পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ-পিপিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়ার পরদিনই ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা ও বস্ত্রমন্ত্রী মখদুম শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে একটি অবৈধ ওষুধ (মাদক) আমদানির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহাবুদ্দিনের
বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকা ও বার্তা সংস্থা বিবিসি।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন পিপিপি ও শরিক জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে বুধবার মখদুম শাহাবুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার আবেদনও জমা দিয়েছেন শাহাবুদ্দিন। আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
দ্য ডন জানায়, অ্যান্টি-নারকোটিক ফোর্সের (এএনএফ) করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাওয়ালপিন্ডির উত্তরাঞ্চলীয় শহরের বিশেষ মাদকবিরোধী আদালতের বিচারক শাফকাতুল্লাহ খান এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। শাহাবুদ্দিন ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলী মুসা গিলানিসহ আরো একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এএনএফ কর্মকর্তারা আদালতে শুনানির সময় একটি প্রতিবেদন দাখিল করে অবৈধভাবে এফেড্রিন ওষুধ আমদানির সঙ্গে শাহাবুদ্দিন ও আলী মুসা গিলানির জড়িত থাকার প্রমাণ দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএনএফের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, 'তাঁকে (শাহাবুদ্দিন) গ্রেপ্তার করাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেকোনো সময় তাঁকে কাস্টডিতে নেওয়া হতে পারে।'
ওই কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে শাহাবুদ্দিন ওষুধ কম্পানি ডানাস ফার্মার জন্য কোটা ইস্যু করেছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আঁতাত করে ওষুধ কম্পানি ডানাস ফার্মা ও ব্রেঙ্লে ল্যাব ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে কোটা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে গত বছরের ১০ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়।
গত মে মাসে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহাবুদ্দিনকে ডেকেছিল এএনএফ। ওই সময় তিনি কোটা ইস্যু করার কথা স্বীকারও করেন। তবে ওষুধ আমদানির ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শাহাবুদ্দিন জানান, কোটা ইস্যুর উদ্দেশ্য তাঁর জানা ছিল না।
আদালত অবমাননার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্য পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার জন্য আদালত প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দেন। এরপর প্রেসিডেন্ট জারদারির নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন পিপিপি ও শরিক জোটের নেতারা কয়েক দফা বৈঠক শেষে আদালতের রায় মেনে পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও বস্ত্রমন্ত্রী মখদুম শাহাবুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়। একই সঙ্গে আগামী আট মাসের মধ্যে সাধারণ পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দেন জারদারি। এর পরদিনই শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আদালত।
এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ফলে শাহাবুদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি গ্রেপ্তার হলেও পার্লামেন্ট চাইলে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারবে।
আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ আজই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কারণে দলের পক্ষ থেকে আরো দুই নেতাকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন- রাজা পারভেজ আশরাফ ও কমর জামান কায়রা। তাঁরাও গতকাল প্রার্থিতার আবেদন করেছেন। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) প্রধানমন্ত্রী পদে সদর মেহতাব আহমাদ খানের নাম প্রস্তাব করেছে। খান খাইবার পাখতুনখা প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং অ্যাবোটাবাদ থেকে নির্বাচিত এমপি।
গতকাল শাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার আবেদন জমা দেওয়ার পর পিপিপির প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পদে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে (জারদারিকে) ধন্যবাদ জানাই।' তিনি আরো বলেন, 'আজ (গতকাল) একটি বিশেষ দিন, কারণ আজ বেনজির ভুট্টোর জন্মদিন। এই দিনের দলের সব সদস্যের প্রতি আমার অভিনন্দন রইল।'
