কারিনার বদলে দীপিকা
তার একদিকে এখন বউ-কাঁটকি শাশুড়ি; অন্যদিকে 'মিজাজ ভারি' মরদ!ফলাফল? ওই কেরিয়ার রাখি, না কুল রাখি! আসলে বিয়ের ফুল ফুটলেই নাকি মুম্বাই নায়িকাদের কেরিয়ারে সলতে জ্বলে যায়।
এ বেদবাক্য অনেকেই মিথ্যে প্রমাণ করেছেন, কিন্তু কালে কালে একেবারে এ কথা উড়িয়ে দেয়াও যাচ্ছে না যে! বিয়ে না হতেই, বেবোর কপালেও কি এমন কিছু ঘটতে চলেছে? নইলে, বলা নেই কওয়া নেই, তাকে বাদ দিয়ে ইমরান হাশমির বিপরীতে সেদিনের মেয়ে দীপিকা পাডুকোনকে নেয়া কি যুক্তিযুক্ত?
এমনটাই কিন্তু হয়েছে। তাও আবার হেঁজিপেঁজি কারও ছবি না, একতা কাপুর এবং করণ জোহরের যৌথ প্রযোজনার পরবর্তী ছবি। ‘ডার্টি পিকচার’-এর পর এ ছবি আর একটা ধামাকা বলে মনে করা হচ্ছে, তাতেই একতা বেবোর বদলি দীপিকাকে সই করিয়ে নিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে কারিনার চক্ষুশূল অন্য নায়িকাদের মধ্যে দীপিকা পাডুকোনও একজন। এই বড় প্রজেক্টে তাকে সরিয়ে দিয়ে দীপিকার এহেন সিংহাসন দখল মোটেই ভালো চোখে দেখেছেন না বেবো। এমনিতেই বলিউডে একরোখা-খামখেয়ালি বলে পরিচিত কাপুর পরিবারের এই আদুরে মেয়ে। এ নিয়ে পরিচালক-নায়িকাদের সঙ্গে তার ঝামেলা বড় কম হয়নি। বিপাশা বসুর সঙ্গে তো প্রায় চুলোচুলিই হতে বাকি ছিল। তা তো হবেই। সকলে তো আর পরিবারের লোক নয়। একতার সঙ্গে জোট বেঁধে করণ জোহর ছবি করবেন শুনেই তাতে অভিনয়ের আগ্রহ দেখান বেবো। গল্প-চিত্রনাট্য সব শুনে প্রাথমিক রাজিটুকুও নাকি হন। কিন্তু শেষমেশ ওই শ্বশুরবাড়ির চাপ। ছবির নায়ক ইমরান হাশমি শুনেই নাকি খানিক বেঁকে বসেছেন কারিনার হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং ছোট নবাব নিজেও। স্বাভাবিক, ঘরের বউ যদি সিরিয়াল কিসারের খপ্পরে পড়ে, কারই বা তাহলে ভালো লাগবে! তাই, হ্যাঁ-না বলতে বেবো গড়িমসি করতেই দুম করে দীপিকাকে দিয়ে ছবিতে সই করিয়ে নিয়েছেন আর এক কপূর পরিবারের মুখরা-একগুঁয়ে মেয়ে একতা কপূর। রেগে লাল বেবো করণকে মেসেজও নাকি করেছেন একতার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
যদিও স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে এ বিতর্ক গায়ে মাখতে নারাজ কারিনা। জানাচ্ছেন, “এরকম কোনো ব্যাপারই নেই। একতা-করণ দু’জনেই আমার ভালো বন্ধু। তার চেয়েও বড় কথা আমরা সবাই প্রফেশনাল। আমি প্রথমে স্ক্রিপ্ট শুনে রাজি হয়েছিলাম বটে, কিন্তু শ্যুটিং শিডিউলের সঙ্গে আমার বিয়ের তারিখ মিলে যাচ্ছে বলেই আমি না বলতে বাধ্য হয়েছি। এর মধ্যে রাগারাগির গল্প আপনারা-মিডিয়ার লোকেরা তৈরি করছেন। আর ইমরানের সঙ্গে কাজ করতেও আমার কোনো সমস্যা নেই। উনি সফল নায়ক। তা ছাড়া, সাইফও প্রফেশনাল। ও আমার কাজে কখনও হস্তক্ষেপ করে না। বিয়ের পরেও আমি আমার ইচ্ছে মতোই ছবির কাজ করব।”
অন্যদিকে একতার বক্তব্য, “এ ছবির কথা প্রথম আমরা কারিনাকে জানিয়েছি। ও রাজিও হয়। কিন্তু তার পর একেবারে চুপ করে যায়। আমায় তো আমার ছবি নিয়ে ভাবতে হবে নাকি? করণ-আমি দু’জনে মিলেই দীপিকার কথা ভেবেছি। মানছি, কারিনার সেই সময় বিয়ে আছে বা অন্য কোনো সমস্যা আছে। সেটা আগেই খোলাখুলি বললে, আমরা আরও খুশি হতাম। যাই হোক, সিনেমার কাজ পিছিয়ে থাকবে না কোনো মতেই"।
