বিশিষ্ট নাগরিকদের আহ্বান আমলে নিন-লেজুড় সংগঠন নয়
দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী ও প্রবাসী সংগঠন না রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা মনে করি তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োচিত। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এসব সংগঠনকে সুস্থ রাজনীতি তথা দেশের অগ্রগতি ও উন্নতির পথে প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তাঁদের এ বক্তব্যের সঙ্গেও দ্বিমত করার উপায় নেই।
ছাত্র, শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ঐতিহাসিক ভূমিকা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু বর্তমানে সেসব সংগঠন রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় যেভাবে দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের কাজ বেআইনি হলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ব্যবস্থা নিতে সাহস পায় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় এসব সংগঠনের দৌরাত্ম্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা কেবল রাজনীতিকেই কলুষিত করছে না, সরকারি অর্থ ও সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীও এক সেমিনারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর অপতৎপরতার কথা স্বীকার করেছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আইনের বিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ আইন তৈরি করা হয়েছিল এবং নবম জাতীয় সংসদে তা অনুমোদনও পেয়েছে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা যথার্থই বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের লিখিতভাবে আরপিও মেনে নিলেও কার্যক্ষেত্রে এর প্রতিফলন নেই। রাজনৈতিক হত্যাসহ সাম্প্রতিক কালে যেসব গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার সঙ্গে তথাকথিত সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এমনকি একই সংগঠনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেও অনেককে জীবন দিতে হয়েছে।
রাজনীতির নামে এই অপসংস্কৃতি ও আত্মঘাত চলতে পারে না। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যও রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ তথা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি বন্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু সহযোগী সংগঠনগুলোকে রেখে তা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি বিরোধী দলকেও সবকিছুতে সরকারের বিরোধিতা বা সংসদ বর্জনের পথ পরিহার করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে সংসদে গিয়ে বলাই শ্রেয়। মনে রাখতে হবে, দল ও ক্ষমতার চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থই বড়।
রাজনৈতিক মত ও পথ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই বিশিষ্ট নাগরিকেরা মতৈক্যের ভিত্তিতে যে বিবৃতি দিয়েছেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা আমলে নেওয়া উচিত বলে মনে করি। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকে কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যায় না। আমরা এমন একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাই, যা উত্তর প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাই ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবহির্ভূত সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা আক্ষরিক অর্থেই আরপিও মেনে চলবে এবং কোনো সংগঠনকে লেজুড়বৃত্তির সুযোগ দেবে না।
ছাত্র, শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ঐতিহাসিক ভূমিকা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু বর্তমানে সেসব সংগঠন রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় যেভাবে দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের কাজ বেআইনি হলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ব্যবস্থা নিতে সাহস পায় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় এসব সংগঠনের দৌরাত্ম্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা কেবল রাজনীতিকেই কলুষিত করছে না, সরকারি অর্থ ও সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীও এক সেমিনারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর অপতৎপরতার কথা স্বীকার করেছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আইনের বিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ আইন তৈরি করা হয়েছিল এবং নবম জাতীয় সংসদে তা অনুমোদনও পেয়েছে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা যথার্থই বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের লিখিতভাবে আরপিও মেনে নিলেও কার্যক্ষেত্রে এর প্রতিফলন নেই। রাজনৈতিক হত্যাসহ সাম্প্রতিক কালে যেসব গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার সঙ্গে তথাকথিত সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এমনকি একই সংগঠনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেও অনেককে জীবন দিতে হয়েছে।
রাজনীতির নামে এই অপসংস্কৃতি ও আত্মঘাত চলতে পারে না। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যও রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ তথা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি বন্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু সহযোগী সংগঠনগুলোকে রেখে তা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি বিরোধী দলকেও সবকিছুতে সরকারের বিরোধিতা বা সংসদ বর্জনের পথ পরিহার করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে সংসদে গিয়ে বলাই শ্রেয়। মনে রাখতে হবে, দল ও ক্ষমতার চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থই বড়।
রাজনৈতিক মত ও পথ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই বিশিষ্ট নাগরিকেরা মতৈক্যের ভিত্তিতে যে বিবৃতি দিয়েছেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা আমলে নেওয়া উচিত বলে মনে করি। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকে কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যায় না। আমরা এমন একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাই, যা উত্তর প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাই ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবহির্ভূত সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা আক্ষরিক অর্থেই আরপিও মেনে চলবে এবং কোনো সংগঠনকে লেজুড়বৃত্তির সুযোগ দেবে না।
No comments