সংসদীয় কমিটির উদ্বেগকে আমলে নিন-পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়ম
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত সোমবারের সভায় একটি দরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে: জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগগুলো সম্পর্কে কমিটি বিশদভাবে জানতে চায়। সে জন্য পদোন্নতিবঞ্চিত সব কর্মকর্তার একটি তালিকা তৈরি করে সংসদীয় কমিটির কাছে তা উপস্থাপনের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে ওই সভায়।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি খন্দকার আসাদুজ্জামান সভায় বলেছেন, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী না হলে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা না মানার অভিযোগগুলোর ব্যাখ্যা তিনি দাবি করেছেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কাছে। অর্থাৎ যেসব কর্মকর্তাকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, তাঁদের কী কারণে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে কমিটির একাধিক সদস্য একমত প্রকাশ করেন এবং পরে তা সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপকসংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা এবং পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করার পরও অনেক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি না দেওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ, বঞ্চনাবোধ ও হতাশার খবর পাওয়া যায়। এর ফলে যে জনপ্রশাসনের কর্মসম্পাদনের সামর্থ্য ও দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা অভিজ্ঞ মহল থেকে অনেকবার বলা হয়েছে।
প্রতিটি দলীয় সরকারই ক্ষমতায় এসে জনপ্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ঘটায়। মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে কয়েক ধাপ নিচ পর্যন্ত ব্যাপক রদবদল বর্তমান সরকারও করেছে। সরকার যদি মনে করে আগের সরকারের রেখে যাওয়া পদবিন্যাসে তাদের কর্মসম্পাদনে প্রত্যাশিত দক্ষতা-ফলপ্রসূতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে রদবদল করা অন্যায় বা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা অবশ্যকর্তব্য। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে পদোন্নতি দেওয়া আর কাউকে বঞ্চিত করা অন্যায় এবং এর ফলে জনপ্রশাসনের কর্মদক্ষতা ও প্রণোদনা ক্ষুণ্ন হতে বাধ্য। আগের সরকারের ‘নিজের লোক’ বলে কোনো যোগ্য-দক্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে বসিয়ে রাখা এবং নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার যে চর্চা চলে আসছে, তার ফলে এ দেশের জনপ্রশাসনের ক্ষতি হচ্ছে। দলীয় বিবেচনায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভাজন প্রজাতন্ত্রের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হতে পারে না। এ থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
এ মুহূর্তে অন্তত এটুকু নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুনগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্থাপন মন্ত্রণালয় পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে কমিটিতে উপস্থাপন করুক। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়ে থাকলে প্রশাসনিক শৃঙ্খলার স্বার্থেই তার প্রতিকার প্রয়োজন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপকসংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা এবং পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করার পরও অনেক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি না দেওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ, বঞ্চনাবোধ ও হতাশার খবর পাওয়া যায়। এর ফলে যে জনপ্রশাসনের কর্মসম্পাদনের সামর্থ্য ও দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা অভিজ্ঞ মহল থেকে অনেকবার বলা হয়েছে।
প্রতিটি দলীয় সরকারই ক্ষমতায় এসে জনপ্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ঘটায়। মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে কয়েক ধাপ নিচ পর্যন্ত ব্যাপক রদবদল বর্তমান সরকারও করেছে। সরকার যদি মনে করে আগের সরকারের রেখে যাওয়া পদবিন্যাসে তাদের কর্মসম্পাদনে প্রত্যাশিত দক্ষতা-ফলপ্রসূতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে রদবদল করা অন্যায় বা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা অবশ্যকর্তব্য। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে পদোন্নতি দেওয়া আর কাউকে বঞ্চিত করা অন্যায় এবং এর ফলে জনপ্রশাসনের কর্মদক্ষতা ও প্রণোদনা ক্ষুণ্ন হতে বাধ্য। আগের সরকারের ‘নিজের লোক’ বলে কোনো যোগ্য-দক্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে বসিয়ে রাখা এবং নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার যে চর্চা চলে আসছে, তার ফলে এ দেশের জনপ্রশাসনের ক্ষতি হচ্ছে। দলীয় বিবেচনায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভাজন প্রজাতন্ত্রের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হতে পারে না। এ থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
এ মুহূর্তে অন্তত এটুকু নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুনগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্থাপন মন্ত্রণালয় পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে কমিটিতে উপস্থাপন করুক। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়ে থাকলে প্রশাসনিক শৃঙ্খলার স্বার্থেই তার প্রতিকার প্রয়োজন।
No comments