শেয়ারবাজারে আবার দরপতন-ধস ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে
আবার দরপতন শেয়ারবাজারে। অনেকে এ অবস্থাকে তুলনা করেছেন মৃত্যুশয্যার সঙ্গে। কেউ কেউ বলছেন, শেয়ারবাজারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যখন দেখা যায়, বিনিয়োগের টাকা টানা দরপতনে ভেসে যাচ্ছে, তখন সেটাকে রক্তক্ষরণ বললে খুব বেশি বলা হয় না। অনেক চেষ্টার পরও শেয়ারবাজারের দৈন্য কাটছে না।
বিনিয়োগকারীরা হতাশ। এ হতাশা ক্রমেই ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে রাস্তায়। শেয়ারবাজার নিয়ে একটু ইতিবাচক চিন্তা করলে বোধ হয় এমন ঘটত না।
শেয়ারবাজারে দরপতন নতুন কোনো বিষয় নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারের মতো আমাদের দেশের বাজারেও ওঠানামা থাকবে- সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ওঠানামা অস্বাভাবিক হয়ে গেলে শঙ্কিত হতে হয়। শঙ্কিত হওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি। বাংলাদেশের মতো একটি সীমিত অর্থনীতির দেশে শেয়ারবাজার যখন উপার্জন বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগের একটি বড় জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়, তখন এ বাজারের উত্থান-পতন নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলকে চিন্তিত হতেই হয়। শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা নানা মত দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে দরপতনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সময়োচিত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বাজারের দরপতন ঠেকাতে ভূমিকা রাখেনি। ঘোষিত পদক্ষেপগুলোর অনেক কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এতে আস্থার সংকট বেড়েছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অধৈর্য আচরণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেশাদার মনোভাবও দরপতন দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
শেয়ারবাজারের প্রধান সংকটটি হচ্ছে আস্থার। বাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আসতে পারছে না। আর সে কারণেই বাজারে অস্বাভাবিক দরপতন ঘটছে। এর পাশাপাশি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে তারল্য সংকটও দরপতনের অন্যতম কারণ হতে পারে। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েকটি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। তার পরও বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। বাজেট-পরবর্তী টানা দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে। শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ অর্থমন্ত্রী এ বাজারকে 'দুষ্টু শেয়ারবাজার' বলেছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব যে বাজারে পড়েনি সে কথা বলা যাবে না।
শেয়ারবাজারের এ পতনের ধারা চলতে থাকলে সেটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক কোনো ফল বয়ে আনবে না। কাজেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তার আগে কতগুলো বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা জানি, সরকার ২০০৯ ও ২০১০ সালের শেয়ার কারসাজির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করে। কমিটি অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, কারসাজি ঠেকাতে স্বাধীন এসইসি প্রতিষ্ঠা ও আমূল সংস্কার, শেয়ার লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ পৃথক করার প্রক্রিয়া ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেটা এখন খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা আবার শেয়ারবাজার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে আস্থার সংকট সৃষ্টি করছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। পরিচালকদের শেয়ার ধারণের বিষয়টিও অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।
বাজার একবার অস্থিতিশীল হয়ে গেলে স্থিতিশীল হতে সময় লাগে। কিন্তু দেড় বছর খুব কম সময় নয়। এখনো বাজার স্থিতিশীল হয়নি। এ জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই আস্থার সংকট কাটাতে মনোযোগী হতে হবে। দূর করতে হবে তারল্য সংকট। বাজারে এমন প্রত্যাশা সৃষ্টি করা উচিত হবে না, যা পরবর্তীকালে হতাশার সৃষ্টি করবে। সংশ্লিষ্ট মহল এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে বলেই আমরা মনে করি।
শেয়ারবাজারে দরপতন নতুন কোনো বিষয় নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারের মতো আমাদের দেশের বাজারেও ওঠানামা থাকবে- সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ওঠানামা অস্বাভাবিক হয়ে গেলে শঙ্কিত হতে হয়। শঙ্কিত হওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি। বাংলাদেশের মতো একটি সীমিত অর্থনীতির দেশে শেয়ারবাজার যখন উপার্জন বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগের একটি বড় জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়, তখন এ বাজারের উত্থান-পতন নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলকে চিন্তিত হতেই হয়। শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা নানা মত দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে দরপতনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সময়োচিত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বাজারের দরপতন ঠেকাতে ভূমিকা রাখেনি। ঘোষিত পদক্ষেপগুলোর অনেক কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এতে আস্থার সংকট বেড়েছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অধৈর্য আচরণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেশাদার মনোভাবও দরপতন দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
শেয়ারবাজারের প্রধান সংকটটি হচ্ছে আস্থার। বাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আসতে পারছে না। আর সে কারণেই বাজারে অস্বাভাবিক দরপতন ঘটছে। এর পাশাপাশি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে তারল্য সংকটও দরপতনের অন্যতম কারণ হতে পারে। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েকটি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। তার পরও বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। বাজেট-পরবর্তী টানা দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে। শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ অর্থমন্ত্রী এ বাজারকে 'দুষ্টু শেয়ারবাজার' বলেছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব যে বাজারে পড়েনি সে কথা বলা যাবে না।
শেয়ারবাজারের এ পতনের ধারা চলতে থাকলে সেটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক কোনো ফল বয়ে আনবে না। কাজেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তার আগে কতগুলো বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা জানি, সরকার ২০০৯ ও ২০১০ সালের শেয়ার কারসাজির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করে। কমিটি অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, কারসাজি ঠেকাতে স্বাধীন এসইসি প্রতিষ্ঠা ও আমূল সংস্কার, শেয়ার লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ পৃথক করার প্রক্রিয়া ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেটা এখন খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা আবার শেয়ারবাজার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে আস্থার সংকট সৃষ্টি করছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। পরিচালকদের শেয়ার ধারণের বিষয়টিও অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।
বাজার একবার অস্থিতিশীল হয়ে গেলে স্থিতিশীল হতে সময় লাগে। কিন্তু দেড় বছর খুব কম সময় নয়। এখনো বাজার স্থিতিশীল হয়নি। এ জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই আস্থার সংকট কাটাতে মনোযোগী হতে হবে। দূর করতে হবে তারল্য সংকট। বাজারে এমন প্রত্যাশা সৃষ্টি করা উচিত হবে না, যা পরবর্তীকালে হতাশার সৃষ্টি করবে। সংশ্লিষ্ট মহল এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে বলেই আমরা মনে করি।
No comments