শিক্ষার্থীরা কবে শিক্ষাজীবন ফিরে পাবে?-আইলা-আক্রান্ত জীবন
আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের সব দিক আক্রান্ত হয়েছিল। এ কারণেই তা বিপর্যয় বলে চিহ্নিত হয়। কিন্তু আইলা চলে গেলেও বিপর্যয় ফুরায়নি। অনেকের বাসস্থান ঠিক হয়নি, অর্থনীতি গতি পায়নি, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, উৎপাদনেও রয়েছে সমস্যা এবং শিক্ষাকার্যক্রমও রয়েছে শোচনীয় অবস্থায়।
গত শুক্রবার রাজধানীতে বইয়ে কালো কাপড় বেঁধে সেই দুরবস্থার কথাই জানিয়ে গেল আইলাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীরা।
পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিপর্যয় চলতে থাকলে শিক্ষাজীবনও স্বাভাবিক হতে পারে না। কেবল শিক্ষার্থীই নয়, অনেক শিক্ষকও দুর্যোগজনিত দুরবস্থার জন্য শিক্ষাদানের মতো অবস্থায় নেই। শিক্ষার অবকাঠামোও পুনর্নির্মিত হয়নি সব এলাকায়। এ রকম অনেক কারণে দুর্গত এলাকার শিক্ষা-পরিস্থিতি এখনো নাজুক।
সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় এমনিতেই দুর্যোগের আশঙ্কা বেশি। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণে দুর্যোগ প্রায়ই বিপর্যয়ে রূপ নেয়। গত কয়েক বছরে সিডর, রেশমি ও আইলায় সেখানকার উপকূলীয় রক্ষা বাঁধ, পোল্ডার, সড়কের বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এখনো সেগুলো যথাযথভাবে পুনর্নির্মাণ বা মেরামত করা হয়নি। তাই দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত বছরজুড়ে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র, চিকিৎসাকেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত ও ধারণক্ষম করা হোক। সিডর ও আইলায় দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে?
শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কেবল স্কুল-কলেজে যাওয়া নয়, তা তাদের জীবনের অংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের নিজস্ব জীবনধারা গড়ে ওঠে, মেলামেশা ও আনন্দ-বিনোদন হয়। এ ছাড়া শিক্ষা তাদের মানসিক চাহিদাও বটে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ, পুনর্বাসন ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করে জীবনের স্থিরতা যতক্ষণ না আনা যাবে, ততক্ষণ শিক্ষার পরিবেশও ফিরে আসবে না। বিষয়টি সরকারের নজরে ছিল না বলেই দুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের বইয়ে কালো কাপড় বেঁধে ফরিয়াদ করে যেতে হলো। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তাদের ফরিয়াদ আমলে নিয়ে শিক্ষার্থীসহ আইলা-আক্রান্ত মানুষের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিপর্যয় চলতে থাকলে শিক্ষাজীবনও স্বাভাবিক হতে পারে না। কেবল শিক্ষার্থীই নয়, অনেক শিক্ষকও দুর্যোগজনিত দুরবস্থার জন্য শিক্ষাদানের মতো অবস্থায় নেই। শিক্ষার অবকাঠামোও পুনর্নির্মিত হয়নি সব এলাকায়। এ রকম অনেক কারণে দুর্গত এলাকার শিক্ষা-পরিস্থিতি এখনো নাজুক।
সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় এমনিতেই দুর্যোগের আশঙ্কা বেশি। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণে দুর্যোগ প্রায়ই বিপর্যয়ে রূপ নেয়। গত কয়েক বছরে সিডর, রেশমি ও আইলায় সেখানকার উপকূলীয় রক্ষা বাঁধ, পোল্ডার, সড়কের বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এখনো সেগুলো যথাযথভাবে পুনর্নির্মাণ বা মেরামত করা হয়নি। তাই দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত বছরজুড়ে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র, চিকিৎসাকেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত ও ধারণক্ষম করা হোক। সিডর ও আইলায় দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে?
শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কেবল স্কুল-কলেজে যাওয়া নয়, তা তাদের জীবনের অংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের নিজস্ব জীবনধারা গড়ে ওঠে, মেলামেশা ও আনন্দ-বিনোদন হয়। এ ছাড়া শিক্ষা তাদের মানসিক চাহিদাও বটে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ, পুনর্বাসন ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করে জীবনের স্থিরতা যতক্ষণ না আনা যাবে, ততক্ষণ শিক্ষার পরিবেশও ফিরে আসবে না। বিষয়টি সরকারের নজরে ছিল না বলেই দুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের বইয়ে কালো কাপড় বেঁধে ফরিয়াদ করে যেতে হলো। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তাদের ফরিয়াদ আমলে নিয়ে শিক্ষার্থীসহ আইলা-আক্রান্ত মানুষের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
No comments