এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ-মানবপাচার পরিস্থিতির আরো উন্নতি কাম্য
বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার মতো দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবপাচার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশকালে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায়ও বাংলাদেশের অবস্থান অনুকূলে উন্নত হয়েছে।
বাংলাদেশ ২৫তম অবস্থান থেকে ২৯তম অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ 'বিরূপ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার' ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে। সবচেয়ে বড় কথা, এ প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল, যা আমাদের নাগরিক সুবিধায় প্রতিফলিত হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে। চলমান দুরবস্থাগুলো দূর করে বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখতে পারবে। উন্নয়ন সহযোগীরাও আস্থা অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশ সম্পর্কে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে শিশু ও নারী পাচার হওয়ার খবর বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। মানবাধিকার সংস্থা ও সচেতন মানুষকে মর্মাহত করার মতো এ ঘটনা নিরোধে জনদাবি ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। বাংলাদেশের মানবপাচার রোধকল্পে আইনি দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার তাগাদাও অনুভূত হয়ে আসছিল একই সঙ্গে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে। ২০১১ সালে মানবপাচার রোধে অর্ডিন্যান্স জারি হয়, যা ২০১২ সালে সংসদে পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়। পাশাপাশি আইন প্রয়োগে সাফল্য লাভ করায় সম্প্রতি মানবপাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে।
মানবপাচারের মতো ঘটনা কমে আসার পেছনে সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জড়িত। ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান, উন্নয়ন সেদিক থেকেও সাফল্যকে ইঙ্গিত করে। সেটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না হলেও দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। মার্কিন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত এ জরিপ প্রভাবমুক্ত থেকে বাংলাদেশের এ অবস্থানকে তুলে ধরেছে বিধায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তেমন প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রকাশিত সাফল্যের এ ধারাকে গতিশীল করার দায়িত্ব বাংলাদেশের। সংগত কারণেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, নাগরিকের অপরাপর মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। যার পূর্বশর্ত হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতা।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে শিশু ও নারী পাচার হওয়ার খবর বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। মানবাধিকার সংস্থা ও সচেতন মানুষকে মর্মাহত করার মতো এ ঘটনা নিরোধে জনদাবি ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। বাংলাদেশের মানবপাচার রোধকল্পে আইনি দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার তাগাদাও অনুভূত হয়ে আসছিল একই সঙ্গে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে। ২০১১ সালে মানবপাচার রোধে অর্ডিন্যান্স জারি হয়, যা ২০১২ সালে সংসদে পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়। পাশাপাশি আইন প্রয়োগে সাফল্য লাভ করায় সম্প্রতি মানবপাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে।
মানবপাচারের মতো ঘটনা কমে আসার পেছনে সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জড়িত। ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান, উন্নয়ন সেদিক থেকেও সাফল্যকে ইঙ্গিত করে। সেটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না হলেও দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। মার্কিন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত এ জরিপ প্রভাবমুক্ত থেকে বাংলাদেশের এ অবস্থানকে তুলে ধরেছে বিধায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তেমন প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রকাশিত সাফল্যের এ ধারাকে গতিশীল করার দায়িত্ব বাংলাদেশের। সংগত কারণেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, নাগরিকের অপরাপর মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। যার পূর্বশর্ত হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতা।
No comments