহার প্রলুব্ধতায় লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। সাইবার অপরাধের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন নারীর একান্ত ব্যক্তিগত জীবনকে ছড়িয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ পাচ্ছে একধরনের নোংরা নিচুমনা পুরুষেরা। তারা পুরুষশাসিত সমাজের সুবিধা লুটছে। তাই এই সমাজে সাইবার অপরাধের শিকার নারীদের পথচলা খুবই কঠিন ব্যাপার।
বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে কোমলমতি মেয়েদের কারও কারও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ময়করভাবে রাষ্ট্রে এসব ঘটনার বিচার হচ্ছে না। সাইবার অপরাধ নীরব মহামারি হয়ে দেখা দিচ্ছে কি? আমরা এত বিকৃত হয়ে পড়ছি কেন? এটা তো শিক্ষিত প্রজন্মের কাজ! মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এই অপরিণামদর্শীদের থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া অতি জরুরি। আপনি তাদের ধরছেন না কেন? একজন হত্যাকারী বা ধর্ষকের যদি নারী নির্যাতনের কারণে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকে, তা হলে সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সরাসরি হত্যা আর আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া একই কথা।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা জ্ঞানবিজ্ঞান, মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সাইবার অপরাধীরা সেই ভালো সম্ভাবনার গায়ে ধ্বংসের তকমা এঁটে দিচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাইবার ক্যাফে আর মুঠোফোনের কল্যাণে ইন্টারনেট আজ হাতের মুঠোয়। অনেক সাইবার ক্যাফেতে কুরুচিপূর্ণ ওয়েবসাইটের ঠিকানা সংরক্ষিত থাকে। এসব ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ভিডিও-ছবি-উপাত্ত দেখার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিকৃত রুচিতে বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ পাচ্ছে। এরাই একধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের একপ্রান্তের খবরাখবর ও জ্ঞানবিজ্ঞানের তথ্য-উপাত্ত দ্রুত অন্য প্রান্তে জাদুর মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। আজকে যে বিশ্বায়নের কথা আমরা বলি, তা অনেকাংশেই এই ইন্টারনেটের কারণে সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই বিশ্বায়ন বা ডিজিটালের যুগে হ্যাকার ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে।
সাম্প্রতিক কালের দুটি ঘটনা সাইবার অপরাধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ইউটিউবে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার কারণে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রদূতকে জীবন দিতে হলো উত্তেজিত জনতার হাতে। আবার বাংলাদেশে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করে একটি ছবি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী একজন ব্যক্তির ফেসবুকে কেউ ট্যাগ করেছে। তাই নিয়ে কক্সবাজারের রামুতে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দিরে ও আশপাশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে আগুন দিল কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ। পুড়ে গেছে এত বছরের পুরোনো বাংলাদেশের ঐতিহ্য, স্থাপনা, পুঁথি ও বুদ্ধমূর্তি। আজ দেশজুড়ে ধিক্কার, প্রতিবাদ, ছি ছি রব উঠেছে। যারা এর নেপথ্য সঞ্চালক হয়ে এই হীন কাজটি করেছে, তারা তো এ দেশেরই মানুষ! একবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, আমরা শুধু একটি সভ্যতার ঐতিহ্য পুড়িয়ে ছাই করিনি, আমরা আমাদেরই পুড়িয়েছি, বাংলাদেশকে পুড়িয়েছি। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ অনেকটাই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ থেকে মুক্ত ছিল। অথচ সাইবার অপরাধের কারণে আজ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কত বড় আঘাত হানল।
সাইবার অপরাধ আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে ইচ্ছা করলেই একটি সংস্কৃতিকে, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে, তাদের বিশ্বাসকে নিমেষেই পদাঘাত করা যায়। আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে, বিষয়টি এখন আর অশ্লীল ছবি আপলোড, পর্ণোজগৎ হাতড়ানো বা ব্যক্তিগত হিংসা-বিদ্বেষ চর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ অপরাধ নবরূপে বিস্তৃত হচ্ছে, ধাপিত হচ্ছে ভিন্ন ধারায়। এর থেকে মুক্তি না পেলে সামান্য ছুতো দিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও সম্প্রদায় সম্প্রদায়ে বিবাদ-বিগ্রহ লেগে যেতে পারে।
শুধু আইন করে কোনো সামাজিক সমস্যার সমাধান হয় না। কঠোর প্রয়োগই আইনকে জীবন্ত করে তোলে। দেশে যেহেতু ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে, তাই একে আর থামানো যাবে না। আমাদের সবাইকে সাইবার অপরাধের কলঙ্ক ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে প্রচুর আলোচনা করা প্রয়োজন, যাতে করে সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সচেতন করা যায়। সচেতনতা বাড়াতে পারলে যেকোনো সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
পারভেজ রাকসান্দ: বদলে যাও বদলে দাও মিছিল ব্লগের নিয়মিত লেখক।
ৎaksand.buet@gmail.com
ই-মেইল: bjbd@prothom-alo.info
facebook.com/bjbdmichhil
জনমত জরিপের ফলাফল
বদলে যাও বদলে দাও মিছিলের ওয়েবসাইটে নতুন তিনটি জনমত শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহে। আপনিও অংশ নিন জরিপে।
আপনি কি মনে করেন, হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসেবা না দিলে আইনগত শাস্তির বিধান করা উচিত?
হ্যাঁ ৯৩% না ৪%
মন্তব্য নেই ৩%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
রাজধানীর যানজট থেকে মুক্তি পেতে রেল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা প্রধান সমাধান মনে করেন?
হ্যাঁ ৭৫% না ১৭%
মন্তব্য নেই ৮%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
আপনি কি মনে করেন, ট্রাফিক জ্যাম কমাতে ছোট আকারের যানবাহন কমিয়ে দ্বিতল বাসের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি?
হ্যাঁ ৮৬% না ৯%
মন্তব্য নেই ৫%
১৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত
www.bodlejaobodledao.com
No comments