প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়া শাহাবুদ্দিন ১৯৯৩-১৯৯৬ সালে বেনজির ভুট্টোর আমলে কিছুদিনের জন্য অর্থমন্ত্রীও ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়ের হওয়া অর্থপাচারের মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে চিঠি লিখতে গিলানিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। গিলানি সেই নির্দেশ পালন না করায় গত ২৬ এপ্রিল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ জন্য আদালত তাঁকে প্রতীকী সাজা দিয়েছিলেন। গিলানি এর বিরুদ্ধে আপিল করেননি। এরপর গত মঙ্গলবার গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের সদস্যপদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন পিপিপি ও শরিক জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে বুধবার মখদুম শাহাবুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার আবেদনও জমা দিয়েছেন শাহাবুদ্দিন। আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
দ্য ডন জানায়, অ্যান্টি-নারকোটিক ফোর্সের (এএনএফ) করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাওয়ালপিন্ডির উত্তরাঞ্চলীয় শহরের বিশেষ মাদকবিরোধী আদালতের বিচারক শাফকাতুল্লাহ খান এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। শাহাবুদ্দিন ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলী মুসা গিলানিসহ আরো একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এএনএফ কর্মকর্তারা আদালতে শুনানির সময় একটি প্রতিবেদন দাখিল করে অবৈধভাবে এফেড্রিন ওষুধ আমদানির সঙ্গে শাহাবুদ্দিন ও আলী মুসা গিলানির জড়িত থাকার প্রমাণ দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএনএফের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, 'তাঁকে (শাহাবুদ্দিন) গ্রেপ্তার করাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেকোনো সময় তাঁকে কাস্টডিতে নেওয়া হতে পারে।'
ওই কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে শাহাবুদ্দিন ওষুধ কম্পানি ডানাস ফার্মার জন্য কোটা ইস্যু করেছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আঁতাত করে ওষুধ কম্পানি ডানাস ফার্মা ও ব্রেঙ্লে ল্যাব ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে কোটা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে গত বছরের ১০ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়।
গত মে মাসে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহাবুদ্দিনকে ডেকেছিল এএনএফ। ওই সময় তিনি কোটা ইস্যু করার কথা স্বীকারও করেন। তবে ওষুধ আমদানির ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শাহাবুদ্দিন জানান, কোটা ইস্যুর উদ্দেশ্য তাঁর জানা ছিল না।
আদালত অবমাননার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্য পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার জন্য আদালত প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দেন। এরপর প্রেসিডেন্ট জারদারির নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন পিপিপি ও শরিক জোটের নেতারা কয়েক দফা বৈঠক শেষে আদালতের রায় মেনে পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও বস্ত্রমন্ত্রী মখদুম শাহাবুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়। একই সঙ্গে আগামী আট মাসের মধ্যে সাধারণ পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দেন জারদারি। এর পরদিনই শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আদালত।
এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ফলে শাহাবুদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি গ্রেপ্তার হলেও পার্লামেন্ট চাইলে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারবে।
আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ আজই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কারণে দলের পক্ষ থেকে আরো দুই নেতাকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন- রাজা পারভেজ আশরাফ ও কমর জামান কায়রা। তাঁরাও গতকাল প্রার্থিতার আবেদন করেছেন। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) প্রধানমন্ত্রী পদে সদর মেহতাব আহমাদ খানের নাম প্রস্তাব করেছে। খান খাইবার পাখতুনখা প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং অ্যাবোটাবাদ থেকে নির্বাচিত এমপি।
গতকাল শাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার আবেদন জমা দেওয়ার পর পিপিপির প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পদে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে (জারদারিকে) ধন্যবাদ জানাই।' তিনি আরো বলেন, 'আজ (গতকাল) একটি বিশেষ দিন, কারণ আজ বেনজির ভুট্টোর জন্মদিন। এই দিনের দলের সব সদস্যের প্রতি আমার অভিনন্দন রইল।'
প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়া শাহাবুদ্দিন ১৯৯৩-১৯৯৬ সালে বেনজির ভুট্টোর আমলে কিছুদিনের জন্য অর্থমন্ত্রীও ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়ের হওয়া অর্থপাচারের মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে চিঠি লিখতে গিলানিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। গিলানি সেই নির্দেশ পালন না করায় গত ২৬ এপ্রিল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ জন্য আদালত তাঁকে প্রতীকী সাজা দিয়েছিলেন। গিলানি এর বিরুদ্ধে আপিল করেননি। এরপর গত মঙ্গলবার গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের সদস্যপদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেন আদালত।
No comments