অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করুন-ঈদুল আজহা সামনে রেখে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা করেছে, ১৭ নভেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের সময় সাধারণভাবে কতগুলো সমস্যা দেখা দেয়, যা মোকাবিলা করতে হলে সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
প্রথমত, ঈদের মৌসুমে খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়, কিন্তু এর পেছনে যুক্তিসংগত কারণ থাকে না।
প্রথমত, ঈদের মৌসুমে খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়, কিন্তু এর পেছনে যুক্তিসংগত কারণ থাকে না।
অতিরিক্ত মুনাফার লোভে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়ান। এ অপতৎপরতা বন্ধে এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কথাবার্তা বলা হয়; কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কমই নজরে পড়ে। বাজারে ইতিমধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ-রসুনসহ অনেক খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারের ওপর কড়া নজরদারি না থাকলে দ্রব্যমূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ঈদ সামনে রেখে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক না বাড়াতে পারেন, সে জন্য বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। এ ধরনের কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ঈদ বা অন্য কোনো উৎসব সামনে রেখে কেউ অতিরিক্ত মুনাফা লুটতে সাহস না পান।
দ্বিতীয়ত, ঈদের মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ডাকাতি, ছিনতাইও বেড়ে যায়। গত বুধবার পুরান ঢাকার নয়াবাজারে একজন ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একদল ছিনতাইকারী। ঢাকার কদমতলী ও ডেমরা এলাকায় ডাকাতদের উপদ্রবে মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়ে গেছে। কেনাকাটার জন্য টাকা-পয়সা নিয়ে মানুষের চলাফেরায় ঝুঁকিও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি। কোরবানির পশুর হাটে এবং মহাসড়কে কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।
তৃতীয়ত, ঈদের সময় রাজধানী ঢাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায় ট্রেন, লঞ্চ ও বাসে। একসঙ্গে এত বিপুল মানুষের পরিবহনে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করে, কিন্তু টিকিট কেনাবেচার ক্ষেত্রে সুব্যবস্থাপনার অভাবে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়। এবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, কিন্তু টিকিট ক্রয়-ইচ্ছুকদের কেউ কেউ এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতার অভিযোগ করেছেন। বাসের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে যাত্রী পরিবহনকারী বাস কোম্পানিগুলোর ১৪-১৬ নভেম্বরের সব টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রেও কালোবাজারি হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারের তরফ থেকে বিআরটিসি ঈদসেবা নামে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। এ ক্ষেত্রেও যেন টিকিট কেনাবেচায় শৃঙ্খলা থাকে, তা নিশ্চিত করা দরকার। লঞ্চেও টিকিটসংকট প্রকট। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা একটি সাধারণ প্রবণতা। এসব রুখতে না পারলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়ে যায়। আসন্ন ঈদে যাতে সে রকম কিছু না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে।
ঈদের আনন্দকে নিরাপদ, ঝঞ্ঝাটমুক্ত ও স্বচ্ছন্দ করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ঈদের মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ডাকাতি, ছিনতাইও বেড়ে যায়। গত বুধবার পুরান ঢাকার নয়াবাজারে একজন ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একদল ছিনতাইকারী। ঢাকার কদমতলী ও ডেমরা এলাকায় ডাকাতদের উপদ্রবে মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়ে গেছে। কেনাকাটার জন্য টাকা-পয়সা নিয়ে মানুষের চলাফেরায় ঝুঁকিও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি। কোরবানির পশুর হাটে এবং মহাসড়কে কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।
তৃতীয়ত, ঈদের সময় রাজধানী ঢাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায় ট্রেন, লঞ্চ ও বাসে। একসঙ্গে এত বিপুল মানুষের পরিবহনে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করে, কিন্তু টিকিট কেনাবেচার ক্ষেত্রে সুব্যবস্থাপনার অভাবে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়। এবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, কিন্তু টিকিট ক্রয়-ইচ্ছুকদের কেউ কেউ এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতার অভিযোগ করেছেন। বাসের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে যাত্রী পরিবহনকারী বাস কোম্পানিগুলোর ১৪-১৬ নভেম্বরের সব টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রেও কালোবাজারি হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারের তরফ থেকে বিআরটিসি ঈদসেবা নামে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। এ ক্ষেত্রেও যেন টিকিট কেনাবেচায় শৃঙ্খলা থাকে, তা নিশ্চিত করা দরকার। লঞ্চেও টিকিটসংকট প্রকট। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা একটি সাধারণ প্রবণতা। এসব রুখতে না পারলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়ে যায়। আসন্ন ঈদে যাতে সে রকম কিছু না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে।
ঈদের আনন্দকে নিরাপদ, ঝঞ্ঝাটমুক্ত ও স্বচ্ছন্দ করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
No comments