বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৪ বছর by মেজর শেখ মাসুমুল হাসান (অব.)
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণকাজ ১৯৯৪ সালে শুরু হয়ে ১৯৯৮ সালে শেষ হয়। অতঃপর ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতুটি যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এটি দেশের একটি প্রধান নদী প্রমত্তা যমুনার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত সংযোগ বৃদ্ধি করেছে।
সেতুটি দেশে আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসার ও ভারসাম্য উন্নয়নসহ জনগণকে বহুমুখী সুবিধা দেয়। রেল ও সড়কের ত্বরিত পরিবহন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপন করেছে। যমুনা নদীর ওপর একটি সেতুর প্রয়োজনীয়তা উত্তরাঞ্চলের জনগণ অনেক দিন ধরে অনুধাবন করে আসছিল। রাজনৈতিকভাবে ১৯৪৯ সালে জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী যমুনা সেতু নির্মাণের কথা প্রথম উত্থাপন করেন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী ইশতেহারে ২১ দফা দাবি রাখে। ১৯৬৪ সালের ৬ জানুয়ারি রংপুর থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের এক সদস্য সাইফুর রহমান যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের তথ্য সরকারের কাছে জানতে চান। ১৯৬৬ সালের ১১ জুলাই একই পরিষদে রংপুরের সদস্য শামসুল হক একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
১৯৬৯ সালে ফ্রিম্যান ফক্স এবং যুক্তরাজ্যের সহযোগীরা প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। তাঁরা সিরাজগঞ্জ এলাকায় রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের সুপারিশ করেন, যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় যমুনা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার করেন। স্বাধীনতার পর নতুন সরকারও জনসমক্ষে এই সেতু নির্মাণের কথা পুনর্ব্যক্ত করে। ১৯৭৩ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সংস্থা (জাইকা) যমুনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে, যা ১৯৭৬ সালে শেষ হয়। সে সময় প্রকল্পটি কারিগরি ও অর্থনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সরকার এটি পরিত্যাগ করে। ১৯৮২ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকার আবার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং যমুনা নদীর পশ্চিম পারে গ্যাসলাইন নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে। পরামর্শদাতারা একটি বহুমুখী সেতুর ধারণা দেন, যেখানে ৩ লেনের ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু হবে এবং খরচ হবে আনুমানিক ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্পটি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ অতিসত্বর এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ নেয়। প্রেসিডেন্ট এরশাদ ১৯৮৫ সালের ৩ জুলাই একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ (JMBA) গঠন করেন এবং কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নির্মাণের স্থানীয় মুদ্রা সংস্থানের জন্য অন্য একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যমুনা সেতু সারচার্জ উত্তোলনের ব্যবস্থা নেন। যার মাধ্যমে প্রায় ৫.০৮ বিলিয়ন টাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৮৬ সালে সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচনসহ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। যেখানে ভূঞাপুর এবং সিরাজগঞ্জ স্থানটি সর্বোত্তম বিবেচনা করা হয়। আবার ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয় যেখানে রাস্তা-রেল-বিদ্যুৎ সেতু অর্থনৈতিক ও কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য পাওয়া যায়।
বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, Overseas Economic Cooperation Fund (OECF) ও বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে অর্থায়নের ব্যবস্থা হয়। ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গ্যাস সঞ্চালন ছাড়া সব ১৯৯৮ সালের জুনে শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতু উদ্বোধন করা হয়। শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেতুটিতে আছে ডুয়েল গেজ রেল (ব্রড ও মিটার গেজ), উচ্চ ভল্টেজ (২৩০ কেভি) বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলি যোগাযোগ কেব্ল এবং ৭৫০ মিলিমিটার ব্যাসের উচ্চ চাপের প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন। ভবিষ্যতে ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপন হওয়ার পরিকল্পনা আছে। সেতুটি নির্মাণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার Hyundai Engineering & Construction।
বঙ্গবন্ধু সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রথমে ১৯৯৮ সালের জুন থেকে ২০০৪-এর মার্চ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার Intertoll এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লি. যৌথভাবে দায়িত্ব পায়- যার সংক্ষেপ নাম ছিল JOMAC। ২০০৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯-এর মার্চ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার PT Jasa Marga এবং বাংলাদেশের Net One Solutions Ltd. যৌথভাবে দায়িত্ব পায়, যার সংক্ষেপ নাম ছিলMarga Net One Ltd.। ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০-এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী Bangabandhu Bridge Special Organization (BBSO)-এ দায়িত্ব পালন করে। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে চায়না এবং বাংলাদেশের যৌথ কম্পানি MCCC (No.4)-Shamim Enterprise Limited-UDC(MSU JV) দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা নৈসর্গিক শোভামণ্ডিত মনোরম পরিবেশের একটি পর্যটন এলাকাও বটে। এখানে পূর্ব পারে আছে যমুনা রিসোর্ট, পোতাশ্রয়, জাদুঘর, পিকনিক স্পট, আনন্দ পার্ক এবং গলফ্ কোর্স। পশ্চিম পারে আছে বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক। তা ছাড়া উভয় পারে আছে বঙ্গবন্ধু প্রাচীরচিত্র। দিন দিন এখানে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বড় জাদুঘর ও মসজিদ গড়ে উঠবে।