দুই নারীর মাঝে জং পড়া তরবারির মতো অবস্থায় কোঁকাচ্ছেন করণ। কারণ দুই সফল সুন্দরীই তার বিশেষ বন্ধু। ইমরানের সঙ্গে কাজ করাতে সাইফ এবং নবাব পরিবারের যে আপত্তি থাকবে তা বুঝেই কারিনাকে আর ঘাঁটাননি তিনি। সহজ করার জন্য অবশ্য জানাচ্ছেন, “আরে বাবা! এতে এত কথা উঠছে কেন? একটা মেয়ের কাছে তার বিয়েটা তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি? এটা আমাদের কাজে চলতেই থাকে। আমি আবার কোনো ছবি করলে কারিনাকে নিশ্চয় বলব। ও আমার ভালো বন্ধু আর দারুণ অভিনেত্রী। মোরওভার ওর বিয়ে নিয়ে আমিও উত্তেজিত ভীষণ।”
সে যাই হোক, নববধূর চালচলন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, নবাব বাড়ির কিছু রীতিনীতির কথা ঠারেঠোরে বেবোকে শুনিয়ে দিয়েছেন শর্মিলাজি। বিয়ের সানাই কানে বাজছে বলেই, আজন্মলালিত কিছু মেজাজ ত্যাগ করে মাথা নেড়ে সব শুনেওছেন কারিনা। অন্যদিকে, ছবির ব্যাপারে নেপোয় যে দই মেরে যাচ্ছে, তাও তো প্রাণে সয় না এ মেয়ের। তাই মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলে নাকি একে-ওকে মেসেজ করে ফেলছেন। আরে বেবো, বোঝার চেষ্টা করুন- এতে খালি আপনারই সর্বনাশ। আর অন্যদের পৌষমাস।
যদিও স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে এ বিতর্ক গায়ে মাখতে নারাজ কারিনা। জানাচ্ছেন, “এরকম কোনো ব্যাপারই নেই। একতা-করণ দু’জনেই আমার ভালো বন্ধু। তার চেয়েও বড় কথা আমরা সবাই প্রফেশনাল। আমি প্রথমে স্ক্রিপ্ট শুনে রাজি হয়েছিলাম বটে, কিন্তু শ্যুটিং শিডিউলের সঙ্গে আমার বিয়ের তারিখ মিলে যাচ্ছে বলেই আমি না বলতে বাধ্য হয়েছি। এর মধ্যে রাগারাগির গল্প আপনারা-মিডিয়ার লোকেরা তৈরি করছেন। আর ইমরানের সঙ্গে কাজ করতেও আমার কোনো সমস্যা নেই। উনি সফল নায়ক। তা ছাড়া, সাইফও প্রফেশনাল। ও আমার কাজে কখনও হস্তক্ষেপ করে না। বিয়ের পরেও আমি আমার ইচ্ছে মতোই ছবির কাজ করব।”
অন্যদিকে একতার বক্তব্য, “এ ছবির কথা প্রথম আমরা কারিনাকে জানিয়েছি। ও রাজিও হয়। কিন্তু তার পর একেবারে চুপ করে যায়। আমায় তো আমার ছবি নিয়ে ভাবতে হবে নাকি? করণ-আমি দু’জনে মিলেই দীপিকার কথা ভেবেছি। মানছি, কারিনার সেই সময় বিয়ে আছে বা অন্য কোনো সমস্যা আছে। সেটা আগেই খোলাখুলি বললে, আমরা আরও খুশি হতাম। যাই হোক, সিনেমার কাজ পিছিয়ে থাকবে না কোনো মতেই"।
দুই নারীর মাঝে জং পড়া তরবারির মতো অবস্থায় কোঁকাচ্ছেন করণ। কারণ দুই সফল সুন্দরীই তার বিশেষ বন্ধু। ইমরানের সঙ্গে কাজ করাতে সাইফ এবং নবাব পরিবারের যে আপত্তি থাকবে তা বুঝেই কারিনাকে আর ঘাঁটাননি তিনি। সহজ করার জন্য অবশ্য জানাচ্ছেন, “আরে বাবা! এতে এত কথা উঠছে কেন? একটা মেয়ের কাছে তার বিয়েটা তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি? এটা আমাদের কাজে চলতেই থাকে। আমি আবার কোনো ছবি করলে কারিনাকে নিশ্চয় বলব। ও আমার ভালো বন্ধু আর দারুণ অভিনেত্রী। মোরওভার ওর বিয়ে নিয়ে আমিও উত্তেজিত ভীষণ।”
সে যাই হোক, নববধূর চালচলন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, নবাব বাড়ির কিছু রীতিনীতির কথা ঠারেঠোরে বেবোকে শুনিয়ে দিয়েছেন শর্মিলাজি। বিয়ের সানাই কানে বাজছে বলেই, আজন্মলালিত কিছু মেজাজ ত্যাগ করে মাথা নেড়ে সব শুনেওছেন কারিনা। অন্যদিকে, ছবির ব্যাপারে নেপোয় যে দই মেরে যাচ্ছে, তাও তো প্রাণে সয় না এ মেয়ের। তাই মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলে নাকি একে-ওকে মেসেজ করে ফেলছেন। আরে বেবো, বোঝার চেষ্টা করুন- এতে খালি আপনারই সর্বনাশ। আর অন্যদের পৌষমাস।
No comments