সেতু নির্মাণের ৯ বছর পর সেতু ডেস্ক স্ল্যাবে ফাটল দেখা দেয়। সেটা মেরামতের জন্য চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানি কাজ করছে। জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত মাল বহনকারী গাড়ি চলাচলের জন্যই সেতুটি এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে মাল বহনকারী সব যানবাহন চালকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সেতুর পূর্ব পারে একটি সেনানিবাস আছে। এখানে একটি সংমিশ্রিত ব্রিগেড আছে। জনসাধারণকে এই জাতীয় সম্পদের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য সব সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
লেখক : ট্রাফিক অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজার, বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্প
১৯৬৯ সালে ফ্রিম্যান ফক্স এবং যুক্তরাজ্যের সহযোগীরা প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। তাঁরা সিরাজগঞ্জ এলাকায় রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের সুপারিশ করেন, যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় যমুনা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার করেন। স্বাধীনতার পর নতুন সরকারও জনসমক্ষে এই সেতু নির্মাণের কথা পুনর্ব্যক্ত করে। ১৯৭৩ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সংস্থা (জাইকা) যমুনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে, যা ১৯৭৬ সালে শেষ হয়। সে সময় প্রকল্পটি কারিগরি ও অর্থনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সরকার এটি পরিত্যাগ করে। ১৯৮২ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকার আবার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং যমুনা নদীর পশ্চিম পারে গ্যাসলাইন নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে। পরামর্শদাতারা একটি বহুমুখী সেতুর ধারণা দেন, যেখানে ৩ লেনের ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু হবে এবং খরচ হবে আনুমানিক ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্পটি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ অতিসত্বর এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ নেয়। প্রেসিডেন্ট এরশাদ ১৯৮৫ সালের ৩ জুলাই একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ (JMBA) গঠন করেন এবং কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নির্মাণের স্থানীয় মুদ্রা সংস্থানের জন্য অন্য একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যমুনা সেতু সারচার্জ উত্তোলনের ব্যবস্থা নেন। যার মাধ্যমে প্রায় ৫.০৮ বিলিয়ন টাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৮৬ সালে সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচনসহ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। যেখানে ভূঞাপুর এবং সিরাজগঞ্জ স্থানটি সর্বোত্তম বিবেচনা করা হয়। আবার ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয় যেখানে রাস্তা-রেল-বিদ্যুৎ সেতু অর্থনৈতিক ও কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য পাওয়া যায়।
বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, Overseas Economic Cooperation Fund (OECF) ও বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে অর্থায়নের ব্যবস্থা হয়। ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গ্যাস সঞ্চালন ছাড়া সব ১৯৯৮ সালের জুনে শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতু উদ্বোধন করা হয়। শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেতুটিতে আছে ডুয়েল গেজ রেল (ব্রড ও মিটার গেজ), উচ্চ ভল্টেজ (২৩০ কেভি) বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলি যোগাযোগ কেব্ল এবং ৭৫০ মিলিমিটার ব্যাসের উচ্চ চাপের প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন। ভবিষ্যতে ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপন হওয়ার পরিকল্পনা আছে। সেতুটি নির্মাণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার Hyundai Engineering & Construction।
বঙ্গবন্ধু সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রথমে ১৯৯৮ সালের জুন থেকে ২০০৪-এর মার্চ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার Intertoll এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লি. যৌথভাবে দায়িত্ব পায়- যার সংক্ষেপ নাম ছিল JOMAC। ২০০৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯-এর মার্চ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার PT Jasa Marga এবং বাংলাদেশের Net One Solutions Ltd. যৌথভাবে দায়িত্ব পায়, যার সংক্ষেপ নাম ছিলMarga Net One Ltd.। ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০-এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী Bangabandhu Bridge Special Organization (BBSO)-এ দায়িত্ব পালন করে। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে চায়না এবং বাংলাদেশের যৌথ কম্পানি MCCC (No.4)-Shamim Enterprise Limited-UDC(MSU JV) দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা নৈসর্গিক শোভামণ্ডিত মনোরম পরিবেশের একটি পর্যটন এলাকাও বটে। এখানে পূর্ব পারে আছে যমুনা রিসোর্ট, পোতাশ্রয়, জাদুঘর, পিকনিক স্পট, আনন্দ পার্ক এবং গলফ্ কোর্স। পশ্চিম পারে আছে বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক। তা ছাড়া উভয় পারে আছে বঙ্গবন্ধু প্রাচীরচিত্র। দিন দিন এখানে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বড় জাদুঘর ও মসজিদ গড়ে উঠবে।
সেতু নির্মাণের ৯ বছর পর সেতু ডেস্ক স্ল্যাবে ফাটল দেখা দেয়। সেটা মেরামতের জন্য চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানি কাজ করছে। জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত মাল বহনকারী গাড়ি চলাচলের জন্যই সেতুটি এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে মাল বহনকারী সব যানবাহন চালকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সেতুর পূর্ব পারে একটি সেনানিবাস আছে। এখানে একটি সংমিশ্রিত ব্রিগেড আছে। জনসাধারণকে এই জাতীয় সম্পদের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য সব সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
লেখক : ট্রাফিক অ্যান্ড সিকিউরিটি ম্যানেজার, বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্প
No comments